আফ্রিকার জাতীয় মুক্তি আন্দোলন (National Liberation Movements in Africa) :
আফ্রিকাতে ইংরেজ, ফরাসি, ইটালি, জার্মান, পোর্তুগিজ প্রভৃতি জাতি উপনিবেশ গড়ে তুলেছিল । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আফ্রিকাতে ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে আলোড়ন সৃষ্টিকারী জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম ত্বরান্বিত হয় । একের পর এক আফ্রিকার পরাধীন জাতিগুলির মধ্যে মুক্তি চেতনা সঞ্চারিত হয় ও ওই সবদেশে গড়ে উঠতে থাকে মুক্তিকামী জাতীয়তাবাদী সংস্থা । এ প্রসঙ্গে প্রথমেই অ্যাঙ্গোলার নাম করতে হয় । প্রায় চারশো বছর আগে পোর্তুগিজরা অ্যাঙ্গোলাতে উপনিবেশ স্থাপন করেছিল । অ্যাঙ্গোলার কালো মানুষদের অজ্ঞতা ও সরলতার সুযোগ নিয়ে পোর্তুগিজরা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে শাসন ও শোষণ চালাচ্ছিল । ক্রমশ অ্যাঙ্গোলাতে নবজাগ্রত জাতীয়তাবোধে উদ্দীপ্ত জনগণ তাঁদের নেতা অগাস্টিনো নেদোর নেতৃত্বে ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে । অগাস্টিনোর কন্ঠে ঘোষিত হয় দৃঢ় সংকল্পের কথা— 'তুলো, কফি আর ভুট্টা খেতের দেশ, কালো মানুষের লাল রক্তে ভেজা ক্ষতবিক্ষত সুন্দর আমার দেশ, তোমাকে স্বাধীন করবই ।' শেষ পর্যন্ত বহু দুঃখ বেদনা ও আত্মদানের মধ্যে দিয়ে মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে পোর্তুগিজ শাসনের অবসান ঘটিয়ে অ্যাঙ্গোলা স্বাধীনতা অর্জন করে । অ্যাঙ্গোলার জনগণের অবিসংবাদিত নেতা ও স্বাধীনতা যোদ্ধা অগাস্টিনো নেদো সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত অ্যাঙ্গোলার রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন ।
*****
- 1040 views