উষ্ণতা হ্রাসের গড় (Lapse rate) কাকে বলে ? উষ্ণমণ্ডল সৃষ্টির কারণ কি ?

Submitted by avimanyu pramanik on Thu, 12/30/2021 - 10:27

প্রশ্ন : উষ্ণতা হ্রাসের গড় (Lapse rate) কাকে বলেউষ্ণমণ্ডল সৃষ্টির কারণ কি ?

সাধারণত প্রতি ১০০০ মিটার উচ্চতা বৃদ্ধিতে ৬.৪ সেলসিয়াস অথবা প্রতি ৩০০ ফুটে ১ফারেনহাইট হারে বায়ুমন্ডলের উষ্ণতা কমে যায়, একে ‘উষ্ণতা হ্রাসের স্বাভাবিক হার’ বা 'উষ্ণতা  হ্রাসের গড়' বলে । উষ্ণতা কমে যাওয়ার পরিমাণ সব সময়ে সমান হয় না, দিন-রাত্রিতে এবং ঋতুভেদেও উষ্ণতা হ্রাসের স্বাভাবিক হারের তারতম্য হয় ।

যেমন : শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং -এর দুরত্ব বেশি নয়, কিন্তু যেহেতু দার্জিলিং শিলিগুড়ি থেকে অনেক উঁচুতে অবস্থিত, সেই জন্য দার্জিলিং-এর তাপমাত্রা সবময়েই শিলিগুড়ি থেকে অনেক কম হয় ।

উষ্ণমণ্ডল সৃষ্টির কারণ

(১) নিরক্ষরেখার উত্তর ও দক্ষিণ উভয় দিকে কর্কটক্রান্তি ও মকরক্রান্তি রেখাদ্বয়ের মধ্যবর্তী অঞ্চলের গড় তাপমাত্রা সারাবছর ধরেই বেশি থাকে (২৭ সেলসিয়াস) ।

(২) এই অঞ্চলে সারাবছরে দিনের দৈর্ঘ্যের বিশেষ পার্থক্য হয় না এবং প্রত্যেক স্থানে সূর্যরশ্মি বছরের অন্তত দুদিন মধ্যাহ্নে লম্বভাবে পড়ে । লম্বভাবে পতিত রশ্মির উষ্ণতা অনেক বেশি হওয়ায় যে অঞ্চলে সূর্যরশ্মি তির্যকভাবে পড়ে সেই অঞ্চলের তাপমাত্রা পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় অনেক বেশি হয় ।

(৩) এই অঞ্চলে শীত ঋতুর আবির্ভাব হয় না বললেই চলে ।

এই সব কারণে নিরক্ষরেখার উভয়দিকে ২৩½ অক্ষাংশের মধ্যবর্তী অঞ্চলে উষ্ণমণ্ডলের সৃষ্টি হয়েছে ।

*****

Comments

Related Items

ঘনীভবন (Condensation)

ঘনীভবন (Condensation) : যে প্রক্রিয়ায় বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্প জলকণায় পরিণত হয়, তাকে ঘনীভবন বলে । আর্দ্র বায়ুর উষ্ণতা শিশিরাঙ্কের নীচে নেমে গেলে বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণায় পরিণত হয় । এই জলকণাসমূহ বিভিন্ন

বায়ুর আর্দ্রতা (Humidity)

বায়ুর আর্দ্রতা (Humidity) : বায়ুতে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতিকে বা জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাসকে বায়ুর আর্দ্রতা বলে । বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকলে তাকে আর্দ্র বায়ু এবং কম থাকলে তাকে শুষ্ক বায়ু বলে । বায়ুর জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতা প্রধানত বায়ুর উষ

বায়ুর আর্দ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (Humidity and Precipitation)

বায়ুর আর্দ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (Humidity and Precipitation):

বায়ুপ্রবাহের পরিমাপ

বায়ুপ্রবাহের পরিমাপ : বায়ু কোনদিক থেকে প্রবাহিত হচ্ছে, তা বাতপতাকার (Windvane)-এর সাহায্যে সহজেই নির্ণয় করা যায় । অ্যানিমোমিটার (Anemometer) নামক যন্ত্রের সাহায্যে বায়ুপ্রবাহের গতিবেগ পরিমাপ করা হয় । বায়ুপ্রবাহের গতিবেগ মাপার একক হল নট (১ নট = ১.৮ ক

সাময়িক বায়ু (The Periodic Winds)

সাময়িক বায়ু (The Periodic Winds) : দিনের বিভিন্ন সময়ে এবং বছরের বিভিন্ন ঋতুতে স্থল ও জলভাগের বায়ুর উষ্ণতা ও বায়ুচাপের পার্থক্যের ফলে সাময়িকভাবে যে বায়ু প্রবাহিত হয়, তাকে সাময়িক বায়ু বলে । এই বায়ু কয়েক প্রকারের হয়, যেমন— (১)