"কিন্তু ভদ্রতার অযোগ্য তোমরা" —কাকে উদ্দেশ্য করে কথাটি বলা হয়েছে ? এ কথা বলার কারণ কী ?

Submitted by avimanyu pramanik on Sun, 08/22/2021 - 10:49

"কিন্তু ভদ্রতার অযোগ্য তোমরা" —কাকে উদ্দেশ্য করে কথাটি বলা হয়েছে ? এ কথা বলার কারণ কী ?

উঃ-  বিশিষ্ট নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত রচিত 'সিরাজদ্দৌলা' নাট্যাংশের প্রশ্নোদ্ধৃতাংশ কথাটি বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব, সিরাজদৌলা ইংরেজ প্রতিনিধি ওয়াটসকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন ।

  ♦ সিরাজ ছিলেন একজন দক্ষ কূটনৈতিক । তাই তিনি তাঁর সভাসদদের সকল গোপনীয় কার্যকলাপের খবরাখবর রাখতেন । ইংরেজ প্রতিনিধি, ওয়াটসের কাছে আসা কিছু গোপন পত্রও সিরাজের হাতে এসে পৌঁছায় । এই পত্রগুলির মধ্যে ছিল অ্যাডমিরাল ওয়াটসন -এর পত্র ও ওয়াটসের পত্র । পত্রগুলি থেকে সিরাজ জানতে পারেন, কোম্পানির ফৌজ আরো জাহাজ ও আরো সৈন্যদলসহ বাংলার অভিমুখে যাত্রা করেছে, এমনকি অ্যাডমিরাল এও বলেছেন বাংলায় তিনি এমন আগুন জ্বালাবেন যে তা গঙ্গার জল দিয়েও নেভানো যাবে না । ওয়াটসের পত্রে বলা ছিল নবাবের উপর নির্ভর না করে চন্দননগরের ফরাসি কুঠি আক্রমণ করাই শ্রেয় । নবাবের প্রতি এহেন অমর্যাদা প্রদর্শন ও চক্রান্ত স্বভাবতই সিরাজের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভবপর ছিল না । তাছাড়া তিনি আরো জানতে পারেন যে, ওয়াটস তাঁরই সভায় স্থান পেয়ে সভাসদ ও আত্মীয়স্বজনের কানে কুমন্ত্রণা দিয়ে তাদের নবাব বিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত হতে বাধ্য করেছেন । তারা নবাবকে সিংহাসনচ্যুত করার জন্য রাতের আঁধারে অস্ত্রে শান দিচ্ছে ।

কোম্পানির এহেন কুচক্রী কার্যকলাপে বিরক্ত ও ক্রুদ্ধ হয়েই নবাব সিরাজ ওয়াটসকে বলেছিলেন — "কিন্তু ভদ্রতার অযোগ্য তোমরা ।"

Comments

Related Items

সংলাপ রচনা (Dialogue writing)

মাধ্যমিক পরীক্ষায় আগত বিভিন্ন সংলাপ রচনা নিচে তুলে ধরা হলো -

সন্ধি ও সন্ধি বিচ্ছেদ

সন্ধি বিচ্ছেদ (নমুনা প্রশ্ন এবং বিগত মাধ্যমিক পরীক্ষার)। অভীষ্ট= অভি+ইষ্ট, তেজস্ক্রিয়= তেজঃ+ক্রিয়, মুহুর্মুহু= মুহুঃ+মুহু , যজ্ঞাগারে= যজ্ঞ + আগারে, দিগভ্রম= দিক্+ভ্রম, নভোমন্ডল= নভঃ+মন্ডল, দুর্বল= দুঃ+বল, নীরব= নিঃ+রবে

বাচ্য (Voice)

বাচ্য বলতে সাধারণত বোঝায় প্রকাশভঙ্গি বা বাচনভঙ্গির রূপভেদ অর্থাৎ রূপের পরিবর্তন । যেমন— পুলিশ চোরটিকে ধরেছে । পুলিশের দ্বারা চোরটি ধরা হয়েছে । এখানে দেখা যাচ্ছে, বক্তব্য এক কিন্তু প্রকাশভঙ্গি আলাদা । সুতরাং বাচ্য হল ব্যক্তিভেদে বাচনভঙ্গি অনুযায়ী কর্তা, কর্ম বা ক্রিয়াপদের প্রাধান্য নির্দেশ করে ক্রিয়াপদের রূপের যে পরিবর্তন ঘটে, তাকেই বলে বাচ্য ।

সমাস

ব্যাকরণে সমাস কথাটির অর্থ হল সংক্ষিপ্ত বা সংক্ষেপ । ব্যুৎপত্তিগত অর্থে অর্থাৎ সম্ —√অস্ + ঘঞ্ = সমাস হয় যার অর্থ হল সংক্ষেপ । মনের ভাবকে যথাযথভাবে সহজ সরল ও সংক্ষেপে প্রকাশ করার জন্য সমাস পড়া বা জানার প্রয়োজন । তাই সমাস বলতে আমরা বুঝি বাক্যের দুই বা তার বেশি পদকে এক পদে পরিণত করে সংক্ষেপ করার রীতিকে বলা হয় সমাস ।

কারক ও অকারক সম্পর্ক

কারক —দশম শ্রেণির ব্যাকরণের পাঠ্যসূচীতে প্রথমেই রয়েছে কারকের স্থান । সংস্কৃতে বলা হয় 'ক্রিয়ান্বয়ী কারকম্' অর্থাৎ ক্রিয়ার সঙ্গে বাক্যের অন্যান্য নামপদগুলির (বিশেষ্য, বিশেষণ ও সর্বনাম পদ) অন্বয় বা সম্পর্ক তৈরি করে দেয় কারক । সুতরাং বলাই যায় যে — বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের সম্বন্ধই হল কারক ।