পৃথিবীর বিভিন্ন বায়ুচাপ বলয়ের সীমা পরিবর্তনের কারণ ও প্রভাব কী কী ?

Submitted by avimanyu pramanik on Thu, 12/30/2021 - 09:35

প্রশ্ন :- পৃথিবীর বিভিন্ন বায়ুচাপ বলয়ের সীমা পরিবর্তনের কারণ ও প্রভাব কী কী ?

উত্তর : সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়ণ -এর ফলে ভূপৃষ্ঠের তাপবলয় ও বায়ুচাপ বলয়গুলি কিছুটা স্থান পরিবর্তন করে । যেমন সূর্যের উত্তরায়ণের সময় পৃথিবীর বায়ুচাপ বলয়গুলি ৫ - ১০ উত্তরে সরে যায় এবং দক্ষিণায়ণের সময় এরা ৫ - ১৫ দক্ষিণে সরে যায় । এই ঘটনাকে বায়ুচাপ বলয়ের সীমানা পরিবর্তন বলা হয় ।

বায়ুচাপ বলয়ের সীমানা পরিবর্তনের প্রভাব :

(১) বায়ুচাপ বলয়ের সীমানা পরিবর্তনের ফলে নিয়তবায়ু প্রবাহেরও পরিবর্তন ঘটে ।

(২) বায়ু বলয়গুলির সঙ্গে বৃষ্টি বলয়গুলিও সরে যায় । গ্রীষ্মে আয়নবায়ুর প্রবাহ উত্তরে সরে গেলে সাভানা অঞ্চলে বৃষ্টি হয়, কিন্তু শীতে এই বায়ুপ্রবাহ দক্ষিণে সরে গেলে এর প্রভাবে সেখানে কোনও বৃষ্টিপাত হয় না ।

(৩) গ্রীষ্মকালে ৩০ - ৪০ অক্ষাংশের মধ্যবর্তী বায়ুচাপ বলয়গুলি সামান্য উত্তরে সরে যাওয়ায় এই অঞ্চল শুষ্ক আয়ন বায়ুর প্রভাবে আসে । আবার শীতকালে এই অঞ্চলের বায়ুচাপ বলয়গুলি সামান্য দক্ষিণে সরে যাওয়ায় এই অঞ্চলে আর্দ্র পশ্চিমাবায়ুর প্রভাব দেখা যায় । এইজন্য ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে শীতকালে বৃষ্টিপাত হলেও গ্রীষ্মকালে সাধারণত বৃষ্টিপাত হয় না ।

*****

Comments

Related Items

বায়ুপ্রবাহের কাজ (Work of Wind)

বায়ুপ্রবাহের কাজ (Work of Wind) : বায়ুপ্রবাহের প্রধান কাজ ক্ষয়সাধন করা । এছাড়া অপসারণ বা বহন এবং সঞ্চয় বা অবক্ষেপণের মাধ্যমেও বায়ুপ্রবাহ কাজ করে থাকে । বায়ুপ্রবাহ সহজেই বালুকণাকে উপরে তুলে উড়িয়ে নিয়ে যায় । ভূমি বা মাটির কাছাকাছি বায়ু প্রবাহের গতিবেগ

কেটল (Kettle)

কেটল (Kettle) : বহিঃধৌত সমভূমিতে হিমবাহ ও হিমবাহ গলিত জলধারার মিলিত সঞ্চয়কার্যের ফলে নানা রকম ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, কেটল তার মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপের নিদর্শন । কোনো কোনো সময় বহিঃধৌত সমভূমিতে বিরাট বিরাট বরফের চাঁই নানা ধরনের অবক্ষেপের মধ্যে চাপা পড়ে

এসকার (Esker)

এসকার (Esker) : হিমবাহ ও  জলধারার মিলিত সঞ্চয়কার্যের ফলে নানা রকম ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, এসকার হল তার মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপের নিদর্শন । উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলের পাদদেশে হিমবাহের বহন করে আনা বিভিন্ন আকৃতির প্রস্তরখণ্ড, নুড়ি, কাদা, বালি, কাঁকর প্রভৃতি হিম

কেম (kames)

কেম (kames) : হিমবাহ ও জলধারার মিলিত সঞ্চয়কার্যের ফলে নানা রকম ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, কেম হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি  ভূমিরূপ । অনেক সময় পার্বত্য হিমবাহের শেষপ্রান্তে হিমবাহ যেখানে গলতে শুরু করে সেখানে কাদা, বালি, নুড়ি, পাথর, কাঁকর ইত্যা

ড্রামলিন (Drumlin)

ড্রামলিন (Drumlin) : হিমবাহ ও হিমবাহগলিত জলধারার মিলিত সঞ্চয়কার্যের ফলে হিমবাহের পাদদেশে বহিঃধৌত সমভূমিতে বা তার কাছে যেসব ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, ড্রামলিন হল তার মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপের নিদর্শন । হিমবাহ গলে গেলে তার নীচে হিমবাহের সঙ্গে বয়ে আনা বালি ও