বিষমমন্ডল বা হেটেরোস্ফিয়ার (Heterosphere)

Submitted by avimanyu pramanik on Wed, 08/04/2021 - 10:42

বিষমমন্ডল বা হেটেরোস্ফিয়ার (Heterosphere) : সমমণ্ডলের ওপরে ৮০ কিমি. থেকে ১০,০০০ কিমি. উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুস্তরে বায়ুমণ্ডলের গ্যাসীয় উপাদানগুলির অনুপাত সমান থাকে না, এজন্য এই স্তরটিকে বিষমমণ্ডল বা হেটেরোস্ফিয়ার বলে । এই স্তরে গ্যাসীয় পদার্থগুলি তাদের ভর অনুসারে বিভিন্ন উচ্চতায় অবস্থান করে । বিষমমণ্ডল আবার চারটি উপস্তরে বিভক্ত । যথা— (i) আণবিক নাইট্রোজেন স্তর, (ii) পারমাণবিক অক্সিজেন স্তর, (iii) হিলিয়াম স্তর, (iv) হাইড্রোজেন স্তর ।

(i) আণবিক নাইট্রোজেন স্তর (Molecular Nitrogen Layer) : ৮০ - ২০০ কিমি. উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমণ্ডলের এই স্তরটি প্রধানত নাইট্রোজেন গ্যাস দ্বারা গঠিত বলে এই স্তরটিকে আণবিক নাইট্রোজেন স্তর বলা হয় ।

(ii) পারমাণবিক অক্সিজেন স্তর (Atomic Oxygen Layer) : ২০০ - ১,১০০ কিমি. পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমণ্ডলের এই স্তরটি প্রধানত অক্সিজেন গ্যাস দিয়ে গঠিত বলে এই স্তরটিকে পারমাণবিক অক্সিজেন স্তর বলা হয় ।

(iii) হিলিয়াম স্তর (Helium Layer) : ১,১০০ - ৩,৫০০ কিমি. পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমণ্ডলের স্তরটিতে হিলিয়াম গ্যাসের আধিক্য থাকার জন্য এই স্তরটিকে হিলিয়াম স্তর বলা হয় ।

(iv) হাইড্রোজেন স্তর (Hydrogen Layer) : ৩,৫০০ কিমি. থেকে বায়ুমণ্ডলের উর্ধ্বসীমা অর্থাৎ ১০,০০০ কিমি. উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত স্তরে পারমাণবিক হাইড্রোজেন গ্যাস বিস্তৃত রয়েছে, এজন্য এই স্তরকে হাইড্রোজেন স্তর বলা হয় ।

****

Comments

Related Items

ভরা জোয়ার ও মরা জোয়ার (Spring Tides and Neap Tides)

ভরা কোটাল বা ভরা জোয়ার (Spring Tides) : পৃথিবীর সব জায়গায় সব দিন জোয়ারের পরিমাণ একই থাকে না । তিথি অনুসারে জোয়ারভাটা বাড়ে ও কমে । পৃথিবীর ওপর সূর্যের আকর্ষণ শক্তি চাঁদের আকর্ষণ শক্তির প্রায় অর্ধেক হলেও ভূপৃষ্ঠে জোয়ার ভাটা সৃষ্টিতে সূর্যের প্রভাবও বিশ

জোয়ার ভাটার সময়ের ব্যবধান

জোয়ার ভাটার সময়ের ব্যবধান : পৃথিবীর আবর্তন গতি ও পৃথিবীকে কেন্দ্র করে চাঁদের পরিক্রমণ গতির ওপর জোয়ার ভাটার উৎপত্তি নির্ভর করে । ভূপৃষ্ঠের যে স্থানে যখন মুখ্য জোয়ার হয়, তার প্রতিপাদস্থানে তখন গৌণ জোয়ার হয় । আবর্তন গতির ফলে পৃথিবীর যে স্থানে যখন মু

মুখ্য জোয়ার, গৌণ জোয়ার ও ভাটা (Primary Tide, Secondary Tide and Low Tide)

মুখ্য জোয়ার (Primary or Direct Tide) : পৃথিবী যেমন তার অক্ষ বা মেরুদণ্ডের ওপর আবর্তন করে তেমনিই চাঁদও পৃথিবীর চারদিকে সর্বদা পরিক্রমণ করছে । পৃথিবীর আবর্তনের ফলে পৃথিবী পৃষ্ঠের যে স্থান ঠিক চন্দ্রের সামনে এসে উপস্থিত হয়, সেখানে চন্দ্রে

জোয়ার ভাটা ও জোয়ার ভাটা সৃষ্টির কারণ (Tides and Causes of Tides)

জোয়ার ভাটা (Tides) : পৃথিবীর সাগর-মহাসাগরে সমুদ্রস্রোত ও সমুদ্রতরঙ্গ ছাড়া আরও একটি গতি রয়েছে । এই গতির ফলে সমুদ্রের জল প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য কোনো এক জায়গায় ফুলে ওঠে এবং অন্য কোনো জায়গায় নেমে যায় । মূলত চাঁদের আকর্ষণী শক্তির

সমুদ্রস্রোতের প্রভাব (Effects of Ocean Currents)

সমুদ্রস্রোতের প্রভাব (Effects of Ocean Currents) : ভৌগলিক পরিবেশ ও মানুষের কাজকর্মের ওপর পৃথিবীর বিভিন্ন সমুদ্রে প্রবাহিত সমুদ্রস্রোতের নানা রকম প্রভাব দেখা যায় । যেমন —