আম্ফানের তান্ডবে লণ্ডভণ্ড দক্ষিণবঙ্গ

Submitted by avimanyu pramanik on Sat, 08/14/2021 - 08:27

আম্ফানের তান্ডবে লণ্ডভণ্ড দক্ষিণবঙ্গ

নিজস্ব সংবাদদাতা, বেলতলা রোড, কলকাতা, ২১শে মে, ২০০০

২০২০ সালের ২০শে মে ভয়ঙ্কর শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের দাপটে সমগ্র দক্ষিণবঙ্গ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে । আবহাওয়াবিদদের মতে একুশ শতকের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্ফান । ২০শে মে বিকেল পাঁচটা নাগাদ পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূল অঞ্চলে আম্ফান আছড়ে পড়ে । এই সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার । পরে গতিবেগ আরও বেড়ে ১৮৫ কিলোমিটার হয় । ঝড়ের সঙ্গে একটানা মুষলধারে বৃষ্টিও চলতে থাকে । যত সময় যাচ্ছিল ঝড়ের গতিবেগ ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছিল । টেলিভিশন বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আবহবিদরা ঝড়ের গতিবেগ নিয়ে প্রতিমুহূর্তে সাধারণ মানুষকে সচেতন করেছিলেন । সেইজন্য উপকূলবর্তী অসংখ্য মানুষজন ও গবাদি পশুকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছিল । আমফানের বিধ্বংসী তাণ্ডবে পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া ও নদীয়া জেলার জনজীবন ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় । বহু মাটির ঘর-বাড়ি ভেঙে গেছে এবং অসংখ্য মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে । বহু ফসলের জমি জলে ভেসে গেছে ও প্রচুর ফসল নষ্ট হয়েছে । নদীর বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা জলে প্লাবিত হয়েছে । প্রচুর গাছপালা ভেঙে যায় । বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় । ফলে আম্ফানের এই ভয়াবহ তান্ডবে দক্ষিণবঙ্গের জনজীবন কিছুদিনের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায় । এখনও সে ক্ষত মুছে যায়নি ।

****

Comments

Related Items

বহুরূপী

হরিদার কাছে আমরাই গল্প করে বললাম, শুনেছেন, হরিদা কী কাণ্ড হয়েছে ? উনানের মুখে ফুঁ দিয়ে আর অনেক ধোঁয়া উড়িয়ে নিয়ে হরিদা এইবার আমাদের কথার জবাব দিলেন — না, কিছুই শুনিনি । — জগদীশবাবু যে কী কাণ্ড করেছেন, শোনেননি হরিদা ? হরিদা — না রে ভাই, বড়ো মানুষের কাণ্ডের খবর আমি কেমন করে শুনব ? আমাকে বলবেই বা কে ?

হারিয়ে যাওয়া কালি কলম

কথায় বলে— কালি কলম মন, লেখে তিন জন । কিন্তু কলম কোথায় ? আমি যেখানে কাজ করি সেটা লেখালেখির আপিস । সবাই এখানে লেখক । কিন্তু আমি ছাড়া আর কারও হাতে কলম নেই । সকলের সামনেই চৌকো আয়নার মতো একটা কাচের স্ক্রিন বা পর্দা । আর তার নীচে টাইপরাইটারদের মতো একটা কি-বোর্ড ।

অভিষেক

কনক-আসন ত্যজি, বীরেন্দ্রকেশরী ইন্দ্রজিৎ, প্রণমিয়া ধাত্রীর চরণে, কহিলা, — "কি হেতু, মাতঃ, গতি তব আজি এ ভবনে ? কহ দাসে লঙ্কার কুশল ।"

আফ্রিকা

উদভ্রান্ত সেই আদিম যুগে স্রষ্ঠা যখন নিজের প্রতি অসন্তোষে নতুন সৃষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত, তাঁর সেই অধৈর্যে ঘন-ঘন মাথা নাড়ার দিনে

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি

আমাদের ডান পাশে ধ্বস / আমাদের বাঁয়ে গিরিখাদ / আমাদের মাথায় বোমারু /পায়ে পায়ে হিমানীর বাঁধ