সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : শ্বসন (Respiration)

Submitted by arpita pramanik on Mon, 01/02/2012 - 18:22

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : শ্বসন (Respiration) :

1.  যে জৈবিক প্রক্রিয়ায় কোষমধ্যস্থ খাদ্য জারিত হয়ে খাদ্যস্থ  স্থৈস্তিক শক্তি গতিশক্তিতে পরিণত হয় তাকে শ্বসন (Respiration) বলে ।

2.  শ্বসনের (Respiration) মূল উদ্দেশ্য হল খাদ্যস্থ স্থৈতিক শক্তিকে গতিশক্তিতে পরিনত করা ।

3.  জীব শ্বসনে (Respiration) উৎপন্ন তাপশক্তি বা গতিশক্তি ব্যয় করে দেহের বিভিন্ন জীবন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ।

4.  শ্বসন (Respiration) শেষে তাপশক্তি বা গতিশক্তি নির্গত হয় ।

5.  প্রত্যেক সজীব কোষে দিবারাত্র (অবিরাম) শ্বসন (Respiration) ঘটে ।

6.  শ্বসনের (সবাত শ্বসন) প্রথম পর্যায় অর্থাৎ গ্লাইকোলাইসিস (Glycolysis) কোষের সাইটোপ্লাজমে এবং দ্বিতীয় পর্যায় অর্থাৎ ক্রেবস-চক্র (Krebs Cycle) কোষঅঙ্গাণু মাইটোকনড্রিয়ায় (Mitochondria) ঘটে ।

7.  যে যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রাণীদেহে শ্বাস গ্রহন (প্রশ্বাস) (Inspiration) ও শ্বাস ত্যাগ (নিশ্বাস) (Expiration) কার্য সম্পন্ন হয়, তাকে শ্বাসকার্য (Breathing) বলে ।

8.  শ্বাসকার্যে (Breathing) শক্তির রূপান্তর ঘটে না, কেবল গ্যাসীয় বিনিময় ঘটে ।

9.  প্রাণীদের প্রধান শ্বসন বস্তুটি হল গ্লুকোজ

10. শ্বাসকার্যের (Breathing) দুটি পর্যায় , যথা (i) প্রশ্বাস (শ্বাস গ্রহন)  ও (ii) নিশ্বাস (শ্বাস ত্যাগ)

11.  জীবের শ্বসনের (Respiration) জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে গ্রহন করে ।

12.  শ্বসন প্রক্রিয়ায় বায়ুমন্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে ।

13.  শ্বসন প্রক্রিয়ায় বায়ুমন্ডলে CO2 (কার্বন ডাই-অক্সাইড) -এর পরিমাণ বাড়ে ।

14.  সবুজ উদ্ভিদে দিনের বেলায় CO2 (কার্বন ডাই-অক্সাইড) গ্যাস উৎপন্ন হয় ।  কারণ প্রতিটি সজীব কোষে দিনরাত শ্বসন ক্রিয়া চলে ।

15.  গাছের সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় বায়ুমন্ডলে CO2 (কার্বন ডাই-অক্সাইড) এর ঘাটতি হয় এবং শ্বসন ক্রিয়ায় তার পূরণ ঘটে ।

16.  শ্বসন প্রধানত দুই প্রকার - যথা  (i) সবাত শ্বসন (Aerobic Respiration)  (ii) অবাত শ্বসন (Anaerobic Respiration) ।

17.  সবাত শ্বসনে (Aerobic Respiration) কোষস্থ খাদ্যবস্তুর সম্পূর্ণ জারণ ঘটে ।

18.  সবাত শ্বসনে (Aerobic Respiration)মুক্ত বা বায়বীয় অক্সিজেন প্রয়োজন ।

19.  সবাত শ্বসনের প্রথম পর্যায়টি হল গ্লাইকোলাইসিস (Glycolysis) বা EMP- পথ এম্বডেন মেয়ারহফ পারনাস (Embden Mayerhof Parnes) এবং দ্বিতীয় পর্যায়টি হল ক্রেবস-চক্র (Krebs Cycle) বা সাইট্রিক অ্যাসিড চক্র বা TCA-চক্র 

20.  সবাত শ্বসনের (Aerobic Respiration) প্রথম পর্যায় গ্লাইকোলাইসিস (Glycolysis) কোষের সাইটোপ্লাজমে ঘটে এবং দ্বিতীয় পর্যায় ক্রেবস-চক্র (Krebs Cycle) কোষের  মাইটোকনড্রিয়ায় (Mitochondria) ঘটে ।

21.  সবাত শ্বসনের (Aerobic Respiration)রাসায়নিক সমীকরণটি হল [tex]{C_6}{H_{12}}{O_6} + 6{O_2} \to 6C{O_2} + 6{H_2}O + 686K.Cal[/tex] ।

[tex]{C_6}{H_{12}}{O_6}[/tex] = গ্লুকোজ,    [tex]6{O_2}[/tex] = অক্সিজেন,   [tex]6C{O_2} [/tex] = কার্বন ডাই-অক্সাইড,  [tex]6{H_2}O[/tex] = জল,   [tex]686K.Cal[/tex] = শক্তি

22. সবাত শ্বসনে (Aerobic Respiration) এক গ্রাম অণু গ্লুকোজ সম্পূর্ণ জারিত হলে 686 K.Cal পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয় ।

23.  যে কোষঅঙ্গাণুর মধ্যে সবাত শ্বসন (Aerobic Respiration) ঘটে তা হল মাইটোকনড্রিয়া (Mitochondria) ।

24.  সবাত শ্বসনের প্রথম পর্যায় গ্লাইকোলাইসিস (Glycolysis) কোষের সাইটোপ্লাজমে ঘটে ।

25.  ক্রেবস-চক্রে (Krebs Cycle) উৎপন্ন একটি ট্রাইকার্বক্সিলিক অ্যাসিডের নাম হল সাইট্রিক অ্যাসিড

26.  ক্রেবস-চক্র (Krebs Cycle) প্রক্রিয়ার প্রথম জৈব অম্ল -এর নাম সাইট্রিক অ্যাসিড ।

27.  সবাত শ্বসনের ক্রেবস-চক্র (Krebs Cycle) পর্যায়টি  মাইটোকনড্রিয়ায় (Mitochondria) ঘটে ।

28.  যে কোষঅঙ্গাণুর অভাবে জীবদেহে সবাত শ্বসন ব্যাহত হবে তা হল মাইটোকনড্রিয়া (Mitochondria) ।

29.  RBC তে মাইটোকনড্রিয়া (Mitochondria) না থাকে সবাত শ্বসন হয় না ।

30.  মাইটোকনড্রিয়ার (Mitochondria) প্রধান কাজ হল কোষীয় শ্বসন (বিশেষত ক্রেবস-চক্র) (Krebs Cycle) পরিচালনার মাধ্যমে ATP উৎপাদন ও শক্তি নির্গমন করা

31. একটি সজীব কোষের সকল মাইটোকনড্রিয়া (Mitochondria) নষ্ট হলে সবাত শ্বসনের ক্রেবস-চক্র (Krebs Cycle) ঘটবে না

32.  এক অণু গ্লুকোজ সবাত শ্বসনে সম্পূর্ণ জারিত হয়ে 38 অণু ATP উৎপন্ন করে

33.  গ্লাইকোলাইসিসের (Glycolysis) শেষে 2 অণু ATP উৎপন্ন হয় ।

34.  ক্রেবস-চক্রে (Krebs Cycle) 24 অণু ATP উৎপন্ন হয় ।

35.  অবাত শ্বসন কোষের সাইটোপ্লাজমে ঘটে ।

36.  এক অণু গ্লুকোজ থেকে গ্লাইকোলাইসিসের (Glycolysis) শেষে 2 অণু পাইরুভিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয় ।

37.  গ্লাইকোলাইসিসের (Glycolysis) অপর নাম EMP পথ বা এম্বডেন মেয়ারহফ পারনাস (Embden Mayerhof Parnes) পথ ।

38.  ক্রেবস-চক্রের (Krebs Cycle) অপর নাম সাইট্রিক অ্যাসিড চক্র বা TCA চক্র বা ট্রাইকার্বক্সিলিক অ্যাসিড চক্র

39.  সবাত ও অবাত শ্বসনের সাধারণ পর্যায়টি হল গ্লাইকোলাইসিস (Glycolysis) ও সর্বশেষ উৎপন্ন পদার্থটি হল পাইরুভিক অ্যাসিড

40.  যে উদ্ভিদে অবাত শ্বসন ঘটে তা হল ঈস্ট এবং যে প্রাণীদেহে অবাত শ্বসন ঘটে তা হল ফিতাকৃমি

41.  ডিনাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া, মিথেন ব্যাকটেরিয়া ও সালফার ব্যাকটেরিয়ার দেহে অবাত শ্বসন ঘটে ।

42.  অবাত শ্বসনের ফলে উদ্ভিদকোষে ইথাইল অ্যালকোহল (C2H5OH) ও কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয় আর প্রাণীকোষে ল্যাকটিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয় ।

43.  অবাত শ্বসনের ফলে মানবদেহের ঐচ্ছিক পেশিকোষে ল্যাকটিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয় ।

44.  অবাত শ্বসনের রাসায়নিক সমীকরণটি হল [tex]{C_6}{H_{12}}{O_6} + 12N{O_3}  \to 6C{O_2} + 6{H_2}O + 12N{O_3} + 50 K.Cal[/tex] ।

 [tex]{C_6}{H_{12}}{O_6}[/tex] = গ্লুকোজ,   [tex] 12N{O_3} [/tex] = নাইট্রেট,  [tex]6C{O_2} [/tex] = কার্বন ডাই-অক্সাইড,  [tex]6{H_2}O[/tex] = জল,  [tex]50 .Cal[/tex] = শক্তি ।

45.  অবাত শ্বসনে যেসব অক্সিজেনযুক্ত যৌগ (অজৈব অক্সাইড) অংশ নেয় তার মধ্যে দুটি হল [tex]NO_3^ -  [/tex] (নাইট্রেট)[tex]SO_4^ =  [/tex] (সালফেট)

46.  যে প্রাণী বায়ুশূন্য স্থানে শ্বসন চালাতে পারে তা হল মনোসিস্টিস (প্রাণী) এবং  যে উদ্ভিদ বায়ুশূন্য স্থানে শ্বসন চালাতে পারে তা হল ঈস্ট (ছত্রাকজাতীয় উদ্ভিদ)

47.  বীজের অঙ্কুরোদগমের সময় উদ্ভিদে অবাত শ্বসন হয় ।

48.  আণুবীক্ষনিক ছত্রাক (ঈস্ট)ব্যাকটেরিয়া জাতীয় জীবে শ্বসনের সন্ধান (Fermentation) ঘটে ।

49.  কোহল সন্ধানে সাহায্যকারী একটি উৎসেচকের (Enzyme) নাম হল জাইমেজ

50.  সন্ধানকারী একটি ব্যাকটেরিয়ার নাম ল্যাকটোব্যাসিলাস এবং ছত্রাকের নাম ঈস্ট 

51.  যে এক কোষী ছত্রাক মিষ্টি রসকে গাঁজিয়ে দেয় তার নাম ঈস্ট

52. কোহল সন্ধানে কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) গ্যাস উৎপন্ন হয় ।

53.  ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়ায় ল্যাকটিক অ্যাসিড সন্ধান (Fermentation) ঘটে ।

54.  ল্যাকটিক অ্যাসিড সন্ধানে কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) গ্যাস উৎপন্ন হয় না ।

55.  কোহল সন্ধানের রাসায়নিক সমীকরণ হল 

[tex]{C_6}{H_{12}}{O_6} \mathop \longrightarrow\limits^{Enzyme}{} 2C{H_3}COCOOH \to 2{C_2}{H_5}OH + 2C{O_2} + 50K.Cal[/tex]

56.  ল্যাকটিক অ্যাসিড সন্ধানের  রাসায়নিক সমীকরণ হল

[tex]{C_6}{H_{12}}{O_6} \mathop \longrightarrow\limits^{Enzyme}{} 2C{H_3}COCOOH \to 2C{H_3}CH(OH)COOH + 36K.Cal[/tex]

57.  কয়েকটি সন্ধানীকৃত দ্রব্যের নাম হল সুরা বা অ্যালকোহল, ভিনিগার, ল্যাকটিক অ্যাসিড, দই, ইডলি, ধোসা

58.  প্রাণীদেহে শ্বসনের বিপরীত জৈবিক প্রক্রিয়াটি হল সালোকসংশ্লেষ

59.  উদ্ভিদের কোনো নির্দিষ্ট শ্বাসঅঙ্গ নেই । তবে পত্ররন্ধ্র (Stomata) ও সেন্টিসেল (Lenticell) দিয়ে উদ্ভিদ শ্বাসকার্য (Breathing) চালায় ।

60.  জলে নিমজ্জিত উদ্ভিদ শ্বসনের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সালোকসংশ্লেষ নির্গত অক্সিজেন ও জলে দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহন করে ।

61. পূর্ণ নিমজ্জিত জলজ উদ্ভিদে শ্বসনে প্রয়োজনীয় গ্যাসের আদানপ্রদান ঘটে সমগ্র উদ্ভিদদেহ দ্বারা ব্যাপন ক্রিয়ার মাধ্যমে ।

62.  সুন্দরী, গরাণ, গেঁও, কেওড়া প্রভৃতি লবণাম্বু উদ্ভিদে শ্বাসমূল বা নাসিকামুল বা নিউম্যাটোফোর (Pneumatophore)

থাকে ।

63.  গুল্ম ও বৃক্ষজাতীয় কাণ্ডের ত্বকে অবস্থিত যে সকল ডিম্বাকার ছিদ্রের মাধ্যমে গ্যাসীয় বিনিময় ঘটে তাদের লেন্টিসেল বলে ।

64.  আঙ্গুরের রসে গ্লুকোজ থাকে । খোলা বাতাসে রাখলে ইহা সন্ধান (Fermentation) প্রক্রিয়ায় ইথাইল অ্যালকোহল (C2H5OH)  তৈরি করবে ও দ্রবণটি গেঁজে উঠবে ।

65.  উদ্ভিদের দুটি শ্বাসঅঙ্গের নাম পত্ররন্ধ্র (Stomata) ও লেন্টিসেল (Lenticell) ।

66.  প্রহরীকোষ বা রক্ষীকোষ থাকে পাতার পত্ররন্ধ্রে (Stomata) ।

67.  যে দুটি অঙ্গ প্রাণীর শ্বাসকার্যে (Breathing) সাহায্য করে তা হল ফুলকা (Gills) (জলজ পরিবেশে) ও ফুসফুস (Lung) (স্থলজ পরিবেশে) ।

68.  কেঁচোজোঁকের (প্রাণী) ত্বক প্রধান শ্বাসঅঙ্গের কাজ করে ।

69.  কেঁচো তার ভিজে ত্বকের মাধ্যমে পরিবেশের সঙ্গে গ্যাসের আদানপ্রদান ঘটায় ।

70.  মানুষের প্রধান শ্বাসঅঙ্গ হল তার একজোড়া ফুসফুস

71.  তিমি ও ডলফিনের শ্বাসঅঙ্গ হল ফুসফুস

72.  কুমির ও টিকটিকির শ্বাসঅঙ্গ হল ফুসফুস

73.  অ্যামিবা, স্পঞ্জ ও হাইড্রা (প্রাণীরা) সমগ্র দেহতল দিয়ে গ্যাসীয় পদার্থের আদানপ্রদান ঘটায় ।

74.  পতঙ্গ শ্রেণির প্রাণী আরশোলা, প্রজাপতি, ফড়িং প্রভৃতি বায়ুনালি বা ট্রাকিয়ার সাহায্যে শ্বাসকার্য (Breathing) চালায় ।

75.  পতঙ্গদের  দশজোড়া শ্বাসছিদ্র বা স্পিরাকল আছে ।

76.  আরশোলার ট্রাকিয়া বা শ্বাসনালিগুলি যে ছিদ্র দ্বারা পরিবেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে তাকে শ্বাসছিদ্র বা স্পাইরাকল বলে ।

77.  ট্রাকিয়া বা শ্বাসনালি শ্বাসঅঙ্গের সাহায্যে O2 (অক্সিজেন) সরাসরি কোষে প্রবেশ করে ।

78.  পতঙ্গদের রক্তে কোনো শ্বাসরঞ্জক না থাকায় এদের রক্ত শ্বাসবায়ু পরিবহন করে না ।

79.   মাছের শ্বাসঅঙ্গের নাম ফুলকা (Gills)।

80.  তিমি, কুমির, কচ্ছপ প্রভৃতি জলজ প্রাণীর শ্বাসঅঙ্গ হল ফুসফুস ।

81.  চিংড়ি ও রাজ কাঁকড়ার শ্বাসঅঙ্গের নাম বুক-গিল বা বই ফুলকা (Gills) ।

82.  মাকড়সা ও কাঁকড়াবিছের শ্বাসঅঙ্গের নাম বুক লাং (Booklung)বা বই ফুসফুস

83.  কই, শিঙি ও মাগুর মাছের অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র থাকে  ।

84.  অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র থাকায় কই মাছ বা মাগুর মাছ (জিওল মাছ) বায়ু থেকে অক্সিজেন গ্রহন করতে পারে বলে ডাঙ্গায় অনেকক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে  ।

85.  পক্ষীশ্রেণির প্রাণীর  যেমন- পায়রার  ফুসফুসে এয়ারস্যাক বা বায়ুথলি থাকে ।

86.  পায়রার দেহে 9 টি বায়ুথলি বা এয়ারস্যাক  থাকে ।

87.  ব্যাঙাচির শ্বাসঅঙ্গের নাম বহিঃফুলকা (External Gills)

88.  ফুসফুসের আবরণের নাম প্লুরা

89.  মানব শ্বসনতন্ত্রের বায়ুথলি বা অ্যালভিওলাই -তে গ্যাসীয় পদার্থের আদানপ্রদান ঘটে ।

90.  ব্যাঙ (মেরুদন্ডি প্রাণী) জলে ও স্থলে উভয় পরিবেশেই শ্বাসক্রিয়া (Breathing) চালাতে সক্ষম  ।

91.  অ্যালভিওলাই থাকে ফুসফুসে

92.  মানুষের দুটি শ্বাস পেশির নাম হল মধ্যচ্ছদাইন্টারকস্টাল (পঞ্জরমধ্যস্থ) ।

93.  একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ মিনিটে 14-18 বার শ্বাসকার্য চালায় । (শিশুদের শ্বসনহার অপেক্ষাকৃত বেশি, মিনিটে 45-50 বার ) ।

94.  দুটি শ্বাস রঞ্জকের উদাহরণ হল হিমোগ্লোবিনহিমোসায়ানিন

95.  অক্সিহিমোগ্লোবিন যৌগ গঠিত হয়ে রক্তে অক্সিজেন পরিবাহিত হয় ।

96.  শীত ঘুমের সময় ব্যাঙ ত্বকের সাহায্যে শ্বাসকার্য (Breathing) চালায় ।

97.  সবাত শ্বসনে RQ (Respiratory Quotient) -এর মান 1 এবং অবাত শ্বসনে RQ (Respiratory Quotient) -এর মান অসংজ্ঞাত ।

98.  মুক্ত অক্সিজেন ছাড়াই শ্বসন হয় এমন একটি প্রাণীর নাম হল ফিতাকৃমি

99.  শ্বসনে এক অণু গ্লুকোজকে সম্পূর্ণরূপে জারিত করতে 6 অণু অক্সিজেন প্রয়োজন হয় ।

100.  মানুষের শ্বাসকেন্দ্র  মস্তিষ্কের মেডালা অবলংগাটাপনসে অবস্থিত ।

101.  গ্লাইকোলাইসিস (Glycolysis) ও ক্রেবস চক্রের (Krebs Cycle) মধ্যে যোগসুত্র রচনা করে অ্যাসিটাইল কো (2-C যুক্ত যৌগ)

102.  অক্সিডেটিভ ফসফোরাইলেশন প্রক্রিয়ায় সবাত শ্বসনে ATP সৃষ্টি হয় ।

103.  অক্সিডেটিভ ফসফোরাইলেশন ঘটে সবাত শ্বসনের শেষ পর্যায় প্রান্তীয় শ্বসনে

104.  R.Q. -এর পুরো নাম হল রেসপিরেটরি কোশেন্ট (Respiratory Quotient) ।

105.  গ্লুকোজের অসম্পূর্ণ জারণের জন্য অবাত শ্বসনে কম শক্তি উৎপন্ন হয় ।

106.  কই মাছের অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র ফুলের মত ।

107.  মাগুর মাছের অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র বৃক্ষাকার বলে একে শ্বাসবৃক্ষ বলে ।

108.  আরশোলার বক্ষ ও উদর অংশ জলে ডুবিয়ে রাখলে আরশোলাটি শ্বাসকার্য চালাতে পারবে না । কারণ বক্ষ ও উদর অংশের দু'পাশে অবস্থিত শ্বাসরন্ধ্রগুলি বন্ধ হয়ে যাবে

109.  অবাত শ্বসন কোষের সাইটোপ্লাজমে ঘটে ।

110.  ATP কে এনার্জি কারেন্সি বলে ।

111. শ্বসনে কোষের শুষ্ক ওজন কমে

112.  মাইটোকনড্রিয়াকে (Mitochondria) কোষের শক্তিঘর বলে ।

113. সন্ধান (Fermentation) এক বিশেষ ধরনের অবাত শ্বসন

114.  শ্বসন এক প্রকার অপচিতি বিপাক (Catabolic metabolism) ।

115.  ট্রাকিয়া পতঙ্গ শ্রেণির প্রাণীদের প্রধান শ্বাস অঙ্গ ।

116.  মধ্যচ্ছদা স্তন্যপায়ী প্রাণীদের শ্বাসকার্যে (Breathing) সাহায্য করে ।

117.  TCA চক্রের প্রথম জৈব অম্ল হল সাইট্রিক অ্যাসিড

118.  শ্বাসমূল (Pneumatophore) দেখা যায় লবণাম্বু উদ্ভিদে ।

119. পেশির ক্লান্তি ঘটায় ল্যাকটিক অ্যাসিড

120.  পেশিকোষে অবাত শ্বসনের ফলে উৎপন্ন পদার্থটির নাম ল্যাকটিক অ্যাসিড

121.  পতঙ্গের রক্তে কোনো শ্বাসরঞ্জক থাকে না, তাই এদের রক্ত শ্বাসবায়ু পরিবহন করে না ।

122.  জলজ প্রাণীদের প্রধান শ্বাসঅঙ্গ হল ফুলকা (Gills) ও স্থলজ প্রাণীদের প্রধান শ্বাসঅঙ্গ হল ফুসফুস (Lung) ।

123.  জিওল মাছের অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র থাকে ।

124.  ঈস্ট নামক এককোষী ছত্রাকে কোহল সন্ধান (Alcoholic Fermentation) ঘটে ।

125.  অ্যালভিওলাই পাওয়া যায় ফুসফুসে

126.   আরশোলার দেহের দু-পাশে মোট দশজোড়া শ্বাসছিদ্র বর্তমান ।

127.  শ্বসন প্রক্রিয়ায় খাদ্যস্থ স্থৈতিক শক্তি তাপশক্তি রূপে মুক্ত হয় ।

128.  পরিবেশে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের সমতা বজায় রাখতে সালোকসংশ্লেষশ্বসন প্রক্রিয়া সাহায্য করে ।

129.  গ্লাইকোলাইসিস (Glycolysis) হল সবাত শ্বসন, অবাত শ্বসন ও সন্ধানের সাধারণ পর্যায় ।

130.  গ্লাইকোলাইসিসে (Glycolysis) গ্লুকোজের অসম্পূর্ণ জারণ ঘটে ।

131.  স্তন্যপায়ীর RBC -তে গ্লাইকোলাইসিস (Glycolysis) প্রক্রিয়ায় শক্তি উৎপন্ন হয় ।

132.  শ্বসনে উৎপন্ন দুষণকারক গ্যাসটি হল CO2 (কার্বন ডাই-অক্সাইড) । 

*****

Related Items

প্রোটিনের কাজ ও গুরুত্ব

প্রোটিন, প্রোটিনের উৎস, প্রোটিনের কাজ ও গুরুত্ব, প্রোটিনের শ্রেণীবিভাগ, অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিড, প্রোটিনের অভাবজনিত রোগ, প্রোটিনের উৎস- বিভিন্ন ধরনের ডাল, সয়াবিন, বীন, গম ইত্যাদি মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের সাদা অংশ, ছানা ইত্যাদি ...

মানব দেহে কার্বোহাইড্রেটের কাজ ও গুরুত্ব

কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের সমন্বয়ে গঠিত যে জৈব যৌগে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন 2:1 অনুপাতে থাকে তাকে কার্বোহাইড্রেট বলে। কার্বোহাইড্রেটের বৈশিষ্ট্য, কার্বোহাইড্রেটের শ্রেণীবিভাগ, কার্বোহাইড্রেটের উদ্ভিদজ্য উৎস, কার্বোহাইড্রেটের প্রাণীজ উৎস, শর্করা খাদ্যের গুরুত্ব

মানবদেহে রক্ত চাপ

রক্তচাপ কাকে বলে ? ইহা কয় প্রকার ও কি কি ? এক জন সুস্থ স্বাভাবিক ব্যক্তির ক্ষেত্রে রক্ত চাপ কত ? রক্তচাপ পরিমাপক যন্ত্রটির নাম কি ? মানব দেহের কোন ধমনীতে রক্ত চাপ মাপা হয় ? সিস্টোলিক চাপ , ডায়াস্টোলিক চাপ , ধমনী কেটে গেলে ফিনকি দিয়ে কিন্তু শিরা কেটে গেলে গলগল করে রক্ত ...

হিমোগ্লোবিনের গুরুত্ব ও কাজ

হিমোগ্লোবিন অমেরুদণ্ডী প্রাণীর (কেঁচো) রক্ত রসে ও মেরুদণ্ডী প্রাণীর লোহিত রক্ত কণিকায় অবস্থিত এক প্রকারের লৌহ গঠিত, প্রোটিন জাতীয় রঞ্জক পদার্থ, যা প্রধানত অক্সিজেন পরিবহণ করে। পরিমাণ, কাজ, গ্যাসীয় বস্তু পরিবহণ, পিত্ত ও মল বর্ণ মুত্রের গঠন

মানবদেহে রক্ত তঞ্চন

রক্ত তঞ্চন - যে প্রক্রিয়ায় রক্ত জমাট বেঁধে অর্ধ কঠিন জেলির মত পদার্থে পরিণত হয়, তাকে রক্ত তঞ্চন বলে। , রক্ত তঞ্চনের সময়কাল , রক্ত তঞ্চন পদ্ধতি , রক্ত তঞ্চন বিরোধী পদার্থ , রক্ত বাহে রক্ত তঞ্চিত হয় না কেন ?