বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

Submitted by avimanyu pramanik on Fri, 01/29/2021 - 17:50

বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (Peasant, Working Class and Left Movements in Twentieth Century):-

ভারতবর্ষ কৃষিনির্ভর দেশ । ভারতবর্ষের গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী বেশিরভাগ মানুষদের জীবিকা ছিল কৃষির ওপর নির্ভরশীল । ঔপনিবেশিক শাসনকালে ব্রিটিশদের কৃষিনীতি ভীষণভাবে কৃষক স্বার্থবিরোধী ছিল । সেই সঙ্গে ব্রিটিশ সরকার ও তাদের অনুগ্রহপুষ্ট স্বার্থান্বেষী জমিদার মহাজনশ্রেণি কৃষকদের অন্যায়ভাবে শোষণ ও অত্যাচার করত । এই অবস্থায় নির্যাতিত ও শোষিত কৃষকশ্রেণি তাদের প্রতি হওয়া শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয় ও বিভিন্ন প্রতিবাদী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে । অপরদিকে শ্রমিকশ্রেণিও ব্রিটিশ শাসনকালে সবথেকে বেশি অবহেলিত, শোষিত ও বঞ্চিত হয় । ভারতে ঔপনিবেশিক শাসনের প্রথম দিকে শ্রমিকশ্রেণির মধ্যে সংঘবদ্ধভাবে সংগ্রামী চেতনা জাগরিত হয়নি । মূলত উনিশ শতকের শেষ দিক থেকে শ্রমিকশ্রেণি তাদের প্রতি অবহেলা, শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগঠিত হতে শুরু করে । বিভিন্ন কলকারখানা, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, সরকারি রেল, জাহাজ, ডাক ও তার বিভাগের শ্রমিকরা প্রতিবাদী ধর্মঘট আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে । বিশ শতকে জাতীয় কংগ্রেসের পাশাপাশি বামপন্থী দলগুলিও ভারতে উপনিবেশ-বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণের চেষ্টা করে । বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বামপন্থী রাজনীতি উপনিবেশ-বিরোধী আন্দোলনে নিজেদের স্বতন্ত্র ভাবমূর্তি গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালায় ।

****

Comments

Related Items

আজাদ হিন্দ ফৌজের ভারত অভিযান সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ । কী কারণে শেষ পর্যন্ত আজাদ হিন্দ ফৌজ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়ে ছিল ?

প্রশ্ন:-  আজাদ হিন্দ ফৌজের ভারত অভিযান সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ । কী কারণে শেষ পর্যন্ত আজাদ হিন্দ ফৌজ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়ে ছিল ?

আজাদ হিন্দ ফৌজের ভারত অভিযান—

’করেঙ্গা ইয়া মরেঙ্গে’ -কোন আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল ? এই আন্দোলনে কৃষক ও শ্রমিকরা কীরূপ ভূমিকা নিয়েছিল ?

প্রশ্ন:-  ’করেঙ্গা ইয়া মরেঙ্গে’ -কোন আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল ? এই আন্দোলনে কৃষক ও শ্রমিকরা কীরূপ ভূমিকা নিয়েছিল ?

১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ভারত ছাড়ো আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল 'করেঙ্গা ইয়া মরেঙ্গে' ।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রসার আলোচনা কর ।

প্রশ্ন:- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রসার আলোচনা কর ।

১৯৪২ সালের ৮ই আগষ্ট ‘ভারত-ছাড়ো প্রস্তাব’ গৃহীত হলে পরদিন অর্থাৎ ৯ই আগষ্ট, ১৯৪২ এর ভোর থেকেই আন্দোলন শুরু হয়, যেমন—

১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে কোন ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে স্যার স্ট্যাস্ট্যাস্ট্যাফোর্ড ক্রিপ্‌স ভারতে এসেছিলেন ?

প্রশ্ন:-  ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে কোন ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপ্‌স ভারতে এসেছিলেন ?

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মাতঙ্গিনী হাজরার অবদান আলোচনা কর ।

প্রশ্ন:- ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মাতঙ্গিনী হাজরার অবদান আলোচনা কর ।

ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মাতঙ্গিনী হাজরার অবদান বিশেষভাবে স্মরনীয় ।