রাসায়নিক বন্ধন, আয়নীয় যোজ্যতা, সমযোজ্যতা

Submitted by arpita pramanik on Mon, 10/08/2012 - 22:19

রাসায়নিক বন্ধন, আয়নীয় যোজ্যতা, সমযোজ্যতা (Chemical bond, Ionic Valency, Co-valency) :

দুই বা ততোধিক পরমাণুর সবচেয়ে বাইরের কক্ষের ইলেকট্রন গুলির সুনির্দিষ্ট সমাবেশের ফলে পরমাণুগুলির মধ্যে যে মিলনের বা বন্ধনের সৃষ্টি হয় সেই বন্ধনকে রাসায়নিক বন্ধন বলে । রাসায়নিক বন্ধন -এ অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকটি পরমাণুর সর্বশেষ কক্ষের ইলেকট্রনগুলির স্বাভাবিক বিন্যাসের পরিবর্তন ঘটে । 

মৌলিক পদার্থের পরমাণুগুলি সরল পূর্ণ সংখ্যার অনুপাতে পরস্পর যুক্ত হয়ে যৌগের অনু সৃষ্টি করে যৌগের অনু গঠনের সময় বিভিন্ন মৌলের কয়টি পরমাণু পরস্পর যুক্ত হবে তা মৌলের যোজ্যতার উপর নির্ভর করে ।

যোজ্যতা (Valency of Elements) : কোন মৌলের অন্য কোন মৌলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ক্ষমতাকে যোজ্যতা বলে । কোন মৌলের একটি পরমাণু যত সংখ্যক হাইড্রোজেন পরমাণুর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে বা হাইড্রোজেনের কোন যৌগ থেকে যত সংখ্যক হাইড্রোজেন পরমাণু প্রতিস্থাপিত করে সেই সংখ্যা দ্বারা মৌলের যোজ্যতা পরিমাপ করা হয় ।

অতএব, মৌলের যোজ্যতা =  মৌলটির সঙ্গে যুক্ত H পরমাণুর সংখ্যা /যৌগটির মধ্যে ঐ মৌলের পরমাণুর সংখ্যা

 

বর্তমানে পরমাণুর ইলেকট্রনীয় গঠনের উপর ভিত্তি করে মৌলের যোজ্যতা এবং পরিমাপের নতুন ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব হয়েছে । এই মতবাদ কে ইলেকট্রনীয় মতবাদ বলে । ইলেকট্রনীয় মতবাদ অনুযায়ী বিভিন্ন মৌলের পরমাণু গুলি যখন রাসায়নিক বন্ধনে আবদ্ধ হয় তখন মোটামুটিভাবে দুই ধরনের যোজ্যতা প্রকাশ পায় —

  1. তড়িৎ যোজ্যতা বা আয়নীয় যোজ্যতা (Electro-valency or Ionic Valency)
  2. সমযোজ্যতা (Co-valency)

এছাড়া আর এক ধরনের যোজ্যতার কথা বলা হয়ে থাকে সেটি হল অসম যোজ্যতা (Co-ordinate Co-valency) । তবে অসম যোজ্যতা বিশেষ ধরনের সমযোজ্যতা ছাড়া আর কিছু নয় ।

রাসায়নিক বন্ধনী [Chemical bonding]

রাসায়নিক বন্ধন [Chemical bond]:-

যোজ্যতার ইলেক্ট্রনীয় মতবাদ [Electronic theory of valency]:-

ইলেক্ট্রনীয় যোজ্যতা বা তড়িৎ-যোজ্যতা [Electro-valency]:-

তড়িৎ-যোজ্যতা:-

তড়িৎ-যোজী যৌগ :-

[১] সোডিয়াম ক্লোরাইড অণুর গঠন :-

[২] ক্যালশিয়াম ও অক্সিজেনের সংযোগে ক্যালশিয়াম অক্সাইড তৈরি হয় :-

তড়িৎ-যোজী যৌগগুলির বৈশিষ্ট্য :-

সমযোজ্যতা [Covalent]:-

সমযোজ্যতা [Covalent]:-

ইলেকট্রন বিন্দু গঠন [Electron dot structure]:-

সমযোজী যৌগ :-

সমযোজী যৌগগুলির বৈশিষ্ট্য :-

তড়িৎযোজী এবং সমযোজী যৌগের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে তুলনা

*****

Comments

Related Items

মেথিলেটেড স্পিরিট

95% ইথাইল অ্যালকোহলের জলীয় দ্রবণকে রেকটিফায়েড স্পিরিট বলে । রেকটিফায়েড স্পিরিটকে পানের অযোগ্য করার জন্য রেকটিফায়েড স্পিরিটের সঙ্গে মিথাইল অ্যালকোহল (10%), সামান্য পিরিডিন (0.5%), ন্যাপথা এবং রবার নির্যাস কাওকোসিন মিশিয়ে বিষাক্ত করে দেওয়া হয় । ...

সাবান (Soap)

সাবান হল উচ্চ আণবিক ওজন বিশিষ্ট জৈব ফ্যাটি অ্যাসিড -এর সোডিয়াম বা পটাশিয়াম লবণ । একাধিক জৈব অ্যাসিডের লবণ হওয়ায় সাবানের নির্দিষ্ট কোনো সংকেত নেই । সাবান একটি মিশ্র লবণ । সাধারণ উষ্ণতায় সাবান অনুদ্বায়ী কঠিন পদার্থ ও জলে দ্রাব্য । ...

ইউরিয়া বা কার্বাইড (Urea)

ইউরিয়া নাইট্রোজেন ঘটিত একটি সার । 1828 খ্রিস্টাব্দে জার্মান বিজ্ঞানী ফ্রেডরিক ভোলার অজৈব যৌগ অ্যামোনিয়াম সায়ানেট -কে উত্তপ্ত করে ইউরিয়া প্রস্তুত করেন । ইউরিয়া সাদা, গন্ধহীন, অনুদ্বায়ী, কেলাসাকার কঠিন জৈব পদার্থ।এটি জলে দ্রাব্য । মানবদেহের এবং প্রাণীদেহের ...

অ্যামোনিয়াম সালফেট

অ্যামোনিয়াম সালফেট হল একটি নাইট্রোজেন ঘটিত অজৈব রাসায়নিক সার। অ্যামোনিয়াম সালফেট সাদা রঙের, গন্ধহীন, অনুদ্বায়ী একটি অজৈব কেলাসিত লবণ । অ্যামোনিয়াম সালফেট জলে দ্রাব্য ও এর জলীয় দ্রবণ অম্লধর্মী । অ্যামোনিয়াম সালফেট তাপে ঊর্ধ্ব পাতিত হয় ...

কপার সালফেট বা ব্লু-ভিট্রিয়ল

কেলাস-জলযুক্ত কিউপ্রিক সালফেটকে ব্লু-ভিট্রিয়ল বলে। ব্লু-ভিট্রিয়ল সাধারণভাবে তুঁতে নাম পরিচিত । কপার সালফেট বা ব্লু-ভিট্রিয়ল গন্ধহীন, অনুদ্বায়ী ও গাঢ় নীলবর্ণের কেলাসিত অজৈব কঠিন পদার্থ। এটি একটি শমিত লবণ । জলে দ্রাব্য এবং জলীয় দ্রবণ তড়িৎ পরিবহন করে। ...