"মুন্সিজি, এই পত্রের মর্ম সভাসদদের বুঝিয়ে দিন ।" — কে, কাকে পত্র লিখেছিলেন ? এই পত্রে কী লেখা ছিল ?

Submitted by avimanyu pramanik on Sun, 08/22/2021 - 10:53

"মুন্সিজি, এই পত্রের মর্ম সভাসদদের বুঝিয়ে দিন ।" — কে, কাকে পত্র লিখেছিলেন ? এই পত্রে কী লেখা ছিল ?

উঃ- শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত রচিত সিরাজউদ্দৌলা নাটকে এই প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশটি রয়েছে ।

 ♦ ইংরেজ অ্যাডমিরাল ওয়াটসন পত্র লিখেছিলেন মুর্শিদাবাদে থাকে ইংরেজ প্রতিনিধি ওয়াটসনকে ।

 ♦ এই পত্রে লেখা ছিল —"কর্নেল ক্লাইভ যে সৈন্যের কথা উল্লেখ করেছেন তা দ্রুত কলকাতা পৌঁছাবে । আমি আর একটা জাহাজ মাদ্রাজে পাঠাইয়া খবর দিব বাংলায়, আরও জাহাজ ও সৈন্য আবশ্যিক । আমি এমন আগুন জালাইবো যা সমগ্র গঙ্গার জল দিয়েও নেভানো যাইবে না ।"

এইভাবে ব্রিটিশরা ভারতে কলকাতা জয়ের পর সমগ্র ভারত হাতে নিতে চেয়েছিল । কিন্তু সিরাজ এই পত্রের সম্বন্ধে জানার পর এর বিহিত হিসাবে ওয়াটসনকে রাজদরবার ত্যাগ করতে বলেন এও বলেন — "আমরা তোমাকে তোপের মুখে উড়িয়ে দিতে পারি জানও ।"

****

Comments

Related Items

সংলাপ রচনা (Dialogue writing)

মাধ্যমিক পরীক্ষায় আগত বিভিন্ন সংলাপ রচনা নিচে তুলে ধরা হলো -

সন্ধি ও সন্ধি বিচ্ছেদ

সন্ধি বিচ্ছেদ (নমুনা প্রশ্ন এবং বিগত মাধ্যমিক পরীক্ষার)। অভীষ্ট= অভি+ইষ্ট, তেজস্ক্রিয়= তেজঃ+ক্রিয়, মুহুর্মুহু= মুহুঃ+মুহু , যজ্ঞাগারে= যজ্ঞ + আগারে, দিগভ্রম= দিক্+ভ্রম, নভোমন্ডল= নভঃ+মন্ডল, দুর্বল= দুঃ+বল, নীরব= নিঃ+রবে

বাচ্য (Voice)

বাচ্য বলতে সাধারণত বোঝায় প্রকাশভঙ্গি বা বাচনভঙ্গির রূপভেদ অর্থাৎ রূপের পরিবর্তন । যেমন— পুলিশ চোরটিকে ধরেছে । পুলিশের দ্বারা চোরটি ধরা হয়েছে । এখানে দেখা যাচ্ছে, বক্তব্য এক কিন্তু প্রকাশভঙ্গি আলাদা । সুতরাং বাচ্য হল ব্যক্তিভেদে বাচনভঙ্গি অনুযায়ী কর্তা, কর্ম বা ক্রিয়াপদের প্রাধান্য নির্দেশ করে ক্রিয়াপদের রূপের যে পরিবর্তন ঘটে, তাকেই বলে বাচ্য ।

সমাস

ব্যাকরণে সমাস কথাটির অর্থ হল সংক্ষিপ্ত বা সংক্ষেপ । ব্যুৎপত্তিগত অর্থে অর্থাৎ সম্ —√অস্ + ঘঞ্ = সমাস হয় যার অর্থ হল সংক্ষেপ । মনের ভাবকে যথাযথভাবে সহজ সরল ও সংক্ষেপে প্রকাশ করার জন্য সমাস পড়া বা জানার প্রয়োজন । তাই সমাস বলতে আমরা বুঝি বাক্যের দুই বা তার বেশি পদকে এক পদে পরিণত করে সংক্ষেপ করার রীতিকে বলা হয় সমাস ।

কারক ও অকারক সম্পর্ক

কারক —দশম শ্রেণির ব্যাকরণের পাঠ্যসূচীতে প্রথমেই রয়েছে কারকের স্থান । সংস্কৃতে বলা হয় 'ক্রিয়ান্বয়ী কারকম্' অর্থাৎ ক্রিয়ার সঙ্গে বাক্যের অন্যান্য নামপদগুলির (বিশেষ্য, বিশেষণ ও সর্বনাম পদ) অন্বয় বা সম্পর্ক তৈরি করে দেয় কারক । সুতরাং বলাই যায় যে — বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের সম্বন্ধই হল কারক ।