কীরূপ জলবায়ু অঞ্চলে রাসায়নিক আবহবিকার বেশি ঘটে কারণসহ উল্লেখ কর ।

Submitted by avimanyu pramanik on Mon, 12/27/2021 - 11:57

প্রশ্ন:- কীরূপ জলবায়ু অঞ্চলে রাসায়নিক আবহবিকার বেশি ঘটে কারণসহ উল্লেখ কর

উত্তর:-  বৃষ্টি বহুল উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু অঞ্চলে রাসায়নিক রাসায়নিক আবহবিকার বেশি ঘটে, কারণ:-

(১) আর্দ্র অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সময়ে বৃষ্টির জল বায়ুমন্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইডের (CO2) সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে মৃদু অ্যাসিডে (কার্বনিক অ্যাসিড) পরিণত হয়, যা চুনা পাথরের সংস্পর্শে এলে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে । এই বিক্রিয়ার ফলে চুনাপাথরের ক্যালসিয়াম কার্বনেট দ্রবীভূত হয়ে ক্যালসিয়াম বাইকার্বনেটে পরিণত হয় । রাসায়নিক আবহবিকারের -এর কার্বোনিকরণ -এর ফলে চুনাপাথরের সহজেই ক্ষয়প্রাপ্তি ঘটে ।

(২) বৃষ্টিবহুল আর্দ্র অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সময় শিলা গঠনকারী লৌহ যুক্ত খনিজের সঙ্গে বায়ুমন্ডলের অক্সিজেনের রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে শিলায় মরিচা পড়ে । রাসায়নিক আবহবিকার -এর জারণ -এর ফলে শিলার মধ্যস্থিত মূল লৌহ খনিজ ফেরাস অক্সাইড জারিত হয়ে ফেরিক অক্সাইডে পরিণত হয়ে হলুদ অথবা বাদামি রঙের লিমোনাইট নামে যৌগিক পদার্থের সৃষ্টি করে, যার ফলে লৌহ যুক্ত শিলা খন্ড ভেঙে গিয়ে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় ।

(৩) বৃষ্টিবহুল আর্দ্র অঞ্চলের শিলাস্তরের মধ্যে অবস্থিত কোনো খনিজ পদার্থের মধ্যে জল প্রবেশ করলে রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে সেই খনিজ পদার্থটি আয়তনে বৃদ্ধি পায় এবং অবশেষে ভেঙে গিয়ে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় । হেমাটাইট নামে লৌহ আকরিক এবং কেলসপারের সঙ্গে জলযুক্ত হলে রাসায়নিক আবহবিকার -এর আর্দ্রকরণ ঘটে ।

*****

Comments

Related Items

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীর ভূমিকা (Role of Students in Waste Management)

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীর ভূমিকা (Role of students in waste management) : সুন্দর ও স্বচ্ছ মন এবং সুস্থশিক্ষা পারিপার্শ্বিক পরিবেশের ওপর নির্ভরশীল । পারিপার্শ্বিক পরিবেশ সুন্দর না থাকলে, সুন্দর স্বচ্ছ মন ও সুস্থশিক্ষা সম্ভব নয় । তাই বর্জ্য ব্যবস্

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা (Need for Waste Management)

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা (Need for waste management) : ভূপৃষ্ঠস্থ জলের কলুষিতকরণ, মৃত্তিকা সংক্রমণ, দূষণ, লিশেট ইত্যাদির মাধ্যমে বর্জ্য পরিবেশকে প্রভাবিত করে থাকে । বর্জ্যপদার্থ কঠিন বা তরলরূপে জলাশয়ে এসে পড়লে তা জলের রাসায়নিক গঠনের পরিবর্তন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি (Method of Waste Management)

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি (Method of waste management) : বর্জ্যপদার্থ সংগ্রহ, বর্জ্যের পরিবহন, আবর্জনার বিলিব্যবস্থা, নর্দমার জল ও অন্যান্য বর্জ্যের নিকাশ প্রভৃতি হল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অন্যতম দিক । বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রধান পদ্ধতিগুলি হল— (১) বর্জ্য

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (Waste Management)

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (Waste Management) : যে কার্যকরী পরিচালন পদ্ধতির মাধ্যমে বর্জ্য পদার্থের সংগ্রহ, অপসারণ, পরিবহণ, শোধন, ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাস ও পুনরায় বর্জ্য পদার্থকে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা হয়, তাকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলা হয় । অন্যভাবে বলা যায়, বর্জ

পরিবেশের ওপর বর্জ্যের প্রভাব (Effect of wastes on environment)

পরিবেশের ওপর বর্জ্যের প্রভাব (Effect of wastes on environment) : বর্জ্য পরিবেশকে নানাভাবে প্রভাবিত করে থাকে । যেমন — (ক) ভূপৃষ্ঠস্থ জলের কলুষিতকরণ, (খ) মৃত্তিকা সংক্রমণ, (গ) দূষণ, (ঘ) লিশেট ইত্যাদি ।