উত্তর ভারতের বিশাল সমভূমি অঞ্চল

Submitted by avimanyu pramanik on Wed, 11/12/2014 - 23:46

উত্তর ভারতের বিশাল সমভূমি অঞ্চল :

অবস্থান :-  উত্তরের হিমালয় পর্বতমালা ও দক্ষিণের মালভূমির মধ্যবর্তী অঞ্চলে সিন্ধু, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদী বিধৌত এই বিশাল সমভূমি অঞ্চলটি হল ভারতের সবচেয়ে উর্বর ও জনবহুল অঞ্চল ।

শ্রেণি বিভাগ : ভূপ্রকৃতিগতভাবে উত্তর ভারতের বিশাল সমভূমি অঞ্চলটিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যেমন— (i) পশ্চিমের সমভূমি (ii) মধ্যভাগের সমভূমি  (iii) পূর্ব দিকের সমভূমি ।

(i) পশ্চিমের সমভূমি : সিন্ধুনদের উপনদী বিপাশা, ইরাবতী, চন্দ্রভাগা ও শতদ্রুর পলি সঞ্চয়ের ফলে গঠিত পশ্চিমের সমভূমি অঞ্চলটি পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের প্রায় ৯৫,৭১৪ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে আছে । পশ্চিমের সমভূমি অঞ্চলের দক্ষিণ অংশ (রাজস্থান সমভূমি) খরা প্রবণ মরুভূমি হলেও উত্তর অংশ পলিগঠিত উর্বর সমভূমি । 

(ii) মধ্যভাগের সমভূমি : গঙ্গা, যমুনা এবং তাদের বিভিন্ন উপনদীর সঞ্চয় কাজের ফলে মধ্যের সমভূমি অঞ্চলটি গড়ে উঠেছে । এই অঞ্চলের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের পশ্চিম অংশের সমভূমিকে উচ্চগাঙ্গেয় সমভূমি বলা হয় । উত্তরপ্রদেশের পূর্বাংশ এবং বিহারের উত্তরাংশে অবস্থিত সমভূমিটি মধ্য গাঙ্গেয় সমভূমি নামে পরিচিত ।

(iii) পূর্ব দিকের সমভূমি : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চল এবং অসম রাজ্যের ব্রহ্মপুত্র সমভূমি নিয়ে পূর্বের সমভূমি অঞ্চল গঠিত হয়েছে ।

গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চল : গঙ্গা-পদ্মা ও ভাগীরথী-হুগলী নদীর মধ্যবর্তী ভূভাগ পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপের অংশ বিশেষ ।

ব্রহ্মপুত্র সমভূমি :গাঙ্গেয় সমভূমির পূর্বদিকে অসম রাজ্যে ব্রহ্মপুত্র নদ এবং তার বিভিন্ন উপনদী যে সমভূমি গঠন করেছে তাকে ব্রহ্মপুত্র সমভূমি বা ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা বলা হয় ।

*****

Related Items

বান ডাকা (Tidal Bores)

বান ডাকা (Tidal Bores) : সাধারণত বর্ষাকালে অমাবস্যা ও পূর্ণিমার ভরা কোটালের সময় চন্দ্র ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণে জোয়ারের জল নদীর খাড়িপথ ও মোহনা দিয়ে খুব উঁচু হয়ে প্রবল বেগে উজানের দিকে অর্থাৎ নদী প্রবাহের বিপরীত দিকে অগ্রসর হয় । ঢেউ, জলোচ্ছ্বাসসহ নদীর এই

অ্যাপোজি ও পেরিজি (Apogee and Perigee)

অ্যাপোজি ও পেরিজি (Apogee and Perigee) : চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে গড় দূরত্ব হল ৩,৮৪,৪০০ কিমি.

সিজিগি (Syzygy)

সিজিগি (Syzygy) : জ্যোতির্বিজ্ঞান অনুসারে সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবীর একই সরলরৈখিক অবস্থানকে সিজিগি (Syzygy) বলে । সিজিগি আবার সংযোগ অবস্থান ও প্রতিযোগ অবস্থান — এই দু-প্রকারের হয় ।

জোয়ার ভাটার ফলাফল (Effect of Tides)

জোয়ার ভাটার ফলাফল (Effect of Tides) : বিভিন্ন ক্ষেত্রে জোয়ার ভাটার যথেষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করা যায় । সমুদ্র উপকূলে ও উপকুলের কাছে নদনদীতে জোয়ার ভাটার প্রভাব বেশি । জোয়ার ভাটার নিম্নলিখিত ফলাফল গুলি হল —

ভরা জোয়ারের তুলনায় মরা জোয়ারে জলস্ফীতি অপেক্ষাকৃত কম হয়

ভরা জোয়ারের তুলনায় মরা জোয়ারে জলস্ফীতি অপেক্ষাকৃত কম হয়