দক্ষিণের মালভূমি অঞ্চল

Submitted by avimanyu pramanik on Tue, 12/16/2014 - 11:49

দক্ষিণের মালভূমি অঞ্চল : এশিয়ার মধ্যভাগের বিশাল পার্বত্য অঞ্চলের দক্ষিণে এবং এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ অংশের তিনটি উপদ্বীপে তিনটি ক্ষয়প্রাপ্ত ও অতি প্রাচীন নীচু মালভূমি অবস্থান করছে — (১) আরব মালভূমি, (২) দাক্ষিণাত্য মালভূমি এবং (৩) ইন্দোচীন মালভূমি । এই তিনটি মালভূমিই পশ্চিম দিক থেকে পূর্বদিকে ক্রমশ ঢালু হয়ে গিয়েছে ।

(১) আরব মালভূমি : এশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থিত আরব মালভূমিটি পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে ক্রমশ ঢালু হয়ে পারস্য উপসাগরের তীরবর্তী সংকীর্ণ সমভূমিতে এসে মিশেছে । আরব মালভূমির বেশির ভাগ অঞ্চলই বৃষ্টিহীন ও শুষ্ক মরুভূমি হওয়ায় এখানে কোনও নদী দেখা যায় না, তবে বালিময় আরব মরুভূমির মাঝে মধ্যে শুকনো নদী-উপত্যকা দেখা যায় ।

(২) দাক্ষিণাত্য মালভূমি : ভারতের দাক্ষিণাত্য মালভূমিটি প্রাচীন আগ্নেয় শিলা এবং আগ্নেয়গিরির লাভা দিয়ে গঠিত । দীর্ঘদিন ধরে ভুমিক্ষয়ের ফলে এই মালভূমিটি ক্ষয়প্রাপ্ত ও তরঙ্গায়িত হয়ে উঁচু-নীচু ভূমিতে পরিণত হয়েছে । দাক্ষিণাত্য মালভূমিটি পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে ক্রমশ ঢালু হয়ে গিয়েছে, তাই এই মালভূমি অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়া মহানদী, কৃষ্ণা, কাবেরী, গোদাবরী প্রভৃতি নদীগুলি পূর্ববাহিনী ।

(৩) ইন্দোচীন মালভূমি : এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ইন্দোচীন মালভূমি অবস্থিত এবং এটি মায়ানমারের পূর্ব অংশ, থাইল্যান্ড, লাওস, কাম্বোডিয়া প্রভৃতি দেশের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত হয়েছে । এই মালভূমিটি উত্তরে ইউনান মালভূমির সঙ্গে যুক্ত এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে ক্রমশ ঢালু হয়ে গিয়েছে । সালুয়েন, মেকং, সিকিয়াং প্রভৃতি নদী এই মালভূমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ।

*****

Related Items

হিমবাহের কাজ (Works of Glaciers)

হিমবাহের কাজ (Works of Glaciers) : পৃথিবীর দুই মেরু অঞ্চলে ও উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে অত্যধিক ঠান্ডা । এইসব অঞ্চলে তুষারক্ষেত্র ও হিমবাহ দেখা যায় । অত্যধিক শীতের জন্য পর্বতের উঁচু চুড়ায় ও মেরু অঞ্চলের বায়ুমন্ডলের জলীয়বাষ্প সারা বছর তুষারে জমে থাকে । পার্বত্

হিমবাহ পৃষ্ঠের প্রকৃতি

হিমবাহ পৃষ্ঠের প্রকৃতি : ভূবিজ্ঞানী মঙ্কহাউস -এর মতে পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহের উপরে নানা ধরনের ফাটল দেখা যায় । এই ফাটলগুলি প্রধানত তিন প্রকারের হয় যথা—

হিমরেখা [Snow Line]

হিমরেখা [Snow Line] : মেরুপ্রদেশ ও উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলের তীব্র শৈত্যে, যে কাল্পনিক সীমারেখার উপরে অত্যধিক শীতলতার জন্য সারা বছর তুষার জমে থাকে এবং যে সীমারেখার নীচে উত্তাপে তুষার গলে জলে পরিণত হয় সেই সীমারেখাকে হিমরেখা । ভূবিজ্ঞানী মঙ্ক

হিমশৈল (Iceberg)

হিমশৈল (Iceberg) :  মহাদেশীয় হিমবাহের হিমরেখা সমুদ্রপৃষ্ঠ হওয়ায় কখনো কখনো হিমাবাহের বিশালাকার বরফের অংশ ভেঙে সমুদ্রের জলে এসে পড়ে ও জলে ভাসতে থাকে । এইরূপ সমুদ্রের জলে ভাসমান ও গতিশীল বিশালাকার বরফের স্তুপকে হিমশৈল বলে । হিমশৈল মিষ্

হিমবাহের প্রকারভেদ (Classification of Glacier)

হিমবাহের প্রকারভেদ (Classification of Glacier) : বিজ্ঞানী অলম্যান অবস্থানের ভিত্তিতে হিমবাহকে তিনটি প্রধান শ্রেণিতে ভাগ করেন । যথা— (ক) মহাদেশীয় হিমবাহ (Continental Glacier), (খ) পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহ (Mountain or Valley glacier)