জৈবিক আবহবিকার কাকে বলে ? কীভাবে জৈবিক আবহবিকার সংঘটিত হয় ?

Submitted by avimanyu pramanik on Mon, 12/27/2021 - 12:04

প্রশ্ন:- জৈবিক আবহবিকার কাকে বলে ? কীভাবে জৈবিক আবহবিকার সংঘটিত হয় ?

জৈবিক আবহবিকার (Organic Weathering) : জৈবিক আবহবিকার হল যান্ত্রিক আবহবিকার -এর একটি বিশেষ রূপ । গাছপালার শিকড় শিলাস্তরের মধ্যে ঢুকে ফাটল ধরিয়ে যান্ত্রিক আবহবিকার ঘটায় । যান্ত্রিক ও রাসায়নিক আবহবিকার ছাড়াও উদ্ভিদ ও প্রাণীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে শিলাখন্ডকে চূর্ণ বিচুর্ণ করে থাকে । ইঁদুর, খরগোশ, প্রেইরি কুকুর, পিঁপড়ে, কেঁচো, উই প্রভৃতি মৃৎভেদী প্রাণীরা মাটিতে গর্ত খুঁড়ে ভেতরের শিলাচূর্ণ, মাটি ইত্যাদি উপরের পৃষ্ঠে নিয়ে আসে । এভাবে উদ্ভিদ এবং প্রাণীজগৎ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে শিলাখন্ডকে চূর্ণবিচূর্ণ করে থাকে । এরকম আবহবিকারকে জৈবিক আবহবিকার বলে ।

জৈবিক বিচূর্ণীভবন (ক) উদ্ভিদ এবং (খ) প্রাণীর সাহায্যে হতে পারে ।

(ক) উদ্ভিদের সাহায্যে বিচূর্ণীভবন:-

(i) উদ্ভিদ, লতাপাতা প্রভৃতি জলে পচে যে জৈব অম্লের সৃষ্টি হয় তার সংস্পর্শে এলে শিলাগঠিত খনিজে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে, ফলে কালক্রমে খনিজ বিয়োজিত হয়ে শিলা ক্ষয়ীত হয়;

(ii) এছাড়াও শিলার ফাটল দিয়ে উদ্ভিদের শিকড় শিলার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বিস্তার লাভ করে এবং শিলাকে চূর্ণবিচূর্ণ হতে সাহায্য করে ।

(খ) প্রাণীর সাহায্যে বিচূর্ণীভবন:-

(i) প্রেইরি কুকুর, খরগোশ, ছুঁচো, ইঁদুর, কেঁচো প্রভৃতি মৃৎভেদী প্রাণী ভূপৃষ্ঠে গর্ত করে বাসস্থান নির্মান করতে গিয়ে মৃত্তিকার দৃঢ়তা নষ্ট করে একে ক্ষয়প্রাপ্ত হতে সাহায্য করে ।

(ii) বিভিন্ন ধরনের কীট, জীবাণু এবং ব্যাকটিরিয়ার দেহ-নিঃসৃত রসের মাধ্যমে শিলায় আবহবিকার হয় ।

*****

Comments

Related Items

নর্মদা নদী (The Narmada)

নর্মদা নদী (The Narmada) : মহাকাল পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ অমরকন্টক থেকে উৎপন্ন হয়ে নর্মদা নদী উত্তর-পশ্চিমে বেঁকে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র হয়ে গুজরাটের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিন্ধ্য ও সাতপুরার সংকীর্ণ গিরিখাত অতিক্রম করে

ব্রহ্মপুত্র নদ (The Brahmaputra)

ব্রহ্মপুত্র নদ : তিব্বতের মানস সরোবরের নিকটবর্তী চেমায়ুং-দুং হিমবাহ থেকে সাংপো নামে উৎপন্ন হয়ে নামচাবারওয়া শৃঙ্গের কাছে চুলের কাটার মত বেঁকে অরুণাচল প্রদেশের মধ্য দিয়ে ডিহং নামে ভারতে প্রবেশ করেছে । এর মোট দৈর্ঘ্য ২,৯০০ কিমি, এর মধ্

সিন্ধু নদ (The Indus)

সিন্ধু নদ : সিন্ধু নদ তিব্বতের মানস সরোবরের উত্তরে অবস্থিত সিন-কা-বাব জলধারা থেকে উৎপন্ন হয়ে উত্তর-পশ্চিমে প্রথমে তিব্বতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পরে লাদাখ অঞ্চল দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে । সিন্ধু নদের মোট দৈর্ঘ্য ৩,১৮০ কিমি এবং এর মধ

গঙ্গা নদী (The Ganges)

গঙ্গা নদী : গঙ্গা ভারতের শ্রেষ্ঠ নদী এবং ভারতের দীর্ঘতম নদী । গঙ্গানদীর মোট দৈর্ঘ্য ২৫১০ কিমি এবং এর মধ্যে ২০১৭ কিমি ভারতে প্রবাহিত । কুমায়ুন হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ তুষার গুহা থেকে ভাগীরথী নামে উৎপন্ন হয়ে সংকীর্ণ গিরিখাতের

ভারতের নদনদী (Rivers of India)

ভারতের নদনদী : ভারতে অসংখ্য নদনদী বিভিন্ন দিকে প্রবাহিত হয়েছে । উৎস, প্রবাহের অঞ্চল, এবং মোহানা অনুসারে ভারতের নদনদীকে প্রধানত দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় । যেমন— (১) উত্তর ভারতের নদী এবং (২) দক্ষিণ ভারতের নদী ।