বদ্বীপ অঞ্চলের শ্রেণি বিভাগ

Submitted by avimanyu pramanik on Thu, 03/19/2015 - 08:55

বদ্বীপ অঞ্চলের শ্রেণি বিভাগ : গঙ্গার বদ্বীপ অঞ্চলকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যেমন— (১) মুমূর্ষ বদ্বীপ, (২) পরিণত বদ্বীপ ও (৩) সক্রিয় বদ্বীপ ।

(১) মুমূর্ষ বদ্বীপ : নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলার এই বদ্বীপ অংশে নদীগুলি গঙ্গা বা পদ্মা থেকে বিছিন্ন হয়ে মৃতপ্রায় হওয়ায় এই অঞ্চলের বদ্বীপ গঠন আর সম্ভব নয় । এখানে তাই প্রচুর বিল, জলাভূমি ও অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ দেখা যায় ।

(২) পরিণত বদ্বীপ : ছোটনাগপুরের মালভূমি থেকে নদীবাহিত প্রচুর বালি, কাঁকর, পলি প্রভৃতি জমে বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলী জেলায় এই বদ্বীপ অঞ্চলের গঠন প্রায় শেষ হয়েছে । তাই এখানে জলাভূমির সংখ্যা অনেক কম এবং মৃত্তিকাও বেশ কঠিন ।

(৩) সক্রিয় বদ্বীপ : উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং কলকাতা জেলার দক্ষিণে অবস্থিত সুন্দরবন অঞ্চলে নদী ও সমুদ্র বাহিত পলি দিয়ে বদ্বীপ গঠনের কাজ আজও চলছে । সমুদ্রের জোয়ারের প্রভাবে এখানকার মৃত্তিকা কিছুটা লবণাক্ত ।

*****

Related Items

ভারতীয় কৃষিতে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব

ভারতীয় কৃষিতে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব : ভারতীয় কৃষিতে মৌসুমি বায়ুর বিরাট প্রভাব রয়েছে । মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারতে প্রচুর পরিমাণে ধান, গম, পাট, আখ, তুলা বিভিন্ন ধরনের ডাল, নানান রকম তৈলবীজ, চা, কফি তামাক প্রভৃতি উৎপন্ন হয় ।

ভারতের মৌসুমি জলবায়ু

মৌসিম’ শব্দে এর অর্থ হল ঋতু । ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মৌসুমি বায়ু প্রবাহেরও পরিবর্তন হয় । স্থলভাগ ও জলভাগের উত্তাপের পার্থক্যের ফলে সমুদ্র বায়ু এবং স্থল বায়ুর মতো মৌসুমি বায়ুরও সৃষ্টি হয় । ভারতের জলবায়ু ও বৃষ্টিপাতে মৌসুমি বায়ুর বিরাট প্রভাব

ভারতের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য

ভারতের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য : মৌসুমি বায়ু দ্বারা ভারতের জলবায়ু বিশেষভাবে প্রভাবিত হওয়ায় ভারতবর্ষকে আর্দ্র মৌসুমি জলবায়ুর দেশ বলা হয় । ভারতের জলবায়ুর নিম্নলিখিত প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি পরিলক্ষিত হয়—

ভারতের প্রধান ঋতু — শীতকাল

শীতকাল (Winter) :

(১) শীত ঋতুটি ভারতে ডিসেম্বর মাসে শুরু হয়ে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয় ।

ভারতের প্রধান ঋতু — শরৎকাল

শরৎকাল [Autumn] :

(১) ভারতে এই ঋতুটি অক্টোবর মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয় ।