পাললিক মৃত্তিকা বা পলিমাটি

Submitted by avimanyu pramanik on Sat, 11/22/2014 - 15:11

পাললিক মৃত্তিকা (Alluvial soil) : ভারতের বিশাল সমভূমি অঞ্চলে এই মৃত্তিকা দেখা যায় । সাধারনভাবে এই মৃত্তিকা নদী-সঞ্চিত, তবে উপকূল অংশে সমুদ্রবাহিত পলিও এই মৃত্তিকার সৃষ্টি করে থাকে । এই পলি মৃত্তিকা ভারতের প্রায় অর্ধেক ভূভাগে বিস্তৃত রয়েছে । পাললিক মৃত্তিকাকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায় ।  (ক) খাদার মৃত্তিকা ও (খ) ভাঙ্গর মৃত্তিকা ।

(ক) খাদার মৃত্তিকা : নদীর প্লাবন ভুমিতে নবীন পলি দ্বারা খাদার মৃত্তিকা গঠিত হয় । খাদার মৃত্তিকায় বালির ভাগ বেশি থাকে । খাদার মৃত্তিকা প্রতি বছর পলি আচ্ছাদিত হয় বলে এর উর্বরতা ভাঙ্গর মৃত্তিকা থেকে বেশি । সাধারণত গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও অন্যান্য নদী তীরবর্তী অঞ্চলে খাদার মৃত্তিকা দেখা যায় ।

(খ) ভাঙ্গর মৃত্তিকা : নদী-দূরবর্তী উচ্চভূমিতে প্রাচীন পলি দ্বারা ভাঙ্গর মৃত্তিকা গঠিত হয় । ভাঙ্গর মৃত্তিকায় কাদার ভাগ বেশি । ভাঙ্গর মৃত্তিকা প্রতি বছর পলি আচ্ছাদিত হয় না বলে এর উর্বরতা খাদার মৃত্তিকার থেকে কম । পশ্চিমবঙ্গের রাঢ় অঞ্চলে ভাঙ্গর মৃত্তিকা পরিলক্ষিত হয় ।

*****

Related Items

বায়ুর উষ্ণতা (Air Temperature)

বায়ুর উষ্ণতা (Air Temperature) : বায়ুর উষ্ণতা বলতে বায়ুর তাপমাত্রাকে বোঝায় । বায়ুর উষ্ণ এবং শীতল অবস্থার তুলনামূলক পরিমাপকেই বায়ুর উষ্ণতা বলা হয় । সূর্যকিরণ হল বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার প্রধান উৎস । সূর্যের তাপ গ্রহণ বা তার প্রতিফলন ঘটিয়ে বায়ু উষ্ণ বা শ

ওজোন স্তর (Ozone Layer)

ওজোন স্তর (Ozone Layer) : বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় স্তরে অর্থাৎ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের মধ্যে ২০ - ৩৫ কিমি.

ম্যাগনেটোস্ফিয়ার (Magnetosphere)

ম্যাগনেটোস্ফিয়ার (Magnetosphere) : এক্সোস্ফিয়ার স্তরের ওপরে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বেষ্টনকারী চৌম্বকক্ষেত্রটি হল ম্যাগনেটোস্ফিয়ার স্তর । এটি বায়ুমণ্ডলের সর্বশেষ স্তর । এক্সোস্ফিয়ার স্তরের ওপর ১,৫০০ কিমি.

এক্সোস্ফিয়ার (Exosphere)

এক্সোস্ফিয়ার (Exosphere) : এক্সোস্ফিয়ার হল বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে দূরবর্তী স্তর । এই স্তরটি আয়নোস্ফিয়ারের ওপরে প্রায় ৭০০ কিমি. উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত ।

আয়োনোস্ফিয়ার বা থার্মোস্ফিয়ার (Ionosphere or Thermosphere)

আয়োনোস্ফিয়ার (Ionosphere) : মেসোস্ফিয়ার স্তরের শেষ সীমা হল মেসোপজ । আর এই মেসোপজের ওপরে প্রায় ৫০০ কিমি.