"যেখানে ছিল শহর / সেখানে ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা ।" — 'অসুখী একজন' কবিতা অবলম্বনে শহরের এই পরিণতি কীভাবে হল লেখো

Submitted by avimanyu pramanik on Thu, 08/26/2021 - 22:40

প্রশ্ন:- "যেখানে ছিল শহর / সেখানে ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা ।" — 'অসুখী একজন' কবিতা অবলম্বনে শহরের এই পরিণতি কীভাবে হল লেখো ।       

 উঃ- প্রখ্যাত চিলিয়ান কবি পাবলো নেরুদার "অসুখী একজন" কবিতায় অপেক্ষমান নারীর মধ্যে ভালোবাসার অনির্বাণ রূপটি ফুটে উঠেছে । কথক তাঁর প্রিয় নারীকে রেখে বহুদূরে চলে যান । অপেক্ষারতা জানত না যে তার প্রিয়তম আর ফিরে আসবে না । সময় চলমান তাই তা অতিক্রম করে কালকে । কথকের পদচিহ্ন ধুয়ে যায় । তাঁর চলার পথে ঘাস জন্মায় তবুও নারীর প্রতীক্ষার অবসান ঘটে না ।

এইভাবে প্রতিক্ষার প্রহর গুণতে গুণতে সময়ের পাল্লা ভারী হয়ে মেয়েটির মাথায় যেন চিন্তার পাহাড় নেমে আসে । যুদ্ধের আগুন ছড়িয়ে পড়ে শহরে । আগুনের করাল গ্রাসে ধ্বংস হয় শিশু দেবতারা । শান্ত হলুদ দেবতারা তাঁদের মন্দির থেকে টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ে । কবির স্বপ্নের বাড়ি-ঘর সব চূর্ণ হয়ে যায়, পুড়ে যায় আগুনে । যেখানে শহর ছিল সেখানে চারদিকে ছড়িয়ে থাকে কাঠকয়লা, দোমড়ানো লোহা, পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা, আর রক্তের একটা কালো দাগ । কিন্তু এত সবের মধ্যেও কবির প্রিয়তমা বেঁচে রইলেন । কারণ, প্রেম শ্বাশত তার মৃত্যু নেই । সেই জন্য ধ্বংসের মাঝেও বেঁচে থাকে মেয়েটির অনির্বাণ ভালবাসা, বেঁচে থাকে ভালবাসার জন্য প্রতীক্ষা । আগামীর প্রত্যাশায় যা চিরন্তন অমলিন স্মৃতিতে ভাস্বর ।

****

Comments

Related Items

সংলাপ রচনা (Dialogue writing)

মাধ্যমিক পরীক্ষায় আগত বিভিন্ন সংলাপ রচনা নিচে তুলে ধরা হলো -

সন্ধি ও সন্ধি বিচ্ছেদ

সন্ধি বিচ্ছেদ (নমুনা প্রশ্ন এবং বিগত মাধ্যমিক পরীক্ষার)। অভীষ্ট= অভি+ইষ্ট, তেজস্ক্রিয়= তেজঃ+ক্রিয়, মুহুর্মুহু= মুহুঃ+মুহু , যজ্ঞাগারে= যজ্ঞ + আগারে, দিগভ্রম= দিক্+ভ্রম, নভোমন্ডল= নভঃ+মন্ডল, দুর্বল= দুঃ+বল, নীরব= নিঃ+রবে

বাচ্য (Voice)

বাচ্য বলতে সাধারণত বোঝায় প্রকাশভঙ্গি বা বাচনভঙ্গির রূপভেদ অর্থাৎ রূপের পরিবর্তন । যেমন— পুলিশ চোরটিকে ধরেছে । পুলিশের দ্বারা চোরটি ধরা হয়েছে । এখানে দেখা যাচ্ছে, বক্তব্য এক কিন্তু প্রকাশভঙ্গি আলাদা । সুতরাং বাচ্য হল ব্যক্তিভেদে বাচনভঙ্গি অনুযায়ী কর্তা, কর্ম বা ক্রিয়াপদের প্রাধান্য নির্দেশ করে ক্রিয়াপদের রূপের যে পরিবর্তন ঘটে, তাকেই বলে বাচ্য ।

সমাস

ব্যাকরণে সমাস কথাটির অর্থ হল সংক্ষিপ্ত বা সংক্ষেপ । ব্যুৎপত্তিগত অর্থে অর্থাৎ সম্ —√অস্ + ঘঞ্ = সমাস হয় যার অর্থ হল সংক্ষেপ । মনের ভাবকে যথাযথভাবে সহজ সরল ও সংক্ষেপে প্রকাশ করার জন্য সমাস পড়া বা জানার প্রয়োজন । তাই সমাস বলতে আমরা বুঝি বাক্যের দুই বা তার বেশি পদকে এক পদে পরিণত করে সংক্ষেপ করার রীতিকে বলা হয় সমাস ।

কারক ও অকারক সম্পর্ক

কারক —দশম শ্রেণির ব্যাকরণের পাঠ্যসূচীতে প্রথমেই রয়েছে কারকের স্থান । সংস্কৃতে বলা হয় 'ক্রিয়ান্বয়ী কারকম্' অর্থাৎ ক্রিয়ার সঙ্গে বাক্যের অন্যান্য নামপদগুলির (বিশেষ্য, বিশেষণ ও সর্বনাম পদ) অন্বয় বা সম্পর্ক তৈরি করে দেয় কারক । সুতরাং বলাই যায় যে — বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের সম্বন্ধই হল কারক ।