জলবায়ুর সঙ্গে আবহবিকারের সম্পর্ক কী এবং আবহবিকারের ফলাফল কী কী ?

Submitted by avimanyu pramanik on Mon, 12/27/2021 - 18:11

প্রশ্ন:- জলবায়ুর সঙ্গে আবহবিকারের সম্পর্ক কী এবং আবহবিকারের ফলাফল কী কী ?

উত্তর:- আবহবিকারের বিভিন্ন প্রক্রিয়াগুলি কম বেশি প্রায় সর্বত্র কাজ করলেও কোনো বিশেষ ধরনের আবহবিকার বিশেষ কোনো জলবায়ু অঞ্চলেই বেশি কাজ করে, যেমন—

(১) উষ্ণ মরুভূমি অঞ্চল, শীত প্রধান শুষ্ক অঞ্চল এবং শুষ্ক নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে যান্ত্রিক আবহবিকার পরিলক্ষিত হয় ।

(২) উষ্ণ ও আর্দ্র অঞ্চলে রাসায়নিক আবহবিকার -এর সংঘটন বেশি দেখা যায় ।

(৩) আর্দ্র-নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে যান্ত্রিক ও রাসায়নিক —এই দুই ধরনের আবহবিকারই দেখা যায় ।

আবহবিকারের ফলাফল :

(১) আবহবিকারের ফলে ভুত্বকের শিলাস্তর চূর্ণবিচূর্ণ হয় বলে নতুন ভূমিরূপ সৃষ্টির ক্ষেত্রে আবহবিকারের যথেষ্ট প্রভাব আছে ।

(২) রাসায়নিক আবহবিকারের ফলে শিলার মধ্যে থাকা কয়েকটি খনিজ পদার্থ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিয়োজিত হওয়ায় বৃষ্টি বহুল ক্রান্তীয় জলবায়ু অঞ্চলে ল্যাটেরাইট, বক্সাইট, ইলমেনাইট প্রভৃতি খনিজ পদার্থ বেশি পাওয়া যায় ।

(৩) আবহবিকারের ফলে ভূত্বকের ওপর চূর্ণবিচূর্ণ শিলায় গঠিত ভূ-আস্তরণ বা রেগোলিথ সৃষ্টি হয় । প্রকৃত পক্ষে রেগোলিথ হল মৃত্তিকাময় শিথিল শিলাচূর্ণ ।

(৪) আবহবিকারের ফলে শিলাচূর্ণ থেকে প্রচুর পরিমাণে বালির সৃষ্টি হয় ।

(৫) রাসায়নিক আবহবিকাররে ফলে শিলাস্তরের কয়েক রকম খনিজ গলে যায় এবং এর ফলে মাটিতে উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় খাদ্য ও সার পাওয়া যায় ।

(৬) আবহবিকার মৃত্তিকা গঠনে পরোক্ষভাবে সাহায্য করে ।
******

Comments

Related Items

নর্মদা নদী (The Narmada)

নর্মদা নদী (The Narmada) : মহাকাল পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ অমরকন্টক থেকে উৎপন্ন হয়ে নর্মদা নদী উত্তর-পশ্চিমে বেঁকে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র হয়ে গুজরাটের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিন্ধ্য ও সাতপুরার সংকীর্ণ গিরিখাত অতিক্রম করে

ব্রহ্মপুত্র নদ (The Brahmaputra)

ব্রহ্মপুত্র নদ : তিব্বতের মানস সরোবরের নিকটবর্তী চেমায়ুং-দুং হিমবাহ থেকে সাংপো নামে উৎপন্ন হয়ে নামচাবারওয়া শৃঙ্গের কাছে চুলের কাটার মত বেঁকে অরুণাচল প্রদেশের মধ্য দিয়ে ডিহং নামে ভারতে প্রবেশ করেছে । এর মোট দৈর্ঘ্য ২,৯০০ কিমি, এর মধ্

সিন্ধু নদ (The Indus)

সিন্ধু নদ : সিন্ধু নদ তিব্বতের মানস সরোবরের উত্তরে অবস্থিত সিন-কা-বাব জলধারা থেকে উৎপন্ন হয়ে উত্তর-পশ্চিমে প্রথমে তিব্বতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পরে লাদাখ অঞ্চল দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে । সিন্ধু নদের মোট দৈর্ঘ্য ৩,১৮০ কিমি এবং এর মধ

গঙ্গা নদী (The Ganges)

গঙ্গা নদী : গঙ্গা ভারতের শ্রেষ্ঠ নদী এবং ভারতের দীর্ঘতম নদী । গঙ্গানদীর মোট দৈর্ঘ্য ২৫১০ কিমি এবং এর মধ্যে ২০১৭ কিমি ভারতে প্রবাহিত । কুমায়ুন হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ তুষার গুহা থেকে ভাগীরথী নামে উৎপন্ন হয়ে সংকীর্ণ গিরিখাতের

ভারতের নদনদী (Rivers of India)

ভারতের নদনদী : ভারতে অসংখ্য নদনদী বিভিন্ন দিকে প্রবাহিত হয়েছে । উৎস, প্রবাহের অঞ্চল, এবং মোহানা অনুসারে ভারতের নদনদীকে প্রধানত দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় । যেমন— (১) উত্তর ভারতের নদী এবং (২) দক্ষিণ ভারতের নদী ।