পশ্চিমের উচ্চভূমি ও মালভূমি অঞ্চল

Submitted by avimanyu pramanik on Tue, 03/17/2015 - 07:03

পশ্চিমের উচ্চভূমি ও মালভূমি অঞ্চল :-

অবস্থান : পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম অংশে অবস্থিত এই ঢেউখেলানো উঁচুভুমি ও মালভুমি অঞ্চলটি সমগ্র পুরুলিয়া জেলা এবং বাঁকুড়া, বীরভূম, বর্ধমান ও মেদিনীপুর জেলার পশ্চিমদিকের ৫০ মিটারের বেশি উচ্চতাযুক্ত অঞ্চল নিয়ে গঠিত হয়েছে । গ্রানাইট ও নাইস শিলা দ্বারা গঠিত এই উচ্চভূমি অঞ্চলটি হল ছোটনাগপুর মালভূমির অংশ বিশেষ ।

ভূপ্রকৃতি : সমগ্র উচ্চভূমি অঞ্চলটি দক্ষিণে বরাভূম উচ্চভূমি, পশ্চিমে পুরুলিয়া উচ্চভূমি এবং উত্তর-পূর্বে শুশুনিয়া উচ্চভূমিতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে । সুবর্ণরেখা, কংসাবতী, দ্বারকেশ্বর, কোপাই, অজয়, দামোদর প্রভৃতি নদীগুলির ক্ষয় কাজের ফলে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের এই উচ্চভূমি অঞ্চলটি সমপ্রায় ভূমিতে পরিণত হয়েছে এবং অপেক্ষাকৃত কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত এই উচ্চভূমির বাকি অংশগুলি এখানে সেখানে টিলার মতো ছোট ছোট পাহাড়ের আকারে দঁড়িয়ে আছে । এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পাহাড় হল পুরুলিয়া জেলার অযোধ্যা, বাঘমুন্ডিপাঞ্চেৎ, বাঁকুড়া জেলার বিহারীনাথশুশুনিয়া, বীরভূমের মামাভাগ্নে পাহাড় প্রভৃতি । অযোধ্যা পাহাড়ের গোগরাবুরু পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ । গোগরাবুরু শৃঙ্গের উচ্চতা ৬৭৭ মি. ।

*****

Related Items

আউট-ওয়াস সমভূমি ও প্লায়া হ্রদ কাকে বলে উদাহরণ সহ লেখ

প্রশ্ন :- আউট-ওয়াস সমভূমিপ্লায়া হ্রদ কাকে বলে উদাহরণ সহ লেখ ।

উৎপত্তি ও গঠন অনুসারে তিন রকমের সঞ্চয়জাত সমভূমির বর্ণনা দাও

প্রশ্ন:- উৎপত্তি ও গঠন অনুসারে তিন রকমের সঞ্চয়জাত সমভূমির বর্ণনা দাও ।

উত্তর:  উৎপত্তি ও গঠন অনুসারে, সঞ্চয়জাত সমভূমিগুলিকে প্রধান তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা—

সমভূমির বৈশিষ্ট্য কী ? উদাহরণসহ বিভিন্ন প্রকার সমভূমির বর্ণনা দাও

প্রশ্ন:- সমভূমির বৈশিষ্ট্য কী ? উদাহরণসহ বিভিন্ন প্রকার সমভূমির বর্ণনা দাও ।

দুটি উল্লেখযোগ্য মালভূমির বিবর্তন আলোচনা কর ।

প্রশ্ন:- দুটি উল্লেখযোগ্য মালভূমির বিবর্তন আলোচনা কর ।

ছোটনাগপুর মালভূমির বিবর্তন (ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি)

যে-কোনো তিন ধরনের মালভূমি ব্যাখ্যা কর ।

প্রশ্ন :- যে-কোনো তিন ধরনের মালভূমি ব্যাখ্যা কর ।

উত্তর :- 

১) ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্টি হওয়া মালভূমি, যেমন- পর্বতবেষ্টিত মালভূমি,