"অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান" — কবিতার মূল বক্তব্য নিজের ভাষায় লেখো ।

Submitted by avimanyu pramanik on Fri, 08/27/2021 - 11:52

১. "অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান" — কবিতার মূল বক্তব্য নিজের ভাষায় লেখো

উঃ- কবি জয় গোস্বামীর লেখা 'অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান' কবিতায় বর্ণিত হয়েছে যুদ্ধের বিরুদ্ধে গানের প্রয়োগ কথা । মানুষের পীড়ন-আর্তনাদের কলরোল গানের সুরের প্রলেপ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে । সমস্ত ক্ষমতা, হিংস্রতা ও দম্ভকে বশ করার জন্য গানই কবির বন্ধু হয়ে উঠেছে । অস্ত্রের উদ্ধত আক্রমণকে রুখতে কবি গানকে অবলম্বন করেছেন । কবি চান উদার মানবিকতার সুউচ্চ আদর্শের অনুরণনে সমাজের বুকে উদ্যত অস্ত্রের ঝংকার বন্ধ হোক । কবির বিশ্বাস গানের সুরে তাড়ানো যায় বুলেট । আর যুদ্ধ নয় এবার হোক মানবতার জয় । একমাত্র গানই পারে সেই জয়কে ঘোষিত করতে, কারণ গান মানুষের অনাবিল ভালোবাসার প্রকাশ । যারা রক্তচক্ষুর শাসন নিয়ে ঘুরে বেড়ায় তারাও একদিন গানের পায়ে অঞ্জলি দেবে সব অস্ত্র — এটাই কবির বিশ্বাস । তাই কবি দৃঢ় ভঙ্গিতে বলতে পেরেছেন —"অস্ত্র ফ্যালো,অস্ত্র রাখো পায়ে ।"

****

 

Comments

Related Items

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - আফ্রিকা

১. আদিম যুগে স্রষ্টার কার প্রতি অসন্তোষ ছিল ? — (ক) দয়াময় দেবতার প্রতি (খ) কবির সংগীতের প্রতি (গ) নিজের প্রতি (ঘ) ধরিত্রীর প্রতি ২. "সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পূর্ণবাণী"— 'সভ্যতার শেষ পূর্ণবাণী'— (ক) বিদ্বেষ ত্যাগ করো (খ) ক্ষমা করো (গ) ভালোবাস (ঘ) মঙ্গল করো

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - হারিয়ে যাওয়া কালি কলম

১. পালকের কলমের ইংরেজি নাম হল — (ক) স্টাইলাস (খ) ফাউন্টেন পেন (গ) কুইল (ঘ) রিজার্ভার পেন ২. কানে কলম গুঁজে দুনিয়া খোঁজেন — (ক) প্রাবন্ধিক (খ) দার্শনিক (গ) গল্পকার (ঘ) নাট্যকার

সিরাজদ্দৌলা

[দরবার কক্ষ । সিরাজ সিংহাসনে উপবিষ্ট । কর্মচারীরা যথাস্থানে উপবিষ্ট । সভাসদদের মাঝে মীরজাফর, মোহনলাল, মীরমদন, রায়দুর্লভ একদিকে— অন্যদিকে রাজবল্লভ, জগৎশেঠ, ওয়াটস, মঁসিয়ে লা দণ্ডায়মান । গোলাম হোসেন যথারীতি নবাবের পায়ের কাছে বসিয়া আছে ।]

পথের দাবী

পুলিশ-স্টেশনে প্রবেশ করিয়া দেখা গেল, সুমুখের হলঘরে জন-ছয়েক বাঙালি মোট-ঘাট লইয়া বসিয়া আছে, জগদীশবাবু ইতিমধ্যেই তাহাদের টিনের তোরঙ্গ ও ছোটৈ-বড়ো পুঁটলি খুলিয়া তদারক শুরু করিয়া দিয়াছেন । শুধু যে লোকটির প্রতি তাঁহার অত্যন্ত সন্দেহ হইয়াছে তাহাকে আর একটা ঘরে আটকাইয়া রাখা হইয়াছে ।

অদল বদল

হোলির দিনের পড়ন্ত বিকেল । নিম গাছের নীচে গাঁয়ের একদল ছেলে জড়ো হয়ে ধুলো ছোড়াছুড়ি করে খেলছিল । হাত ধরাধরি করে অমৃত ও ইসাব ওদের কাছে এল । দুজনের গায়েই সেদিনকার তৈরি নতুন জামা ।