সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : সালোকসংশ্লেষ

Submitted by arpita pramanik on Thu, 12/29/2011 - 22:00

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : সালোকসংশ্লেষ (Photosynthesis)

Short question type answer

1.  সবুজ উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় খাদ্য প্রস্তুত করে ।

2.  সালোকসংশ্লেষ উপচিতি জাতীয় বিপাক ক্রিয়া ।

3.  সালোকসংশ্লেষ সূর্যালোকের উপস্থিতিতে অর্থাৎ দিনের বেলায় সম্পন্ন হয় । তবে কৃত্রিম আলোতেও সালোকসংশ্লেষ সম্ভব ।

4. উদ্ভিদের সকল ক্লোরোফিলযুক্ত কোষে বিশেষত পাতার মেসোফিল কলায় সালোকসংশ্লেষ ঘটে ।

5.  সবুজ পাতার মেসোফিল কলায় সালোকসংশ্লেষ ঘটে ।

6.  যেসব জীবের দেহে ক্লোরোফিল আছে তারাই সালোকসংশ্লেষে সক্ষম ।  যেমন-  সবুজ উদ্ভিদ ।

7.  যেসব জীবের দেহে ক্লোরোফিল নেই তারা সালোকসংশ্লেষে অক্ষম । যেমন- প্রাণী, মৃতজীবি উদ্ভিদ (ছত্রাক, মনোট্রপা), পরজীবি উদ্ভিদ (স্বর্ণলতা) প্রভৃতি ।

8.  ছত্রাক জাতীয় উদ্ভিদ (ইস্ট, অ্যাগারিকাস, পেনিসিলিয়াম), মৃতজীবি সপুষ্পক উদ্ভিদ (মনোট্রপা), সপুষ্পক পরজীবি উদ্ভিদ( স্বর্ণলতা) ইত্যাদি ক্লোরোফিলবিহীন উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষ করতে পারে না ।

9.  সালোকসংশ্লেষে সক্ষম দুটি প্রাণীর নাম হল ইউগ্লিনা ও ক্রাইস্যামিবা

10.  সবুজ উদ্ভিদ ছাড়া স্বভোজি  ব্যাকটেরিয়া (ক্লোরোবিয়াম), ইউগ্লিনা ও ক্রাইস্যামিবা নামক প্রাণী  সালোকসংশ্লেষে সক্ষম ।

11.   সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি হল জল (H2O),  কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2), সুর্যালোক ও ক্লোরোফিল

12.  সালোকসংশ্লেষে প্রয়োজনীয় উপাদানগুলির  মধ্যে জল (H2O),  কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) কাঁচা মাল হিসাবে পরিচিত ।

13.  সালোকসংশ্লেষের উপাদানগুলির মধ্যে ক্লোরোফিল হল আভ্যন্তরীণ উপাদান

14.  সালোকসংশ্লেষের উপাদানগুলির মধ্যে জল (H2O), কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) ও  সুর্যালোক হল বাহ্যিক উপাদান

15.  সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার ক্লোরোফিল উপাদানটি সুর্যালোক শোষনে সক্ষম ।

16.  ক্লোরোফিল সুর্যালোকের ফোটন কণা শোষন করে ।

17.  সালোকসংশ্লেষে জল(H2O) ও  কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) উপাদান দুটির বিক্রিয়ায় গ্লুকোজ তৈরি হয় ।

18.  সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়াটি আলোক দশা ও অন্ধকার দশায় বিভাক্ত ।

19.  ক্লোরোপ্লাস্টের গ্রানায় আলোক দশা ঘটে ।

20.  ক্লোরোপ্লাস্টের স্ট্রোমায়  সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার  অন্ধকার দশা ঘটে ।

21.  সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার অন্ধকার দশায় ব্যবহৃত কাঁচামালটির নাম কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2)

22.  সালোকসংশ্লেষের যে কাঁচামালটি আলোক দশা ও অন্ধকার দশা উভয় দশাতেই ব্যবহৃত হয় তা হল জল (H2O)  ।

23.  সালোকসংশ্লেষের বিক্রিয়াকালে কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) উপাদানটি বিজারিত হয় ।

24.  অন্ধকার দশায় অঙ্গার আত্তীকরণ (Carbon assimilation) ঘটে ।

25.  সবুজ উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষের জন্য যে মৌলকে যৌগরূপে সরাসরি বাতাস থেকে গ্রহন তা হল কার্বন

26.   উদ্ভিদের যে জৈবিক প্রক্রিয়ায় সৌরশক্তি রাসায়নিক শক্তিতে পরিণত হয় তা হল সালোকসংশ্লেষ

27.   সালোকসংশ্লেষের আলোক দশায় সৌরশক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে ATP অণুর মধ্যে আবদ্ধ হয় ।

28.  সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় সৌরশক্তি স্থৈতিক শক্তিরূপে খাদ্যে আবদ্ধ হয় ।

29.  প্রতি গ্রাম-অণু গ্লুকোজে 686 K.Cal ক্যালরি শক্তি আবদ্ধ থাকে ।

30.  অন্ধকার দশা বা কেলভিন চক্রের প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে ATP

31.  সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয় শক্তি আসে সুর্য থেকে ।

32.  ATP এর পুরো নাম হল অ্যাডিনোসিন ট্রাই ফসফেট

33.   ADP এর পুরো নাম হল অ্যাডিনোসিন ডাই ফসফেট

34.   NADP এর পুরো নাম হল নিকোটিনামাইড অ্যাডিনিন ডাই নিউক্লিওটাইড ফসফেট

35.  NADPH এর পুরো নাম হল বিজারিত নিকোটিনামাইড অ্যাডিনিন ডাই নিউক্লিওটাইড ফসফেট

36.  RuBP এর পুরো নাম হল রিবিউলোজ বিস ফসফেট

37.  PGA ও  PGAld  এর পুরো নাম হল যথাক্রমে ফসফোগ্লিসারিক অ্যাসিড ও ফসফোগ্লিসারলডিহাইড

38.  সালোকসংশ্লেষে সাহায্যকারী দুটি কো-এনজাইম বা সহ-উৎসেচক হল NADP ও ADP  ।

39. সালোকসংশ্লেষের জন্য প্রয়োজনীয় একটি জৈব উৎসেচক হল RuBisCO বা রিবিউলোজ বিস ফসফেট কার্বক্সিলেজ

40.  RuDP এর পুরো নাম হল রিবিউলোজ ডাই ফসফেট

41.  ADP  থেকে  ATP তৈরি হবার জন্য দরকার  Pi বা অজৈব ফসফেট

42.  সালোকসংশ্লেষের আলোক দশায় NADP হিল বিকারকের কাজ করে  ।

43.  সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন প্রথম স্থায়ী কার্বন যুক্ত যৌগটির নাম ফসফোগ্লিসারিক অ্যাসিড (PGA)

44.  ফসফোগ্লিসারিক অ্যাসিড (PGA) তিন কার্বন যুক্ত (3-C) যৌগ

45. [tex]{H_2}O \mathop \longrightarrow\limits_{Sunlight}^{Chlorophyll}{H^+} + O{H^-}[/tex]   বিক্রিয়াটিকে আলোকবিশ্লেষণ বা ফটোলাইসিস বলে ।

46.  জলের আলোক বিশ্লেষণ বা ফটোলাইসিসে সাহায্য করে সক্রিয় ক্লোরোফিল

47.  সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় ক্লোরোফিল  জৈব অনুঘটক হিসাবে কাজ করে ।

48.  জলের ফটোলাইসিস প্রক্রিয়াটি আবিষ্কার করেন রবার্ট হিল

49.  সালোকসংশ্লেষের অন্ধকার দশাটি উৎসেচক নির্ভার ।

50.  সালোকসংশ্লেষের অন্ধকার দশায় কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের প্রয়োজন হয় ।

51.  আলোক দশায় জল(H2O) যৌগটি জারিত হয় ।

52.  আলোক দশার শেষে NADPH2,  ATP ও O2 (অক্সিজেন)  উৎপন্ন হয় ।

53.  সালোকসংশ্লেষে যে সমস্ত পদার্থ উৎপন্ন হয় তা হল গ্লুকোজ, জল ও অক্সিজেন

54.  সালোকসংশ্লেষে উপজাত পদার্থরূপে জল ও অক্সিজেন উৎপন্ন হয় ।

55.  সালোকসংশ্লেষে উৎপন্ন গ্লুকোজ অবশেষে স্টার্চ বা শ্বেতসারে পরিণত হয় ।

56.  গ্লুকোজের উপাদানগুলি হল কার্বন (C),  হাইড্রোজেন (H) ও অক্সিজেন (O)

57.  সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় হাইড্রোজেন গ্রাহক পদার্থ হল NADP

58.  সালোকসংশ্লেষে উৎপন্ন  খাদ্য উদ্ভিদের সঞ্চয়ী অঙ্গে স্টার্চ বা শ্বেতসার রূপে জমা থাকে ।

59. পৃথিবীর যাবতীয় শ্বেতসার জাতীয় পদার্থে কার্বনের উৎস হল কার্বন ডাই-অক্সাইড

60.  উদ্ভিদের যে জৈবিক ক্রিয়ার ফলে পরিবেশে অক্সিজেন নির্গত হয় তার নাম সালোকসংশ্লেষ

61.  উদ্ভিদের যে জৈবিক ক্রিয়ায় বায়ুমন্ডলে CO2 ( কার্বন ডাই-অক্সাইড) গ্যাসের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং  O2 (অক্সিজেন) -এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তার নাম সালোকসংশ্লেষ

62.  সালোকসংশ্লেষের বিপরীত জৈবনিক প্রক্রিয়াটি হল শ্বসন

63.  সবুজ উদ্ভিদে দিনের বেলায় CO2 ( কার্বন ডাই-অক্সাইড) গ্যাস সৃষ্টি হয় কারণ সবুজ উদ্ভিদে দিনের বেলায় শ্বসন ক্রিয়া চলে ।

64.  নিমজ্জিত জলজ উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষের জন্য প্রয়োজনীয় CO2 ( কার্বন ডাই-অক্সাইড) সংগ্রহ করে জলে দ্রবীভূত কার্বন ডাই-অক্সাইড বা বাইকার্বনেট ([tex]HCO_3^ - [/tex]) থেকে ।

65.  সালোকসংশ্লেষের জন্য স্থলজ উদ্ভিদ মাটির কৈশিক জল (Capillary Water)  গ্রহন করে ।

66. পরাশ্রয়ী উদ্ভিদরা সালোকসংশ্লেষের জন্য বায়ুমণ্ডল থেকে জলীয় বাষ্প গ্রহন করে ।

67. পরাশ্রয়ী উদ্ভিদরা ভেলামেনের সাহায্যে বায়ুমণ্ডল থেকে জলীয় বাষ্প গ্রহন করে ।

68.  উদ্ভিদের শ্বসন প্রক্রিয়ায় বাযুমণ্ডলের অক্সিজেনের ঘাটতি এবং সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় তার পূরণ হয় ।

69.  সালোকসংশ্লেষে ফটোফসফোরাইলেশন প্রক্রিয়ায় ATP উপন্ন হয় ।

70.  প্রাণীকোষ ও ছত্রাকে ক্লোরোফিল না থাকায় সালোকসংশ্লেষ হয় না ।

71.  রাতে সূর্যালোক না থাকায় সালোকসংশ্লেষ হয় না । তবে উপযুক্ত কৃত্রিম আলোতে সালোকসংশ্লেষ সম্ভব ।

72.  প্রধান সালোকসংশ্লেষীয় রঞ্জকটির নাম ক্লোরোফিল

73.  সূর্যালোকের 400-700 nm আলোক তরঙ্গে সালোকসংশ্লেষ সংঘটিত হয় ।

74.  দুটি আনুষাঙ্গিক সালোকসংশ্লেষীয় রঞ্জকের নাম হল ক্যারোটিন ও জ্যান্থোফিল

75.  সালোকসংশ্লেষে CO2 ( কার্বন ডাই-অক্সাইড) সংবন্ধনকারী পদার্থটির নাম রিবিউলোজ বিস ফসফেট (RuBP)

76.  কেবল মাত্র কাণ্ডে সালোকসংশ্লেষ ঘটে এরূপ দুটি উদ্ভিদের নাম ফনীমনসা ও বাজবরণ

77.  গুলঞ্চ, পানিফল ও অর্কিড প্রভৃতির মূলে সালোকসংশ্লেষ ঘটে ।

78.  RuBP, কার্বন ডাই-অক্সাইডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ফসফোগ্লিসারিক অ্যাসিড (PGA) উৎপন্ন করে ।

79.  মাইটোকনড্রিয়া ও ক্লোরোপ্লাসটিডের মধ্যে  ক্লোরোপ্লাসটিডকে খাদ্য তৈরির কারখানা বলে ।

80.  যে মৌলিক পদার্থের বা খনিজ পদার্থের অভাবে উদ্ভিদের ক্লোরোসিস হয় তা হল ম্যাগনেসিয়াম (Mg)

81.  লাল ও বেগুনী বর্ণের আলোতে সালোকসংশ্লেষ সবচেয়ে বেশি হয় ।

82.  সালোকসংশ্লেষে উপজাত অক্সিজেনের উৎস হল জল (H2O) ।

83.  সালোকসংশ্লেষে উৎপন্ন গ্লুকোজ অণুর অক্সিজেনের উৎস হল কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) ।

84.  অন্ধকার দশায় আলোর দরকার হয় না বলে অন্ধকার দশাকে আলোক নিরপেক্ষ দশা বলে ।

85.  ক্লোরোপ্লাস্টের স্ট্রোমায় গ্লুকোজ উৎপন্ন হয় ।

86.  সালোকসংশ্লেষে সাহায্যকারী যে সমস্ত রঞ্জক শোষিত শক্তিকে রাসায়নিক শক্তিতে আবদ্ধ করতে পারে না তা হল ক্যারোটিন ও জ্যান্থোফিল

87.  সালোকসংশ্লেষের রাসায়নিক সমীকরণটি হল  [tex]6C{O_2}+12{H_2}O \mathop \longrightarrow \limits_{Chlorophyll}^{Sunlight}{C_6}{H_{12}}{O_6} + 6{O_2} \uparrow + 6{H_2}O [/tex]

88.  সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার জারক পদার্থটি হল CO2 (কার্বন ডাই-অক্সাইড) ও বিজারক পদার্থটি হল H2O

89. সালোকসংশ্লেষে সক্ষম একটি এককোষী উদ্ভিদের নাম হল ক্লোরেল্লা নামক এককোষী শ্যাওলা ।

90.  অর্কিডের জলীয় বাষ্প শোষণকারী কলার নাম ভেলামেন

91.  সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন জলকে বিপাকীয় জল বলে ।

92.  রাত্রে যে উৎসেচকের প্রভাবে অদ্রবণীয় শ্বেতসার উদ্ভিদদেহে পুনরায় দ্রবণীয় গ্লুকোজে পরিণত হয় তা হল ডায়াস্টেজ

93. সালোকসংশ্লেষের দুটি অভ্যন্তরীণ প্রভাবকের নাম হল ক্লোরোফিল ও উৎসেচক

94.  সালোকসংশ্লেষে স্থৈতিক শক্তি গ্লুকোজের মধ্যে আবদ্ধ থাকে ।

95.  সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় 1-অণু গ্লুকোজ উৎপাদনের জন্য 6 অণু কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2)  প্রয়োজন ।

96.  সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় 1-অণু গ্লুকোজ উৎপাদনের জন্য 12 অণু জল (12H2O)  প্রয়োজন ।

97.  কোষের অ্যামাইলোপ্লাস্টে শ্বেতসার সঞ্চিত থাকে ।

98.  সূর্যালোকের যে তেজোময় বা শক্তিময় কণা ক্লোরোফিলকে সক্রিয় করে তাকে ফোটন বলে ।

99.  সালোকসংশ্লেষে অঙ্গার আত্তীকরণ (Carbon assimilation) ঘটে অন্ধকার দশায়

100.  বিজ্ঞানী ব্ল্যাকমান প্রথম প্রমাণ করেন যে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়াটি আলোক দশা ও অন্ধকার দশায় বিভক্ত ।

101.  কেলভিন ও তাঁর সহকর্মীরা ক্লোরেল্লা (Chlorella) নামক সবুজ শ্যাওলার ওপর গবেষণা করে অন্ধকার দশা আবিষ্কার করেন ।

102.  জলের ফটোলাইসিসে যে যে আয়ন সাহায্য করে তা হল ম্যাঙ্গানিজ আয়ন (Mn++) ও ক্লোরাইড আয়ন (Cl-) ।

103.  ক্লোরোফিল  পেট্রোলিয়াম, ইথার, অ্যালকোহল ও ক্লোরোফর্মে দ্রবণীয় ।

104.  সবুজ উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষ তাপগ্রাহী বিক্রিয়া কিন্তু ব্যাকটেরিয়ার সালোকসংশ্লেষ তাপমোচী বিক্রিয়া ।

105.  সালোকসংশ্লেষ ছাড়া রাসায়নিক সংশ্লেষ বা কেমোসিন্থেসিস প্রক্রিয়ায় খাদ্য উৎপন্ন হতে পারে ।

106.  কোষে সঞ্চয়ের জন্য শর্করা উদ্ভিদকোষে শ্বেতসার বা স্টার্চ আর প্রাণীকোষে গ্লাইকোজেন এ রূপান্তরিত হয় ।

107.  সালোকসংশ্লেষের যে দশায়  CO2 ( কার্বন ডাই-অক্সাইড) বিজারিত হয় তা হল অন্ধকার দশা

108.   সালোকসংশ্লেষে উপজাত হিসাবে উৎপন্ন অক্সিজেনের উৎস হল জল

109.   সালোকসংশ্লেষ এক রকমের উপচিতি বিপাক ক্রিয়া ।

110.   সালোকসংশ্লেষের ফলে উৎপন্ন গ্লুকোজ অণুর অক্সিজেনের উৎস হল CO2 ( কার্বন ডাই-অক্সাইড) ।

111.  পাতায় ক্লোরোফিল থাকায় পাতার সবুজ রং হয় ।

112.  ক্লোরোফিল সূর্যালোকের ফোটন কণা শোষণ করে ।

113.  সালোকসংশ্লেষের রাসায়নিক সমীকরণটি হল  [tex]6C{O_2}+12{H_2}O \mathop \longrightarrow \limits_{Chlorophyll}^{Sunlight}{C_6}{H_{12}}{O_6} + 6{O_2} \uparrow  + 6{H_2}O [/tex]

114.  ছত্রাক জাতীয় উদ্ভিদে ক্লোরোফিলের অভাবে সালোকসংশ্লেষ হয় না ।

115.  সালোকসংশ্লেষে নির্গত অক্সিজেনের উৎস হল শোষিত জল

116.  সালোকসংশ্লেষের ফলে উদ্ভিদের শুষ্ক ওজন বৃদ্ধি পায় ।

117.  ফটোলাইসিস ঘটে ক্লোরোপ্লাস্টের গ্রানা অংশে ।

118. অঙ্গার আত্তীকরণ (Carbon assimilation) ঘটে ক্লোরোপ্লাস্টের স্ট্রোমা অংশে ।

119. সালোকসংশ্লেষে শক্তির উৎস হল সুর্য

120.  সকল জীবের খাদ্যের উৎস হল সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া ।

121.  সালোকসংশ্লেষে উপজাত পদার্থরূপে অক্সিজেন গ্যাস উৎপন্ন হয় ।

122.  সালোকসংশ্লেষের সময় উদ্ভিদের সঞ্চয় অঙ্গে শ্বেতসার রূপে খাদ্য জমা হয় ।

123.  সালোকসংশ্লেষ-এর সময় CO2 (কার্বন ডাই-অক্সাইড) গ্যাস গৃহিত হয় ।

124.  সালোকসংশ্লেষে উৎপন্ন প্রথম স্থায়ী কার্বনযুক্ত যৌগটি হল PGA

125.  কার্বন ডাই-অক্সাইডের কার্বন গ্লুকোজে অঙ্গীভূত হওয়াকে অঙ্গার-আত্তীকরণ (Carbon assimilation) বলে ।

126.  সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় বায়ুমন্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ।

127.  সালোকসংশ্লেষের আলোক দশায় সৌরশক্তি রাসায়নিক শক্তিতে পরিণত হয় ।

128.  সালোকসংশ্লেষের অন্ধকার দশায় ATP -এর মধ্যে সঞ্চিত রাসায়নিক শক্তি খাদ্যের মধ্যে স্থিতিশক্তি রূপে আবদ্ধ থাকে ।

129.  পৃথিবীতে সমস্ত শক্তির মূল উৎস হল সুর্য

130.  ATP কে এনার্জি কারেন্সি বলে ।

131.  উদ্ভিদদেহে ক্লোরোসিস ঘটে ম্যাগনেসিয়াম -এর অভাবে ।

132.  সালোকসংশ্লেষের জন্য উন্নত উদ্ভিদে উপস্থিত মূখ্য রঞ্জক হল ক্লোরোফিল

133.  সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় কাঁচামাল হিসেবে CO2 (কার্বন ডাই-অক্সাইড) ও  H2O ব্যবহৃত হয় ।

134. অঙ্গার আত্তিকরণের সময় শক্তির উৎস হল  ATP  ।

135.  উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষ -এর ফলে পরিবেশে O2 (অক্সিজেন) -এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ।

136.  CO2 (কার্বন ডাই-অক্সাইড) অণু এবং H2O অণু সৌরশক্তির সাহায্যে গ্লুকোজ অণুতে পরিণত হয়  ।

*****

Related Items

উদ্ভিদ দেহে ট্রপিক চলন

উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের গতিপথ অনুসরন করে হয় তখন তাকে ট্রপিক চলন বা দিকনির্ণীত চলন বা ট্রপিজম বলে। ট্রপিক চলনের প্রকারভেদ, ফটোট্রপিক চলন, ফটোট্রপিক চলনের পরীক্ষা, জিওট্রপিক চলন, জিওট্রপিক চলনের পরীক্ষা, হাইড্রোট্রপিক চলন ...

উদ্ভিদ দেহে ট্যাকটিক চলন

ট্যাকটিক চলন - বহিঃস্থ উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদ বা উদ্ভিদ অঙ্গের স্থান পরিবর্তন কে আবিষ্ট চলন বা ট্যাকটিক চলন বলে। ট্যাকটিক চলনের প্রকারভেদ , ফটোট্যাকটিক, থার্মট্যাকটিক, কেমোট্যাকটিক, হাইড্রোট্যাকটিক।

উদ্ভিদের চলন (Movement of Plants)

উদ্ভিদের চলন - বেশির ভাগ উদ্ভিদের কোনো নির্দিষ্ট গমন অঙ্গ থাকে না, তারা মূলের সাহায্যে মাটিতে আবদ্ধ থাকে। কোনো কোনো দুর্বল কাণ্ড বিশিষ্ট ও লতানে উদ্ভিদের আকর্ষ থাকে। প্রকারভেদ , ট্যাকটিক চলন , ট্রপিক চলন , ন্যাস্টিক চলন।

পুষ্টি সম্পর্কিত কয়েকটি পার্থক্য

পুষ্টি সম্পর্কিত কয়েকটি পার্থক্য , স্বভোজী ও পরভোজী মধ্যে পার্থক্য; মৃতজীবী , পরজীবী ও মিথোজীবী মধ্যে পার্থক্য; উপচিতি বিপাক ও অপচিতি বিপাক মধ্যে পার্থক্য ; বিপাক ও পরিপাক মধ্যে পার্থক্য..

জীবদেহে খাদ্যের গুরুত্ব

যে সমস্ত আহার্য সামগ্রী গ্রহণের মাধ্যমে জীবদেহের পুষ্টি, বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণ ঘটে এবং প্রয়োজনীয় তাপশক্তি যোগান পাওয়া যায়, তাদের খাদ্য বলে। খাদ্যর প্রকারভেদ, দেহ পরিপোষক খাদ্য, একটি মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য,