পরিবেশের ইতিহাস (History of Environment)

Submitted by avimanyu pramanik on Wed, 09/23/2020 - 09:32

পরিবেশের ইতিহাস (History of Environment) : যুদ্ধ, নগরায়ণ, শিল্পায়ন প্রভৃতির ফলে বর্তমানকালে বিশ্বের প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য ক্রমে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে চলেছে । এই পরিস্থিতিতে সাম্প্রতিককালে মানুষ নিজেদের সুষ্ঠভাবে বেঁচে থাকার তাগিদে পরিবেশ সম্পর্কে ক্রমে সচেতন হয়ে উঠছে । তাই পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজনে দিকে দিকে আন্দোলন, প্রচার অভিযান প্রভৃতি শুরু হয়েছে । পরিবেশের স্থির ও পরিবর্তনশীল রূপের চর্চা পরিবেশের ইতিহাসচর্চার মূল বৈশিষ্ট্য । পরিবেশের ইতিহাসচর্চা আধুনিক ইতিহাসচার্চাকে সমৃদ্ধ করে তোলে । প্রাকৃতিক পরিবেশ কীভাবে মানুষের জীবনধারণ প্রণালী, রীতিনীতি ও সভ্যতাকে প্রভাবিত করে তার আলোচনা পরিবেশের ইতিহাসচর্চার অন্যতম বৈশিষ্ট্য । পাশাপাশি একটি সভ্যতা ধ্বংসের ও বিকাশের পিছনেও পরিবেশের বিশেষ ভূমিকা লক্ষ করা যায় । একটি জাতির জীবনযাত্রার ধরন, সংস্কৃতি, ধর্মাচার ও সমাজের জাতিপ্রকৃতি পরিবেশ দ্বারা কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়, তা জানার জন্য পরিবেশের ইতিহাস অপরিহার্য ।

প্রকৃতির প্রতি প্রাক-আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি ধরা পড়ে কীথ টমাসের 'ম্যান অ্যান্ড দ্যা ন্যাচারাল ওয়ার্ল্ড' গ্রন্থে । সাইমন স্কামা -র 'ল্যান্ডস্কেপ অ্যান্ড মেমরি' গ্রন্থে বলা হয়েছে প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদানগুলি সজীব বলে মনে হবে যদি সেই দৃষ্টি দিয়ে এদের নিরীক্ষণ করা হয় । এই গ্রন্থে দেখানো হয়েছে প্রকৃতি ও মানুষ একে অপরের ওপর নির্ভরশীল । পরিবেশের ইতিহাসচর্চার গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ হল রিচার্ড গ্রোভের 'গ্রিন ইম্পিরিয়ালিজম', 'ইকোলজি', 'ক্লাইমেট অ্যান্ড এম্পায়ার', ডেভিড আর্নল্ড সম্পাদিত 'নেচার, কালচার', 'ইম্পিরিয়ালিজম', রামচন্দ্র গুহ ও মাধব গ্যাডগিল রচিত 'দিস ফিসারডল্যান্ড :  অ্যান ইকোলজিক্যাল হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়া', আলফ্রেড ডব্লিউ ক্রসবি -এর লেখা 'ইকোলজিক্যাল ইম্পিরিয়ালিজম' প্রভৃতি । মাইকেলমান তাঁর 'দিল্লি'স বেলি' গ্রন্থে দিল্লি শহরের প্রেক্ষিতে জলসংকট বৃদ্ধির বিষয়টির ওপর আলোকপাত করেছেন । পরিবেশ রক্ষার তাগিদে যখন গড়ে উঠেছে নানা দেশে বিভিন্ন আন্দোলন, সেই আন্দোলনের ইতিহাস একদিকে পরিবেশ-ইতিহাসের সাথে যুক্ত হচ্ছে । অন্যদিকে মানুষের অধিকার রক্ষার প্রশ্নে উঠে আসছে সামাজিক ইতিহাসের নতুন দিশা ।

****

Comments

Related Items

ভারতের সংবিধানের চারটি মূল বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর ।

প্রশ্ন:-  ভারতের সংবিধানের চারটি মূল বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো ।

১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে জানুয়ারি ভারতের সংবিধান প্রকাশ করা হয় । ভারতীয় সংবিধানের চারটি উল্লেখযোগ্য প্রধান বৈশিষ্ট্য হল—

মুসলিম লিগ কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? স্যার সৈয়দ আহম্মদ খাঁ মুসলমানদের কংগ্রেসে যোগ না দিতে পরামর্শ দিয়েছিলেন কেন ? মুসলিম লিগ কেন ‘প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস’ পালন করে ?

প্রশ্ন:-  মুসলিম লিগ কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? স্যার সৈয়দ আহম্মদ খাঁ মুসলমানদের কংগ্রেসে যোগ না দিতে পরামর্শ দিয়েছিলেন কেন ? মুসলিম লিগ কেন ‘প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস’ পালন করে ?

‘দ্বিজাতি তত্ত্ব’ কী ? ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের শেষ পর্যায়ে এই তত্ত্বের প্রভাব উল্লেখ কর ।

প্রশ্ন:- ‘দ্বিজাতি তত্ত্ব’ কী ? ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের শেষ পর্যায়ে এই তত্ত্বের প্রভাব উল্লেখ কর ।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে নৌ-বিদ্রোহের গুরুত্ব কী ? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ভারতে ছাত্র আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও ।

প্রশ্ন:-  ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে নৌ-বিদ্রোহের গুরুত্ব কী ? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ভারতে ছাত্র আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও ।

আজাদ হিন্দ ফৌজের লক্ষ্য কতদূর পরিপূর্ণ হয় ? আজদ হিন্দ ফৌজের বিচার ভারতীয় জনগণের ওপর কী প্রভাব বিস্তার করে ?

প্রশ্ন:- আজাদ হিন্দ ফৌজের লক্ষ্য কতদূর পরিপূর্ণ হয় ? আজদ হিন্দ ফৌজের বিচার ভারতীয় জনগণের ওপর কী প্রভাব বিস্তার করে ?