জারণ ও বিজারণ (Oxidation and Reduction)

Submitted by arpita pramanik on Mon, 10/08/2012 - 22:29

জারণ ও বিজারণ (Oxidation and Reduction) :

অনেক ধরণের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় মৌল বা যৌগের সাথে অক্সিজেন বা অন্য কোন তড়িৎ ঋণাত্মক অধাতব মৌল বা মূলক যুক্ত হয় বা এদের অনুপাত বৃদ্ধি পায় অথবা যৌগ থেকে হাইড্রোজেন বা অন্য কোন তড়িৎ ধনাত্মক ধাতব মৌল বা মূলক অপসারিত হয় বা এদের অনুপাত  হ্রাস পায় তখন সেই বিক্রিয়া গুলিকে জারণ বলে । যেমন —

2Na+Cl2=2NaCl

এই বিক্রিয়া সোডিয়ামের সঙ্গে তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল ক্লোরিন যুক্ত হয়ে NaCl উৎপন্ন করে । সুতরাং এটি একটি  জারণ ক্রিয়া । এখানে জারক ক্লোরিন দ্বারা সোডিয়াম জারিত হয় NaCl -এ পরিণত হয়েছে ।

আবার অনেক ধরণের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় মৌল বা যৌগের সাথে হাইড্রোজেন বা অন্য কোন তড়িৎ ধনাত্মক ধাতব মৌল বা মূলক যুক্ত হয় বা এদের অনুপাত বৃদ্ধি পায় অথবা যৌগ থেকে অক্সিজেন বা অন্য কোন তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল বা মূলক অপসারিত হয় বা এদের অনুপাত হ্রাস পায় তখন সেই বিক্রিয়া গুলিকে বিক্রিয়াকে বিজারণ বলে। যেমন —

Cl2+H2S = 2HCl + S

এই বিক্রিয়ায় Cl2 তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল H2 সঙ্গে যুক্ত হয়ে HCl উৎপন্ন করেছে । সুতরাং এটি ক্লোরিনের বিজারন । H2S এখানে বিজারক পদার্থ । H2S, Cl2 কে HCl -এ বিজারিত করেছে ।

জারণ বিজারণের ইলেক্ট্রনীয় মতবাদ [Electronic theory of oxidation and reduction]

• ইলেকট্রনীয় মতবাদ [Electronic theory]:-

► জারণ [Oxidation]:-

►বিজারণ [Reduction]:-

• জারণ সংখ্যা [Oxidation Number]:-

▲ জারক পদার্থ ও বিজারক পদার্থ [Oxidising and Reducing agents]:- 

• জারক পদার্থ [Oxidising agents]:-

• বিজারক পদার্থ [Reducing agents]:-

• কয়েকটি জারক পদার্থ :-

• কয়েকটি জারকের জারণ ক্ষমতার উদাহরণ :-

• কয়েকটি বিজারক পদার্থ :-

• কয়েকটি বিজারকের বিজারণ ক্ষমতার উদাহরণ :-

☼ একই পদার্থ কখনো জারক আবার কখনো বিজারক হাতে পারে না :

• হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের জারণ ক্রিয়া:-    

• হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের বিজারণ ক্রিয়া:-

☼ জারণ ও বিজারণ একসঙ্গে ঘটে [Oxidation and reduction take place simultaneously] :-

*****

Comments

Related Items

তড়িৎ-বিশ্লেষণের প্রয়োগ

তীব্র তড়িৎ-ধনাত্মক ধাতুগুলি যেমন - সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতি ধাতুগুলিকে তাদের আকরিক থেকে নিষ্কাশিত করা হয় । আবার কতকগুলি ধাতু যেমন - কপার, জিঙ্ক, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতির তড়িৎ-বিশ্লেষণ পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিশোধন করা হয় । ...

কপার সালফেটের জলীয় দ্রবণের তড়িৎ বিশ্লেষণ

কপার সালফেট জলে আয়নিত হয়ে কপার (+) এবং সালফেট (-) আয়ন উত্পন্ন করে । সুতরাং, জলীয় দ্রবণে চার প্রকার আয়ন থাকে, দুধরনের ক্যাটায়ান H (+) ও Cu (+) এবং দু ধরনের অ্যানায়ন OH (-) ও সালফেট (-) ।

জলের তড়িৎ-বিশ্লেষণ

বিশুদ্ধ জল তড়িতের কুপরিবাহী, কিন্তু সামান্য অ্যাসিড কিংবা ক্ষার জলে মেশালে ওই জল তড়িতের সুপরিবাহী হয় । এর কারণ হল বিশুদ্ধ জলে খুব কম সংখ্যক অণু H+ এবং OH- আয়নে বিশ্লেষিত অবস্থায় থাকে । ওই জলে সামান্য অ্যাসিড কিংবা ক্ষার যোগ করলে এদের আয়ন ...

তড়িৎ-বিশ্লেষ্য ও তড়িৎ-অবিশ্লেষ্য পদার্থ

যেসব পদার্থ জলে দ্রবীভূত বা গলিত অবস্থায় আয়নে বিশ্লিষ্ট হয়ে তড়িৎ পরিবহন করে এবং তড়িৎ পরিবহনের ফলে নিজেরা রাসায়নিকভাবে বিশ্লিষ্ট হয়ে নতুন ধর্মবিশিষ্ট পদার্থ উত্পন্ন হয়, সেই সব পদার্থকে তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে ।

তড়িৎ-পরিবাহী এবং তড়িৎ-অপরিবাহী

যে সব পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ-প্রবাহিত করলে তা তড়িৎ-পরিবহনে সক্ষম হয়, তাদের তড়িৎ-পরিবাহী পদার্থ বলে । যেমন; সোনা, রুপো, তামা, প্রভৃতি ধাতু, গ্রাফাইট, সোডিয়াম ক্লোরাইড দ্রবণ ইত্যাদি । তড়িৎ-পরিবহনে সক্ষম এমন পদার্থগুলিকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় --