"আমরা নবাবের নিমক বৃথাই খাই না, একথা তাদের মনে রাখা উচিৎ ।" — আমরা বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে ? একথা বলার কারণ কী ?

Submitted by avimanyu pramanik on Sun, 08/22/2021 - 13:33

"আমরা নবাবের নিমক বৃথাই খাই না, একথা তাদের মনে রাখা উচিৎ ।" — আমরা বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে ? একথা বলার কারণ কী ?

উঃ- নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের 'সিরাজদ্দৌলা' নাট্যাংশে উদ্ধৃতিটির বক্তা হলেন নবাব সিরাজদ্দৌলার একান্ত অনুগত, বিশ্বস্ত এবং দেশপ্রেমিক সেনাপতি মীরমদন ।

আমরা বলতে মীরমদন ও মোহনলাল দুই সেনাপতিকে বোঝানো হয়েছে ।

নবাব সিরাজদ্দৌলাকে খুব অল্প বয়সে তাঁর দাদু আলিবর্দী খাঁ বাংলার সিংহাসনে বসান । এর ফলে ঘরে বাইরে নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী শত্রুর সংখ্যা বেড়ে যায় । নবাবের অন্নে প্রতিপালিত হয়েও মীরজাফরের মতো বিশ্বাসঘাতকের দল সিরাজকে সিংহাসন থেকে উৎখাত করার জন্য চেষ্টা করতে থাকে । এই বিশ্বাসঘাতকেরা ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে সহযোগিতা করে নবাব সিরাজদ্দৌলাকে সিংহাসনচ্যুত করতে এবং দেশকে বিপন্ন করতে উদ্যোগী হয় । এই রকম পরিস্থিতিতে নবাবের বিশ্বস্ত ও অনুগত সেনাপতি মীরমদন ষড়যন্ত্রকারীদের মনে করিয়ে দিতে চান যে নবাব একেবারে অসহায় নন, তাঁর মর্যাদা রক্ষার জন্য মীরমদন ও মোহনলালরা দেহের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করে যাবে ।

বক্তা মীরমদন সিপাহসালার মীরজাফর এবং তার সঙ্গীদের ঔদ্ধত্য মেনে নিতে পারেন নি । তিনি জানান, নবাবের সেনাপতি, আমির ওমরাহ, রহিস, রাজারা নবাবকে দুর্বল মনে করলেও তাদের মতো অনুগতরাও এখনও জীবিত আছে নবাবকে রক্ষা করার জন্য । তারা নবাবের অন্নে প্রতিপালিত হয়ে কখনোই নবাবের বিরুদ্ধাচারণ করবেন না ।

****

Comments

Related Items

সংলাপ রচনা (Dialogue writing)

মাধ্যমিক পরীক্ষায় আগত বিভিন্ন সংলাপ রচনা নিচে তুলে ধরা হলো -

সন্ধি ও সন্ধি বিচ্ছেদ

সন্ধি বিচ্ছেদ (নমুনা প্রশ্ন এবং বিগত মাধ্যমিক পরীক্ষার)। অভীষ্ট= অভি+ইষ্ট, তেজস্ক্রিয়= তেজঃ+ক্রিয়, মুহুর্মুহু= মুহুঃ+মুহু , যজ্ঞাগারে= যজ্ঞ + আগারে, দিগভ্রম= দিক্+ভ্রম, নভোমন্ডল= নভঃ+মন্ডল, দুর্বল= দুঃ+বল, নীরব= নিঃ+রবে

বাচ্য (Voice)

বাচ্য বলতে সাধারণত বোঝায় প্রকাশভঙ্গি বা বাচনভঙ্গির রূপভেদ অর্থাৎ রূপের পরিবর্তন । যেমন— পুলিশ চোরটিকে ধরেছে । পুলিশের দ্বারা চোরটি ধরা হয়েছে । এখানে দেখা যাচ্ছে, বক্তব্য এক কিন্তু প্রকাশভঙ্গি আলাদা । সুতরাং বাচ্য হল ব্যক্তিভেদে বাচনভঙ্গি অনুযায়ী কর্তা, কর্ম বা ক্রিয়াপদের প্রাধান্য নির্দেশ করে ক্রিয়াপদের রূপের যে পরিবর্তন ঘটে, তাকেই বলে বাচ্য ।

সমাস

ব্যাকরণে সমাস কথাটির অর্থ হল সংক্ষিপ্ত বা সংক্ষেপ । ব্যুৎপত্তিগত অর্থে অর্থাৎ সম্ —√অস্ + ঘঞ্ = সমাস হয় যার অর্থ হল সংক্ষেপ । মনের ভাবকে যথাযথভাবে সহজ সরল ও সংক্ষেপে প্রকাশ করার জন্য সমাস পড়া বা জানার প্রয়োজন । তাই সমাস বলতে আমরা বুঝি বাক্যের দুই বা তার বেশি পদকে এক পদে পরিণত করে সংক্ষেপ করার রীতিকে বলা হয় সমাস ।

কারক ও অকারক সম্পর্ক

কারক —দশম শ্রেণির ব্যাকরণের পাঠ্যসূচীতে প্রথমেই রয়েছে কারকের স্থান । সংস্কৃতে বলা হয় 'ক্রিয়ান্বয়ী কারকম্' অর্থাৎ ক্রিয়ার সঙ্গে বাক্যের অন্যান্য নামপদগুলির (বিশেষ্য, বিশেষণ ও সর্বনাম পদ) অন্বয় বা সম্পর্ক তৈরি করে দেয় কারক । সুতরাং বলাই যায় যে — বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের সম্বন্ধই হল কারক ।