প্রশ্ন:- উৎপত্তি অনুসারে মাটির শ্রেণিবিভাগ কর ।
উৎপত্তি অনুসারে মাটি দু’ধরনের হয়, যেমন- (১) স্থানীয় মাটি ও (২) অপসৃত মাটি ।
(১) স্থানীয় মাটি:- প্রাকৃতিক পরিবর্তনের ফলে মাতৃশিলা থেকে উৎপন্ন মাটি উৎপত্তিস্থলেই স্থিতিলাভ করে তখন তাকে স্থানীয় মাটি বা স্থিতিশীল মাটি বলে । এই ধরনের মাটির ওপরের স্তর -এর কণাগুলি সূক্ষ্ম হয় কিন্তু নীচের স্তরগুলিতে মাটির কণাগুলি ক্রমশ মোটা হতে শুরু করলেও মাটির বিভিন্ন স্তরের মূল উপাদান একই থাকে ।
(২) অপসৃত মাটি:- যেসব মাটি বায়ুপ্রবাহ, তুষারপাত, জলপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা পরিবাহিত হয়ে তাদের উৎস থেকে দূরবর্তী স্থানে সঞ্চিত হয়, তাদের পরিবাহিত বা অপসৃত মাটি বলে । অপসৃত মাটি সাধারণত উর্বর হয় এবং দূরবর্তী স্থান থেকে আসার জন্য অপসৃত মাটির মূল ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম তাদের নীচে থাকা শিলাস্তর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয় ।
মাটির প্রকারভেদ : অপসৃত মাটি নানা ধরনের হতে পারে, যেমন- কোনো স্থানের মাটি বায়ুপ্রবাহ দ্বারা পরিবাহিত হয়ে দূরবর্তী স্থানে সঞ্চিত হলে তাকে লোয়েস মাটি এবং জলপ্রবাহ দ্বারা সঞ্চিত হলে তাকে পলিমাটি বলে ।
গঠন অনুসারে মাটির শ্রেণিবিভাগ:- গঠন অনুসারে মাটিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় । যথা—
(i) দোঁয়াশ মাটি —এই মাটিতে বালি ও কাদা প্রায় সমপরিমাণে থাকে,
(ii) এঁটেল মাটি — এই মাটিতে কাদার ভাগ বেশি,
(iii) বেলে মাটি — এই মাটিতে বালির ভাগ বেশি ।
*****