দ্বন্দ্ব সমাসের শ্রেণিবিভাগ

Submitted by Nandarani Pramanik on Mon, 07/26/2021 - 16:28

দ্বন্দ্ব সমাসের শ্রেণিবিভাগ:—

(ক) মিলনার্থক দ্বন্দ্ব — দুই ব্যক্তি বা বস্তুর মিলন বোঝাতে যে দ্বন্দ্ব সমাস হয় । যেমন— লক্ষ্মী ও নারায়ণ = লক্ষীনারায়ন । মাতা ও পিতা = মাতাপিতা । দুধ ও ভাত = দুধভাত । হর ও গৌরী = হরগৌরী ইত্যাদি

(খ) সমার্থক দ্বন্দ্ব :- যে দ্বন্দ্ব সমাসে সমস্যমান পদগুলি সমার্থক বাচক শব্দ হয় । যেমন— জামা ও কাপড় = জামাকাপড় । কাগজ ও পত্তর = কাগজপত্তর । গাছ ও পালা = গাছপালা । টাকা ও পয়সা = টাকাপয়সা ইত্যাদি ।

(গ) বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব :- যে দ্বন্দ্ব সমাসে সমস্যমান পদগুলি বিপরীত ধর্মী শব্দ হয় । যেমন— লাল ও নীল = লালনীল । আলো ও অন্ধকার = আলোঅন্ধকার । দিন ও রাত = দিনরাত । ছেলে ও মেয়ে = ছেলেমেয়ে । ভাই ও বোন = ভাইবোন ইত্যাদি ।

(ঘ) সমাহার দ্বন্দ্ব :- দুই বা তার বেশি শব্দের সমষ্টি বা সমাহার বোঝায় । যেমন— মাছ ও মাংস = মাছমাংস । নদী ও নালা = নদীনালা । মুড়ি ও মুড়কি = মুড়িমুড়কি । আলু ও পোস্ত = আলুপোস্ত । রাজা ও রানি = রাজারানি প্রভৃতি ।

(ঙ) একশেষ দ্বন্দ্ব :-  যে দ্বন্দ্ব সমাসে পূর্ব বা পরপদের প্রধান না হয়ে সম্পূর্ণ একটা নতুন পদ সৃষ্টি হয় তাকে একশেষ দ্বন্দ্ব বলে । যেমন— সে ও আমি = আমরা । তুমি ও সে = তোমরা । তুমি, আমি ও আমরা = আমরা । আপনি ও তিনি = আপনারা । সে, আমি ও তুমি = আমরা ইত্যাদি ।

*****

Comments

Related Items

সংলাপ রচনা (Dialogue writing)

মাধ্যমিক পরীক্ষায় আগত বিভিন্ন সংলাপ রচনা নিচে তুলে ধরা হলো -

সন্ধি ও সন্ধি বিচ্ছেদ

সন্ধি বিচ্ছেদ (নমুনা প্রশ্ন এবং বিগত মাধ্যমিক পরীক্ষার)। অভীষ্ট= অভি+ইষ্ট, তেজস্ক্রিয়= তেজঃ+ক্রিয়, মুহুর্মুহু= মুহুঃ+মুহু , যজ্ঞাগারে= যজ্ঞ + আগারে, দিগভ্রম= দিক্+ভ্রম, নভোমন্ডল= নভঃ+মন্ডল, দুর্বল= দুঃ+বল, নীরব= নিঃ+রবে

বাচ্য (Voice)

বাচ্য বলতে সাধারণত বোঝায় প্রকাশভঙ্গি বা বাচনভঙ্গির রূপভেদ অর্থাৎ রূপের পরিবর্তন । যেমন— পুলিশ চোরটিকে ধরেছে । পুলিশের দ্বারা চোরটি ধরা হয়েছে । এখানে দেখা যাচ্ছে, বক্তব্য এক কিন্তু প্রকাশভঙ্গি আলাদা । সুতরাং বাচ্য হল ব্যক্তিভেদে বাচনভঙ্গি অনুযায়ী কর্তা, কর্ম বা ক্রিয়াপদের প্রাধান্য নির্দেশ করে ক্রিয়াপদের রূপের যে পরিবর্তন ঘটে, তাকেই বলে বাচ্য ।

সমাস

ব্যাকরণে সমাস কথাটির অর্থ হল সংক্ষিপ্ত বা সংক্ষেপ । ব্যুৎপত্তিগত অর্থে অর্থাৎ সম্ —√অস্ + ঘঞ্ = সমাস হয় যার অর্থ হল সংক্ষেপ । মনের ভাবকে যথাযথভাবে সহজ সরল ও সংক্ষেপে প্রকাশ করার জন্য সমাস পড়া বা জানার প্রয়োজন । তাই সমাস বলতে আমরা বুঝি বাক্যের দুই বা তার বেশি পদকে এক পদে পরিণত করে সংক্ষেপ করার রীতিকে বলা হয় সমাস ।

কারক ও অকারক সম্পর্ক

কারক —দশম শ্রেণির ব্যাকরণের পাঠ্যসূচীতে প্রথমেই রয়েছে কারকের স্থান । সংস্কৃতে বলা হয় 'ক্রিয়ান্বয়ী কারকম্' অর্থাৎ ক্রিয়ার সঙ্গে বাক্যের অন্যান্য নামপদগুলির (বিশেষ্য, বিশেষণ ও সর্বনাম পদ) অন্বয় বা সম্পর্ক তৈরি করে দেয় কারক । সুতরাং বলাই যায় যে — বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের সম্বন্ধই হল কারক ।