ডিম্বাশয় নিঃসৃত হরমোন

Submitted by arpita pramanik on Sat, 12/08/2012 - 19:34

ডিম্বাশয় নিঃসৃত হরমোন (Hormones secreted from Ovary)

ইস্ট্রোজেন (Oestrogen)

ইস্ট্রোজেনের ক্ষরণস্থল:-  স্ত্রীলোকের ডিম্বাশয়ের পরিণত ডিম্বথলি থেকে ইস্ট্রোজেন হরমোন নিঃসৃত হয় ।

ইস্ট্রোজেনের কাজ:-

(ক)   স্টেরয়েডধর্মী এই হরমোন স্ত্রীদেহের যৌনাঙ্গের পরিবর্তন এবং যৌন বৈশিষ্ট্যের বিকাশে সাহায্য করে ।

(খ)   ত্বকের নীচে স্নেহপদার্থের সঞ্চয় ঘটিয়ে এই হরমোন নারীসুলভ দেহগঠন করতে সাহায্য করে ।

(গ)   নারীর দেহে লোমের আধিক্য এবং কোমল কন্ঠস্বরে ইস্ট্রোজেনের গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রয়েছে ।

(ঘ)  এই হরমোন স্ত্রীলোকের মাসিক চক্র নিয়ন্ত্রণ করে ।

(ঙ)  ইস্ট্রোজেন হরমোনের অতিরিক্ত ক্ষরণে অল্প বয়সে যৌবনোদ্গম হয় ।

(চ)  ইস্ট্রোজেন কম ক্ষরণের ফলে স্ত্রী-যৌনাঙ্গ অপরিণত থাকে এবং দেহে অন্যান্য গৌণ যৌন লক্ষণ ভালোভাবে প্রকাশ পায় না ।

প্রোজেস্টেরন (Progesteron)

প্রোজেস্টেরনের ক্ষরণস্থল :- স্ত্রীলোকের ডিম্বাশয়ের পীত গ্রন্থি এবং প্লাসেন্টা থেকে প্রোজেস্টেরন হরমোন ক্ষরিত হয় ।

প্রোজেস্টেরনের কাজ :-

(ক)  প্রোজেস্টেরন স্ত্রীদেহের গর্ভকালীন পরিবর্তন ঘটায় ।

(খ)  এই হরমোন প্রসবকালীন সময়ে স্ত্রীদেহকে প্রসবের উপযুক্ত করে তোলে ।

(গ)  প্রোজেস্টেরন ডিম্বাণু নিঃসরণ এবং ভ্রূণের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ।

(ঘ)  প্রসবকালীন সময়ে এই হরমোন ডিম্বাশয়ে প্লাসেন্টা [Placenta] বা অমরা গঠনে সাহায্য করে ।

(ঙ)  প্রোজেস্টেরন কম ক্ষরণের ফলে গর্ভপাত ঘটতে পারে ।

(চ)  এই হরমোন নারী দেহে গৌণ যৌন বৈশিষ্ট্যের বিকাশে সাহায্য করে ।

*****

Related Items

ডারউইনবাদের ব্যাখ্যা

ডারউইনের মতে, অত্যাধিক হারে বংশবৃদ্ধি করাই জীবের সহজাত বৈশিষ্ট্য । এর ফলে জ্যামিতিক ও গাণিতিক হারে জীবের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় । একটি স্ত্রী স্যালমন মাছ প্রজনন ঋতুতে প্রায় 3 কোটি ডিম পাড়ে । একটি ঝিনুক একবারে 12 কোটি ডিম্বাণু উত্পাদন করে ...

ডারউইনের তত্ত্ব ও প্রতিপাদ্য বিষয়গুলি

ডারউইনের মতে, অত্যধিক হারে বংশবৃদ্ধি করাই হল জীবের সহজাত বৈশিষ্ট্য । এর ফলে জ্যামিতিক ও গাণিতিক হারে জীবের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় । জীবের জ্যামিতিক ও গাণিতিক হারে সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটার জন্য এবং খাদ্য ও বাসস্থান সীমিত থাকায় বেঁচে থাকার জন্য জীবকে কঠিন প্রতিযোগিতার ...

অভিব্যক্তির তত্ত্বাবলি ও ল্যামার্কের তত্ত্ব

অভিব্যক্তির ফলে নতুন প্রজাতির অথবা একটি প্রজাতি থেকে অন্য একটি প্রজাতির উত্পত্তি হয় । অভিব্যক্তির কৌশল সম্পর্কে যেসব বিজ্ঞানী বিভিন্ন তত্ত্বাবলি প্রতিষ্ঠিত করেছেন তাঁদের মধ্যে ল্যামার্ক এবং ডারউইনের নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য । এখানে অভিব্যক্তির বিভিন্ন তত্ত্বাবলি ...

জীবাশ্মঘটিত বা প্রত্নজীববিদ্যা সংক্রান্ত প্রমাণ

ভূগর্ভের শিলাস্তরে সুদীর্ঘকাল যাবৎ প্রাকৃতিক উপায়ে সংরক্ষিত কিন্তু আজকের পৃথিবীতে লুপ্ত জীবদেহের সামগ্রিক বা আংশিক প্রস্তরীভূত অবস্থা অথবা তার ছাপকে জীবাশ্ম বলে । বিবর্তন সম্পর্কে যেসব প্রমাণ আছে তাদের মধ্যে জীবাশ্ম ঘটিত প্রমাণ সব থেকে জোরালো । ...

অভিব্যক্তির স্বপক্ষে অঙ্গসংস্থান অঙ্গসংস্থানগত ও জীবাশ্মঘটিত প্রমাণ

জীবদেহের যে সমস্ত অঙ্গের বাহ্যিক গঠন ও কাজ আলাদা হলেও উত্পত্তি এবং অভ্যন্তরীণ গাঠনিক কাঠামো মূলগতভাবে এক, তাদের সমসংস্থ অঙ্গ বলে । বিভিন্ন প্রাণীর বিভিন্ন অঙ্গের প্রাথমিক গঠনগত মিল দেখে জৈব-বিবর্তন সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় । এগুলির মধ্যে মেরুদন্ডী ...