এশিয়া মহাদেশের হ্রদ : যে স্বাভাবিক জলরাশির চারদিক স্থলে ঘেরা তাকে হ্রদ বলে । হ্রদকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়, যথা— (১) পেয় জলের হ্রদ এবং (২) লবণাক্ত জলের হ্রদ ।
(১) এশিয়ার পেয় জলের হ্রদ : এশিয়ার বৃহত্তম পেয় জলের হ্রদ হল বৈকাল হ্রদ । এর আয়তন ৩৫,০০০ বর্গ কিলোমিটার । এছাড়া বৈকাল হ্রদ পৃথিবীর গভীরতম হ্রদ । এর গভীরতা প্রায় ১,৫২৩ মিটার । এই হ্রদ সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত । এশিয়ার অন্যান্য পেয় জলের হ্রদগুলোর মধ্যে তিব্বতের মানস সরোবর এবং কাশ্মীরের উলার হ্রদ উল্লেখযোগ্য ।
(২) এশিয়ার লবণাক্ত জলের হ্রদ : ইউরাল পর্বতের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থিত কাস্পিয়ান সাগর হল এশিয়া মহাদেশের তথা পৃথিবীর বৃহত্তম হ্রদ । এর আয়তন ৩,৭১,৮০০ বর্গ কিমি । আয়তনে বিপুলাকৃতি হওয়ায় একে সাগর বলা হয় ।
এশিয়ার মরুসাগর পৃথিবীর নিম্নতম হ্রদ । এটি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৩৯৬ মিটার নীচে অবস্থিত । এই হ্রদের জল এত লবণাক্ত যে এর মধ্যে মানুষ সাঁতার না জানলেও ডোবে না ।
এশিয়ার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য লবণাক্ত জলের হ্রদ হল — (১) আরল, (২) বলখাস, (৩) উরুমিয়া, (৪) লপণর, (৫) হামুন, (৬) ভান, (৭) তুজগুল প্রভৃতি ।
*****
- 2854 views