ড্রসোফিলার একসংকর জননের পরীক্ষা

Submitted by arpita pramanik on Wed, 12/19/2012 - 12:37

ড্রসোফিলার একসংকর জননের পরীক্ষা (Monohybrid cross in Drosophila)

বংশগতি সংক্রান্ত পরীক্ষায় ড্রসোফিলার [Drosophila] গুরুত্ব:- বংশগতির গবেষণা কাজে ড্রসোফিলার নিম্নলিখিত সুবিধা আছে, যেমন :

[১] এদের যৌন দ্বিরূপতা বর্তমান এবং সহজে সংকরায়ণ ঘটানো যায় ।

[২] প্রচুর সংখ্যক বৈপরীত্যুযুক্ত বৈশিষ্ট্য বর্তমান ।

[৩] সহজে এদের প্রতিপালন করা যায় এবং অত্যন্ত কম সময়ে (মাত্র প্রায় ১০ দিনে ) এদের জীবনচক্র সম্পন্ন হয় ।

[৪] পুরুষ প্রাণীতে ক্রসিং ওভার ঘটে না, ফলে লিংকেজ সংক্রান্ত গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে ।

ড্রসোফিলার একসংকর জননের পরীক্ষা (Monohybrid cross in Drosophila)

ড্রসোফিলাতে স্বাভাবিক ধূসর রং (grey = e+) কালো রং -এর (ebony = e) সাপেক্ষে প্রকট এবং স্বাভাবিক দৈর্ঘ্যের লম্বা ডানা (long = vg+), লুপ্তপ্রায় ডানার [vestigial = vg] সাপেক্ষে প্রকট

একটি ধূসর বর্ণের পুরুষ ড্রসোফিলার সাথে একটি কালো রং -এর স্ত্রীর সংকরায়ণের ফলে F1 -এ সব অপত্যই ধূসর রং -এর হয় এবং তাদের সংকরায়ণের ফলে F2 জনুতে ধূসর এবং কালো রঙের ড্রসোফিলা 3 : 1 অনুপাতে পাওয়া যায় । অর্থাৎ অপরপক্ষে, কালো রং - এর পুরুষের সাথে ধূসর বর্ণের স্ত্রীর সংকরায়ণের ফলে F1 এবং F2 -তে একই ফল পাওয়া যায় । যেহেতু ড্রসোফিলাতে স্বনিষেক ঘটে না, তাই F1 অপত্যগুলির মধ্য থেকেই পুরুষ ও স্ত্রী প্রাণীর সংকরায়ণ করা হয় ।

*****

Related Items

মাইটোসিসের দশা (Stages of Mitosis)

মাইটোসিস বিভাজন দুটি পর্যায়ে সম্পন্ন হয়, যথা:- নিউক্লিয়াসের বিভাজন বা ক্যারিওকাইনেসিস এবং সাইটোপ্লাজমের বিভাজন বা সাইটোকাইনেসিস । মাইটোসিসের নিউক্লিয়াসের বিভাজন বা ক্যারিওকাইনেসিস, চারটি দশায় সম্পন্ন হয় । মাইটোসিসের এই দশাগুলি হল ...

কোশ চক্র ও কোশ চক্রের পর্যায়

এক কথায় কোশের বৃদ্ধি ও জননের বিভিন্ন দশার চক্র বা চাকার মতো আবর্তনকে কোশ চক্র বলে । প্রতিটি জীবের মতো প্রতিটি কোশেরও একটি জীবন-চক্র আছে। কোশের এই জীবন-চক্র বিভাজন ও অবিভাজন এই দু'টি ঘটনার মধ্যে আবর্তিত হ'তে থাকে। জনিতৃ কোশের বিভাজনের ...

কোশ বিভাজনের প্রকারভেদ

জীবদেহে তিন রকমের কোশ বিভাজন দেখা যায়, যথা - অ্যামাইটোসিস, মাইটোসিস এবং মিয়োসিস । অ্যামাইটোসিস হল এক ধরনের প্রত্যক্ষ বা সরাসরি নিউক্লিয়াস বিভাজন । এই প্রক্রিয়ায় মাতৃ নিউক্লিয়াসটির মাঝ বরাবর খাঁজ সৃষ্টির মাধ্যমে অপত্য নিউক্লিয়াসের সৃষ্টি হয়। আবার এই অপত্য ...

কোশ বিভাজন ও কোশ বিভাজনের তাৎপর্য

আজ থেকে প্রায় ২৬০ কোটি বছর আগের ঘটনা । পৃথিবীতে জন্ম নিল প্রথম জীব । পৃথিবীর বুকে জাগল প্রাণের স্পন্দন । প্রথম সৃষ্টি হওয়া সেই জীব না ছিল উদ্ভিদ না কোন প্রাণী । জেলির মতো থকথকে খানিকটা প্রোটোপ্লাজম নিয়ে নির্দিষ্ট আকার ও আকৃতিবিহীন সেই জীবের দেহ গড়ে ...

জিন (Gene)

1950 খ্রিস্টাব্দের পর থেকেই জিন সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের ধারনা বাধ্য হয়ে বার বার পাল্টাতে হয়েছে । ক্রোমোজোম ও জিন সম্পর্কে আধুনিক গবেষণাই প্রমাণিত হয়েছে যে, জিন হল জীবকোশের ক্রোমোজোমের মধ্যে থাকা DNA -এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ যা DNA -এর একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ...