আবহবিকার (Weathering) কাকে বলে এবং কয় প্রকার ?

Submitted by avimanyu pramanik on Sun, 12/26/2021 - 22:11

প্রশ্ন:- আবহবিকার (Weathering) কাকে বলে এবং কয় প্রকার ? 

যে প্রক্রিয়ায় আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান, যেমন- উষ্ণতা, আদ্রতা, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত, তুষারপাত প্রভৃতির সংস্পর্শে এসে ভূত্বকের ওপরের অংশের শিলাস্তর ধীরে ধীরে ভেঙে বা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে মূল শিলাস্তর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মূল শিলাস্তরের ওপরেই পড়ে থাকে, সেই প্রক্রিয়াকে আবহবিকার বলা হয় । আবহবিকারের ফলে চূর্ণ বিচূর্ণ শিলাজাত পদার্থগুলি মূল শিলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সেখানেই পড়ে থাকে, কিন্তু অন্যত্র অপসারিত হয় না ।

আবহবিকারকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা :-

(১) যান্ত্রিক আবহবিকার (Mechanical Weathering) যেমন:- (ক) খন্ডবিখন্ডিকরণ বা পিন্ড বিশরণ (Block Disintegration), (খ) গোলাকৃতি বিচূর্ণীভবন বা শল্কমোচন (Exfoliation),  (গ) ক্ষুদ্রকণা বিশরণ (Granular Disintegretion) , (ঘ) তুহিন খন্ডীকরণ ।

(২) রাসায়নিক আবহবিকার (Chemical Weathering) যেমন:- (ক) কার্বনিকরণ বা অঙ্গারযোজন (Carbonation), (খ) জারণ (Oxidation), আর্দ্রকরণ বা জলযোজন (Hydration), দ্রবণ (Solution) প্রভৃতি) এবং

(৩) জৈবিক আবহবিকার (Organic Weathering) (উদ্ভিদের সাহায্যে ও প্রাণীর সাহায্যে আবহবিকার) । আবহবিকারের মাধ্যমে মৃত্তিকা সৃষ্টি হয় । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জৈবিক আবহবিকার প্রক্রিয়াটি যান্ত্রিক ও রাসায়নিক আবহবিকার প্রক্রিয়া দুটিকে তরান্বিত করে মাত্র ।

*****

Comments

Related Items

সমুদ্রস্রোত (Ocean Currents)

সমুদ্রস্রোত (Ocean Currents) : সমুদ্রের জলরাশি নিয়মিতভাবে, নির্দিষ্ট দিকে একস্থান থেকে অন্যস্থানে প্রবাহিত হয় । সমুদ্রজলের এই প্রবাহকে সমুদ্রস্রোত বলে । সমুদ্রস্রোত সাধারণত একমুখী হয় । বায়ুপ্রবাহ দ্বারা তাড়িত হয়ে সমুদ্রস্রোতের সৃষ্টি হয় বলে এর গতিব

বারিমন্ডল (Hydrosphere)

বারিমন্ডল (Hydrosphere) : সৃষ্টির প্রথম অবস্থায় পৃথিবী ছিল এক উত্তপ্ত জ্বলন্ত মণ্ডল । ধীরে ধীরে শীতল ও ঘনীভূত হয়ে তরল অবস্থায় আসে এবং অবিরাম তাপ বিকিরণ করে পৃথিবী ক্রমশ শীতল ও সংকুচিত হয় । আর সংকোচনের ফলে ভূপৃষ্ঠের গায়ে উঁচুনীচু আবরণের সৃষ্টি হয় । এই সম

পৃথিবীর জলবায়ু অঞ্চল (Major climatic regions of the world)

পৃথিবীর জলবায়ু অঞ্চল (Major climatic regions of the world) : পৃথিবীর যে সকল অঞ্চলে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে মোটামুটি একই ধরনের বা সমধর্মী জলবায়ুগত বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়, সেই সকল অঞ্চলকে এক-একটি জলবায়ু অঞ্চল বলা হয় । পৃথিবীর মুখ্য জলবায়ু অঞ্চলগুলি হল —

বিভিন্ন প্রকারের বৃষ্টিপাত (Types of Rainfall)

বিভিন্ন প্রকারের বৃষ্টিপাত (Types of Rainfall) : উৎপত্তির কারণ ও বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য অনুসারে বৃষ্টিপাতকে সাধারণত তিন শ্রেণিতে ভাগ করা যায়, যথা:- (১) পরিচলন বৃষ্টিপাত, (২) শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত এবং (৩) ঘূর্ণবাত বৃষ্টিপাত ।

অধঃক্ষেপণ (Precipitation)

অধঃক্ষেপণ (Precipitation) : সূর্যের উত্তাপে ভূপৃষ্ঠের সমুদ্র, হ্রদ, নদী, পুকুর, খাল, বিল প্রভৃতি জলরাশি থেকে জল জলীয়বাষ্পে পরিণত হয় । জলীয়বাষ্পপূর্ণ বাতাস হাল্কা হওয়ার দরুন ঊর্ধগামী হয় । উপরের বায়ুমণ্ডলের প্রবল শৈত্যের সংস্পর্শে এলে ঘনিভবনের ফলে জলীয়বাষ