ব্যাখ্যামূলক সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন - অভিষেক

Submitted by avimanyu pramanik on Fri, 07/17/2020 - 11:02

 ১. "জিজ্ঞাসিলা মহাবাহু বিস্ময় মানিয়া;" —কাহাকে 'মহাবাহু' বলা হয়েছে ? তার বিস্ময়ের কারণ কী ? 

 উঃ- কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত 'মেঘনাদবধ কাব্য' -র প্রথম সর্গ থেকে গৃহীত 'অভিষেক' নামাঙ্কিত কাব্যাংশে উল্লিখিত 'মহাবাহু' বলা হয়েছে রাবণ পুত্র বীর মেঘনাদ ওরফে ইন্দ্রজিৎকে ।

♦ ইন্দ্রজিৎ ধাত্রী মা প্রভাষা রাক্ষসীর ছদ্মবেশ ধারণকারী রক্ষঃকুললক্ষ্মীর কাছ থেকে শুনতে পেয়েছিলেন যে, রাঘবশ্রেষ্ঠ রামচন্দ্রের হাতে তাঁর প্রিয় ভ্রাতা, বীরবাহু নিহত হয়েছেন । তাই পুত্রশোকে আহত ও ক্রুদ্ধ রাজা রাবণ 'সসৈন্যে সাজেন আজি যুঝিতে আপনি' । কিন্তু ইন্দ্রজিতের স্পষ্টভাবে মনে রয়েছে যে তিনি নিশারণে রাঘবদের পরাজিত করেছিলেন, শুধু তাই নয় তিনি তাদের খণ্ড খণ্ড করে কেটেও ছিলেন । সুতরাং মৃত রামচন্দ্র কিরূপে পুনর্জীবন লাভ করে বীরবাহুকে হত্যা করতে পারেন — এই বিষয়টাই 'মহাবাহু' ইন্দ্রজিতের বিস্ময়ের কারণ হয়ে উঠেছিল ।

*****

Comments

Related Items

সংলাপ রচনা (Dialogue writing)

মাধ্যমিক পরীক্ষায় আগত বিভিন্ন সংলাপ রচনা নিচে তুলে ধরা হলো -

সন্ধি ও সন্ধি বিচ্ছেদ

সন্ধি বিচ্ছেদ (নমুনা প্রশ্ন এবং বিগত মাধ্যমিক পরীক্ষার)। অভীষ্ট= অভি+ইষ্ট, তেজস্ক্রিয়= তেজঃ+ক্রিয়, মুহুর্মুহু= মুহুঃ+মুহু , যজ্ঞাগারে= যজ্ঞ + আগারে, দিগভ্রম= দিক্+ভ্রম, নভোমন্ডল= নভঃ+মন্ডল, দুর্বল= দুঃ+বল, নীরব= নিঃ+রবে

বাচ্য (Voice)

বাচ্য বলতে সাধারণত বোঝায় প্রকাশভঙ্গি বা বাচনভঙ্গির রূপভেদ অর্থাৎ রূপের পরিবর্তন । যেমন— পুলিশ চোরটিকে ধরেছে । পুলিশের দ্বারা চোরটি ধরা হয়েছে । এখানে দেখা যাচ্ছে, বক্তব্য এক কিন্তু প্রকাশভঙ্গি আলাদা । সুতরাং বাচ্য হল ব্যক্তিভেদে বাচনভঙ্গি অনুযায়ী কর্তা, কর্ম বা ক্রিয়াপদের প্রাধান্য নির্দেশ করে ক্রিয়াপদের রূপের যে পরিবর্তন ঘটে, তাকেই বলে বাচ্য ।

সমাস

ব্যাকরণে সমাস কথাটির অর্থ হল সংক্ষিপ্ত বা সংক্ষেপ । ব্যুৎপত্তিগত অর্থে অর্থাৎ সম্ —√অস্ + ঘঞ্ = সমাস হয় যার অর্থ হল সংক্ষেপ । মনের ভাবকে যথাযথভাবে সহজ সরল ও সংক্ষেপে প্রকাশ করার জন্য সমাস পড়া বা জানার প্রয়োজন । তাই সমাস বলতে আমরা বুঝি বাক্যের দুই বা তার বেশি পদকে এক পদে পরিণত করে সংক্ষেপ করার রীতিকে বলা হয় সমাস ।

কারক ও অকারক সম্পর্ক

কারক —দশম শ্রেণির ব্যাকরণের পাঠ্যসূচীতে প্রথমেই রয়েছে কারকের স্থান । সংস্কৃতে বলা হয় 'ক্রিয়ান্বয়ী কারকম্' অর্থাৎ ক্রিয়ার সঙ্গে বাক্যের অন্যান্য নামপদগুলির (বিশেষ্য, বিশেষণ ও সর্বনাম পদ) অন্বয় বা সম্পর্ক তৈরি করে দেয় কারক । সুতরাং বলাই যায় যে — বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের সম্বন্ধই হল কারক ।