হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ

Submitted by avimanyu pramanik on Sun, 07/25/2021 - 22:52

হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ (Landforms formed by Erosional works of Glaciers) :- পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহ প্রধানত (ক) ক্ষয়সাধন (Erosion), (খ) বহন বা অপসারণ (Transportation) ও (গ) অবক্ষেপণ বা সঞ্চয় (Deposition) —এই তিন প্রকারে কাজ করে থাকে । হিমবাহ (ক) অবঘর্ষ ক্ষয় (Abrasion) ও (খ) উৎপাটন (Plucking) পদ্ধতিতে ক্ষয়সাধন (Erosion) কাজ করে থাকে । হিমবাহের সঙ্গে বাহিত প্রস্তরখন্ডের ঘর্ষণে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় পর্বতগাত্রে আঁচড় কাটার মতো দাগ পড়ে শিলাস্তর ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং পর্বতগাত্রের ফাটলে হিমবাহের চাপে পর্বতগাত্র থেকে প্রস্তরখন্ড উৎপার্টিত হয়ে নানা রকম ভূমিরূপের সৃষ্টি করে । হিমবাহের ক্ষয়সাধন কাজের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপগুলি হল —

(i) করি (Corrie),

(ii) অ্যারেট (Arete),

(iii) পিরামিড চূড়া (Pyramidal Peak),

(iv) কর্তিত শৈলশিরা (Truncated Spurs),

(v) U -আকৃতির উপত্যকা বা হিমদ্রোণী (U-shaped Valley or Glacial Trough),

(vi) ঝুলন্ত উপত্যকা (Hanging Valley),

(vii) রসে মতানে (Roche Moutonnee),

(viii) ক্র্যাগ ও টেল (Crag and Tail),

(ix) ফিয়র্ড ইত্যাদি । 

*****

Comments

Related Items

বায়ুর উষ্ণতা (Air Temperature)

বায়ুর উষ্ণতা (Air Temperature) : বায়ুর উষ্ণতা বলতে বায়ুর তাপমাত্রাকে বোঝায় । বায়ুর উষ্ণ এবং শীতল অবস্থার তুলনামূলক পরিমাপকেই বায়ুর উষ্ণতা বলা হয় । সূর্যকিরণ হল বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার প্রধান উৎস । সূর্যের তাপ গ্রহণ বা তার প্রতিফলন ঘটিয়ে বায়ু উষ্ণ বা শ

ওজোন স্তর (Ozone Layer)

ওজোন স্তর (Ozone Layer) : বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় স্তরে অর্থাৎ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের মধ্যে ২০ - ৩৫ কিমি.

ম্যাগনেটোস্ফিয়ার (Magnetosphere)

ম্যাগনেটোস্ফিয়ার (Magnetosphere) : এক্সোস্ফিয়ার স্তরের ওপরে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বেষ্টনকারী চৌম্বকক্ষেত্রটি হল ম্যাগনেটোস্ফিয়ার স্তর । এটি বায়ুমণ্ডলের সর্বশেষ স্তর । এক্সোস্ফিয়ার স্তরের ওপর ১,৫০০ কিমি.

এক্সোস্ফিয়ার (Exosphere)

এক্সোস্ফিয়ার (Exosphere) : এক্সোস্ফিয়ার হল বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে দূরবর্তী স্তর । এই স্তরটি আয়নোস্ফিয়ারের ওপরে প্রায় ৭০০ কিমি. উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত ।

আয়োনোস্ফিয়ার বা থার্মোস্ফিয়ার (Ionosphere or Thermosphere)

আয়োনোস্ফিয়ার (Ionosphere) : মেসোস্ফিয়ার স্তরের শেষ সীমা হল মেসোপজ । আর এই মেসোপজের ওপরে প্রায় ৫০০ কিমি.