Submitted by avimanyu pramanik on Tue, 01/04/2022 - 10:13

প্রশ্ন : উপসাগরীয় স্রোত কী ?

আটলান্টিক মহাসাগরের মাঝখানে উত্তর ও দক্ষিণ নিরক্ষীয় স্রোতের মিলিত জলরাশি মেক্সিকো উপসাগরে প্রবেশ করে তার জলের পরিমাণ বাড়ায় । মেক্সিকো উপসাগর থেকে প্রচুর জলরাশি নিয়ে বেরোবার সময় এই স্রোত সংকীর্ণ ফ্লোরিডা প্রণালীতে প্রবাহিত হয়ে যে উষ্ণ স্রোতের সৃষ্টি করে সেই স্রোতই বিখ্যাত 'উপসাগরীয় স্রোত' নামে পরিচিত । এই স্রোত সংকীর্ণ ফ্লোরিডা প্রণালী দিয়ে ঘন্টায় ৮ কিমি বেগে প্রবাহিত হয় । পৃথিবীর অন্যতম প্রবল সমুদ্রস্রোত, উপসাগরীয় স্রোতের রং গাঢ় নীল, প্রকৃতিতে বেশ উষ্ণ (উষ্ণতা ২৭.০২° সেলসিয়াস), বিস্তার ৬৪ কিলোমিটার ও গভীরতা ৯১৪ মিটার ।

উপসাগরীয় স্রোতের উত্তর শাখা উত্তর আটলান্টিক স্রোত নামে উত্তর-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয় এবং দক্ষিণ শাখাটি পোর্তুগালের উপকূলে বাধা পেয়ে ক্যানারি স্রোত নামে উত্তর নিরক্ষীয় স্রোতের সঙ্গে মেশে । উপসসাগরীয় স্রোত এবং উত্তর স্রোতের মিলিত প্রবাহের উত্তর শাখা ইরমিঙ্গার স্রোত নামে উত্তরে প্রবাহিত শীতল লাব্রাডর স্রোতের সঙ্গে মিলিত হয় ।

*****

Comments

Related Items

ঘনীভবন (Condensation)

ঘনীভবন (Condensation) : যে প্রক্রিয়ায় বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্প জলকণায় পরিণত হয়, তাকে ঘনীভবন বলে । আর্দ্র বায়ুর উষ্ণতা শিশিরাঙ্কের নীচে নেমে গেলে বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণায় পরিণত হয় । এই জলকণাসমূহ বিভিন্ন

বায়ুর আর্দ্রতা (Humidity)

বায়ুর আর্দ্রতা (Humidity) : বায়ুতে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতিকে বা জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাসকে বায়ুর আর্দ্রতা বলে । বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকলে তাকে আর্দ্র বায়ু এবং কম থাকলে তাকে শুষ্ক বায়ু বলে । বায়ুর জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতা প্রধানত বায়ুর উষ

বায়ুর আর্দ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (Humidity and Precipitation)

বায়ুর আর্দ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (Humidity and Precipitation):

বায়ুপ্রবাহের পরিমাপ

বায়ুপ্রবাহের পরিমাপ : বায়ু কোনদিক থেকে প্রবাহিত হচ্ছে, তা বাতপতাকার (Windvane)-এর সাহায্যে সহজেই নির্ণয় করা যায় । অ্যানিমোমিটার (Anemometer) নামক যন্ত্রের সাহায্যে বায়ুপ্রবাহের গতিবেগ পরিমাপ করা হয় । বায়ুপ্রবাহের গতিবেগ মাপার একক হল নট (১ নট = ১.৮ ক

সাময়িক বায়ু (The Periodic Winds)

সাময়িক বায়ু (The Periodic Winds) : দিনের বিভিন্ন সময়ে এবং বছরের বিভিন্ন ঋতুতে স্থল ও জলভাগের বায়ুর উষ্ণতা ও বায়ুচাপের পার্থক্যের ফলে সাময়িকভাবে যে বায়ু প্রবাহিত হয়, তাকে সাময়িক বায়ু বলে । এই বায়ু কয়েক প্রকারের হয়, যেমন— (১)