ভারতমাতা চিত্র (Bharatmata)

Submitted by avimanyu pramanik on Wed, 01/06/2021 - 16:40

ভারতমাতা চিত্র  ভারতমাতা চিত্র (Bharatmata - Painting by Abanindranath Tagore, 1861-1941) :-

ঊনিশ শতকে বিভিন্ন রচনা ও আঁকা ছবি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে বিশেষ অবদান রাখে । ভারতীয় চিত্রশিল্পের জগতে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন । অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে আঁকা 'ভারতমাতা' চিত্রটি শিক্ষিত ও প্রগতিশীল ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবাদের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ।

১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী স্বদেশি আন্দোলনের সময় হিন্দুদের ধনসম্পদের দেবী লক্ষ্মীর অনুকরণে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'ভারতমাতা' চিত্রটি আঁকেন । এখানে দেবী চতুর্ভুজা এবং তাঁর চার হাতে রয়েছে বেদ, ধানের শিষ, জপের মালা ও শ্বেত বস্ত্র । এগুলি মূলত ভারতীয় সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক । এগুলির দ্বারা শিল্পী স্বদেশি আন্দোলনের যুগে দেশবাসীর মধ্যে স্বদেশিয়ানা ও জাতীয়তাবোধ জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন । এই চিত্রটির প্রথমে নাম ছিল 'বঙ্গমাতা' । ভগিনী নিবেদিতা এর নামকরণ করেন 'ভারতমাতা' । এই চিত্রের মধ্যে দিয়ে শান্ত, অভয় ও সমৃদ্ধি প্রদানকারী মাতৃদেবীর রূপকে কল্পনা করা হয়েছে । চিত্রটি একাধারে মানবী ও দেবী হিসেবে কল্পিত হয়েছে ও সেই সঙ্গে চিত্রটিতে পরিচিত ও অতিপ্রাকৃত রূপের সমন্বয় ধরা পড়েছে । সমকালীন বিভিন্ন জাতীয় আন্দোলনে মিছিলের সামনে এই চিত্রটি আন্দোলনকারীদের হাতে থাকত ।

****

Comments

Related Items

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - উত্তর ঔপনিবেশিক ভারত (১৯৪৭-১৯৬৪)

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - উত্তর ঔপনিবেশিক ভারত:-

মাধ্যমিকের নমুনা প্রশ্ন:-

১. ভারতের রাজনীতিতে 'লৌহ মানব' বলে পরিচিত ছিলেন—        [মাধ্যমিক-২০১৭]

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - বিশ শতকের ভারতের নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - বিশ শতকের ভারতের নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন:-

মাধ্যমিকের নমুনা প্রশ্ন:-

১. দীপালি সংঘ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন—          [মাধ্যমিক-২০১৭]

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন:-

মাধ্যমিকের নমুনা প্রশ্ন:-

১. একা আন্দোলনের নেতা ছিলেন—     [মাধ্যমিক-২০১৭]

স্যাডলার কমিশন (Sadler Commission)

১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাশ হবার পর দেশে উচ্চশিক্ষার প্রসার ক্রমশ বৃদ্ধি পায় । উচ্চশিক্ষাকে আরও ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে বড়লাট চেমসফোর্ডের সময় স্যার মাইকেল স্যাডলারের সভাপতিত্বে 'স্যাডলার কমিশন' গঠন করা হয় । স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় এই কমিশনের সদস্য ছিলেন ...