ছোটো প্রশ্নোত্তর : আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞান

Submitted by arpita pramanik on Thu, 11/08/2012 - 23:13

ছোটো প্রশ্নোত্তর : আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞান (Modern Physics) :

প্রশ্ন:-  তেজস্ক্রিয় রশ্মিগুলির মধ্যে কার ভেদন ক্ষমতা সবচেয়ে বেশী ?

উত্তর:-  তেজস্ক্রিয় রশ্মিগুলির মধ্যে গামা (γ) রশ্মির ভেদন ক্ষমতা সবচেয়ে বেশী ।

 

প্রশ্ন:-  একটি মৌল অপর একটি মৌলে স্বতঃস্ফুর্তভাবে পরিবর্তিত হয় এমন একটি প্রাকৃতিক ঘটনার উল্লেখ কারো ।

উত্তর:-  একটি মৌল অপর একটি মৌলে স্বতঃস্ফুর্তভাবে পরিবর্তিত হয় এমন একটি প্রাকৃতিক ঘটনা হল প্রাকৃতিক তেজস্ক্রিয়তা

 

প্রশ্ন:-  ক্যাথোড রশ্মি কাকে বলে ?

উত্তর:-  খুব কম বায়ু চাপে তড়িৎ মোক্ষণ নলে গ্যাসের মধ্যে তড়িৎ-দ্বারের সাহায্যে উচ্চ বিভব পার্থক্য সৃষ্টি করলে ক্যাথোড থেকে অ্যানোডের দিকে ধাবমান তীব্র গতিবেগ সম্পন্ন ইলেকট্রন কণার স্রোতকে ক্যাথোড রশ্মি বলে ।

 

প্রশ্ন:-  আলফা কণার প্রকৃতি ও সংকেত কী ?

উত্তর:- তেজস্ক্রিয় মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে নির্গত দুই একক পজিটিভ আধান যুক্ত হিলিয়াম পরমাণুকে α -কণা বলে এবং এর সংকেত হল [tex]{}_2^4H{e^{ +  + }}[/tex] ।

 

প্রশ্ন:-  বিটা কণার প্রকৃতি ও সংকেত লেখো ।

উত্তর:-  তেজস্ক্রিয় মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে নির্গত তীব্র গতি সম্পন্ন নেগেটিভ আয়ন যুক্ত অতি ক্ষুদ্র কণাকে β -কণা বলে । β -কণা ও ইলেকট্রন অভিন্ন । এর সংকেত [tex]{}_1^0e[/tex] ।

 

প্রশ্ন:-  দুটি প্রাকৃতিক তেজস্ক্রিয় মৌলের নাম লেখো ।

উত্তর:-  রেডিয়াম এবং ইউরেনিয়াম হল দুটি প্রাকৃতিক তেজস্ক্রিয় মৌল ।

 

প্রশ্ন:-  তেজস্ক্রিয় রশ্মি তেজস্ক্রিয় মৌলের পরমাণুর কোন অংশ থেকে নির্গত হয় ?

উত্তর:-  তেজস্ক্রিয় রশ্মি তেজস্ক্রিয় মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে নির্গত হয় ।

 

প্রশ্ন:- ডায়োড ভালভে তড়িৎ প্রবাহের উত্স কী ?

উত্তর:- ক্যাথোড থেকে তাপ তড়িৎ নিঃসরণই ডায়োডে তড়িৎ প্রবাহের উত্স ।

 

প্রশ্ন:-  পরমাণুর কোন অংশ থেকে α -কণা নির্গত হয় ?

উত্তর:-  তেজস্ক্রিয় মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে α -কণা নির্গত হয় ।

 

প্রশ্ন:- ডায়োডের ফিলামেন্ট কী ?  

উত্তর:-  ডায়োড ভালভের মধ্যে যে দুটি তড়িৎদ্বার থাকে তাদের একটি ইলেকট্রন নিঃসরণ করে, একে ক্যাথোড বা ফিলামেন্ট বলে ।

 

প্রশ্ন:-  ডায়োডে কয়টি তড়িৎদ্বার থাকে  ?

উত্তর:- ডায়োডে দুটি তড়িৎদ্বার থাকে  ।

 

প্রশ্ন:-  এক্স-রশ্মি তড়িৎক্ষেত্র দ্বারা কিভাবে প্রভাবিত হয়  ?

উত্তর:-  এক্স-রশ্মি নিস্তড়িৎ ।  তাই এক্স-রশ্মি তড়িৎক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয় না ।

 

প্রশ্ন:-  কোন ঘটনার ওপর ভিত্তি করে ডায়োড তৈরি হয় ?

উত্তর:- তাপীয় আয়ন নিঃসরণ ঘটনার ওপর ভিত্তি করে ডায়োড তৈরি হয়  ।

 

প্রশ্ন:-  তেজস্ক্রিয়তার আবিষ্কারক কে ?

উত্তর:-  তেজস্ক্রিয়তার আবিষ্কারক হলেন ফরাসি বিজ্ঞানী হেনরি বেকারেল

 

প্রশ্ন:-  এক্স -রশ্মি কী গ্যাসকে আয়নিত করে ?

উত্তর:- এক্স -রশ্মি গ্যাসের মধ্য দিয়ে যাবার সময় গ্যাসকে আয়নিত করে ।

 

প্রশ্ন:- এক্স -রশ্মির আধান কত ?

উত্তর:- এক্স-রশ্মি নিস্তড়িৎ হওয়ায় তার আধানের পরিমাণ শূন্য ।

 

প্রশ্ন:- এক্স -রশ্মির আবিষ্কারক কে ?

উত্তর:- 1895 সালে জার্মান বিজ্ঞানী ডব্লিউ. রন্টজেন এক্স -রশ্মি আবিষ্কারক করেন ।

 

প্রশ্ন:- তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে কী কী রশ্মি নির্গত হয় ? এদের নাম কী ?

উত্তর:-  তেজস্ক্রিয় পদার্থের পরমাণুর কেন্দ্রক থেকে তিন প্রকার রশ্মি নির্গত হয় । এদের নাম হল —আলফা (α) রশ্মি,  বিটা (ß) রশ্মি এবং গামা (γ) রশ্মি

 

প্রশ্ন:-  কী কী পদ্ধতিতে ধাতু থেকে ইলেকট্রন নিঃসরণ করা হয় ?

উত্তর:-  ধাতব পৃষ্ঠ থেকে ইলেকট্রন নিঃসরণের পদ্ধতিগুলি হল —

(i) তাপীয় আয়ন নিঃসরণ,

(ii) আলোক তড়িৎ নিঃসরণ

(iii) ক্ষেত্র নিঃসরণ

(iv) গৌণ নিঃসরণ ।

 

প্রশ্ন:-  এক্স -রশ্মি ও গামা রশ্মি মধ্যে কোনটির ভেদন ক্ষমতা বেশী ?

উত্তর:- এক্স -রশ্মির চেয়ে গামা রশ্মির ভেদন ক্ষমতা প্রায় 100 গুণ বেশী ।

 

প্রশ্ন:-  এক্স -রশ্মি ও গামা রশ্মি মধ্যে সাদৃশ্য কী ?

উত্তর:- এক্স -রশ্মি ও গামা রশ্মি মধ্যে সাদৃশ্য :

(a)  এক্স -রশ্মি ও গামা রশ্মি উভয়েই তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ ।

(b)  এরা তড়িৎক্ষেত্র ও চৌম্বকক্ষেত্র দ্বারা বিক্ষিপ্ত হয় না ।

(c)  উভয়ের বেগ শূন্য মাধ্যমে আলোর গতিবেগের সমান । অর্থাৎ [tex]3 \times {10^8}[/tex] মিটার সেকেন্ড ।

(d)  এরা গ্যাসের মধ্য দিয়ে যাবার সময় গ্যাসকে আয়নিত করে । এছাড়া উভয়েই ফটোগ্রাফিক প্লেটের ওপর ক্রিয়া করে ।

 

প্রশ্ন:-  এক্স -রশ্মি ও ক্যাথোড রশ্মির মূল পার্থক্য কী ?

উত্তর:-  এক্স -রশ্মি ক্ষুদ্র তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ । অপরপক্ষে ক্যাথোড রশ্মি হল তীব্র গতিযুক্ত ইলেকট্রন কণার স্রোত ।

 

প্রশ্ন:- কোনো ধাতুর কার্য অপেক্ষক বলতে কী বোঝ  ?

উত্তর:-  কোনো ধাতব পৃষ্ঠ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য একটি ইলেকট্রনের যে নুন্যতম শক্তির প্রয়োজন হয়, তাকে ওই ধাতব পৃষ্ঠের কার্য অপেক্ষক বলে ।

 

প্রশ্ন:- এক্স -রশ্মির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কত ?

উত্তর:- এক্স -রশ্মির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য প্রায় সেমি 10-8  বা 1 অ্যাংস্ট্রম

 

প্রশ্ন:- হাইড্রোজেন বোমা কোন পদ্ধতিতে তৈরি হয় ?

উত্তর:-  নিউক্লিয় সংযোজন পদ্ধতিতে হাইড্রোজেন বোমা তৈরি হয় ।

 

প্রশ্ন:-  নিউক্লিয় সংযোজন ঘটাতে কত উষ্ণতার প্রয়োজন হয় ?

উত্তর:-  নিউক্লিয় সংযোজন ঘটাতে প্রায় 10 লক্ষ ডিগ্রি সেলসিয়াস  বা তারও বেশি উষ্ণতার প্রয়োজন হয় ।

 

প্রশ্ন:-  তাপীয় আয়ন কাকে বলে ?

উত্তর:-  তাপ প্রয়োগে কোনো ধাতবপৃষ্ঠ থেকে যেসব ইলেকট্রন নিঃসৃত হয়, সেই ইলেকট্রনগুলিকে তাপীয় আয়ন বলে ।

 

প্রশ্ন:-  তেজস্ক্রিয়ার এস. আই. একক কী  ?

উত্তর:-  তেজস্ক্রিয়ার এস. আই. একক হল বেকারেল

*****

Related Items

জারণ ও বিজারণ একসঙ্গে ঘটে

রাসায়নিক বিক্রিয়ায় জারণ ও বিজারণ প্রক্রিয়া একই সঙ্গে ঘটে । অর্থাৎ, জারণ ও বিজারণ ক্রিয়া পরস্পরের পরিপূরক । কোনো বিক্রিয়ায় জারণ-ক্রিয়া ঘটলেই বিজারণ ক্রিয়াও ঘটবে । এই রকম রাসায়নিক বিক্রিয়াকে রেডক্স বিক্রিয়া বলা হয় । ...

কয়েকটি জারক ও বিজারক পদার্থ

কয়েকটি জারক পদার্থ - ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড, নাইট্রিক অ্যাসিড, অক্সিজেন, পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট, গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড, ওজোন, পটাশিয়াম ডাই-ক্রোমেট, হাইড্রোজেন পারক্সাইড, ফ্লুওরিন, রেড লেড, তরল ব্রোমিন, ক্লোরিন, কয়েকটি বিজারকের বিজারণ ক্ষমতার উদাহরণ ...

জারণ বিজারণের ইলেক্ট্রনীয় মতবাদ

জারণ ও বিজারণ রসায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিক্রিয়া । সাধারণত কোনো মৌলে বা যৌগে অক্সিজেনের সংযুক্তি বা কোনো যৌগ থেকে হাইড্রোজেনের বিযুক্তিকে জারণ এবং কোনো মৌলে বা যৌগে হাইড্রোজেনের সংযুক্তি বা কোনো যৌগ থেকে অক্সিজেনের বিযুক্তিকে বিজারণ বলা হয় । ...

সমযোজী যৌগগুলির বৈশিষ্ট্য

সাধারণ তাপমাত্রায় বেশির ভাগ সমযোজী যৌগ সাধারণত তরল কিংবা গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে কিন্তু বেশি আণবিক গুরুত্ববিশিষ্ট সমযোজী মৌল বা যৌগগুলি কঠিন বা তরল হয় । সমযোজী যৌগে সমযোজী বন্ধন দৃঢ় প্রকৃতির, তার ফলে অণুগুলি স্থায়ী হয় । ...

ইলেক্ট্রনীয় যোজ্যতা বা তড়িৎ-যোজ্যতা

সাধারণ অবস্থায় পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রন এবং প্রোটন সংখ্যা সমান হওয়ার জন্য পরমাণু নিস্তড়িৎ হয় । সাধারণ নিয়মে পরমাণুর সংযোগ হওয়ার সময় ধাতুর পরমাণু ইলেকট্রন বর্জন এবং অধাতুর পরমাণু ইলেকট্রন গ্রহণ করে । ফলে কোনো পরমাণু ইলেকট্রন বর্জন করে ধনাত্মক আয়নে পরিণত হয় ...