গিনিপিগের দ্বি-সংকর জননের পরীক্ষা

Submitted by arpita pramanik on Tue, 12/18/2012 - 23:11

গিনিপিগের দ্বি-সংকর জননের পরীক্ষা (Dihybrid cross in Guineapig)

মেন্ডেলের দ্বি-সংকর জনন প্রক্রিয়াটি প্রাণীদেহেও ঘটানো যেতে পারে । একটি বিশুদ্ধ প্রলক্ষণযুক্ত কালো (রঙ) ও অমসৃণ (রোম) গিনিপিগের সঙ্গে একটি বিশুদ্ধ প্রলক্ষণযুক্ত সাদা (রঙ) ও মসৃণ (রোম) গিনিপিগের (P জনু) সংকরায়ণ ঘটালে প্রথম অপত্য (F1) জনুতে সব কালো ও অমসৃণ গিনিপিগ সৃষ্টি হবে; কারণ কালো এবং অমসৃণ প্রকট গুণসম্পন্ন ।  F1 জনুর দু'টি গিনিপিগের মধ্যে আবার সংকরায়ণ ঘটালে দ্বিতীয় অপত্য জনু বা F2 জনুতে 9 ভাগ কালো ও অমসৃণ,  3 ভাগ কালো ও মসৃণ,  3 ভাগ সাদা ও অমসৃণ এবং 1 ভাগ সাদা ও মসৃণ গিনিপিগের সৃষ্টি হবে ।

কালো রং -এর জন্য B এবং অমসৃণের জন্য R ধরা হলে কালো ও অমসৃণ গিনিপিগের জিনোটাইপ হবে BBRR; একই ভাবে সাদা রং -এর জন্য b এবং মসৃণের জন্য r ধরা হলে সাদা ও মসৃণ গিনিপিগের জিনোটাইপ হবে bbrr (P জনু) । উভয় গিনিপিগের সংকরায়ণ ঘটানোর ফলে F1 জনুতে যে সংকর কালো ও অমসৃণ গিনিপিগ সৃষ্টি হয়েছিল তাদের জিনোটাইপ ছিল BbRr । F1 জনুর গিনিপিগগুলো হেটেরোজাইগাস এবং এদের থেকে চার রকমের করে গ্যামেট সৃষ্টি হয় । এই গ্যামেটগুলি হ'ল —BR,  Br, bR এবং br । F1 জনুতে উদ্ভুত চার রকমের পুং ও স্ত্রী-গ্যামেটের মিলনের ফলে 16 রকমের গিনিপিগ সৃষ্টি হবে ।

দ্বিতীয় অপত্য জনুর (F2) ফিনোটাইপগত অনুপাত:-

 দ্বিতীয় অপত্য জনুর (F2) ফিনোটাইপগত অনুপাত হল কালো অমসৃণ : কালো মসৃণ  : সাদা অমসৃণ : সাদা মসৃণ =  9 : 3 : 3 : 1

দ্বিতীয় অপত্য জনুর (F2) জিনোটাইপগত অনুপাত:-

দ্বিতীয় অপত্য জনুর (F2) জিনোটাইপগত অনুপাত হল BBRR : BBRr : BbRR : BbRr : BBrr : Bbrr : bbRR :bbRr : bbrr = 1 : 2 : 2 : 4 : 1 : 2 : 1 : 2 : 1

জনু সংখ্যা   ফিনোটাইপ  জিনোটাইপ

জিনোটাইপগত

অনুপাত

ফিনোটাইপগত

অনুপাত

F2 1. কালো, অমসৃণ

BBRR

BBRr

BbRR

BbRr

1

2

2

4

9
2. কালো, মসৃণ

BBrr

Bbrr

1

2

3
3. সাদা, অমসৃণ

bbRR

bbRr

1

2

3
4 সাদা, মসৃণ bbrr 1 1

*****

Related Items

ছত্রাক (Fungi)

ক্লোরোফিলবিহীন পরভোজী পুষ্টিসম্পন্ন ও ইউক্যারিওটিক প্রকৃতির সমাঙ্গদেহী উদ্ভিদদের ছত্রাক বলা হয় । ছত্রাকের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম । মানবজীবনে ছত্রাকের উপকারিতা ও অপকারিতা । পেনিসিলিয়াম, ঈস্ট প্রভৃতি উপকারী ছত্রাক । পেনিসিলিয়াম এক রকমের বহুকোশী মৃতজীবী ...

জীবাণু বা মাইক্রোবস (Microbes)

যে সমস্ত অতি ক্ষুদ্র এবং এককোশী বা বহুকোশী জীবদের খালি চোখে দেখা যায় না অথচ কেবলমাত্র অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখা যায়, তাদেরই সাধারণভাবে জীবাণু বলে । অতিক্ষুদ্র ও আণুবীক্ষণিক জীবদের এককথায় জীবাণু বা অণুজীব বা মাইক্রোবস বলা হয় ।

রোগসৃষ্টিকারী ভাইরাসের রোগ সংক্রমণ প্রক্রিয়া

ভাইরাস বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে, যেমন - ইনফ্লুয়েঞ্জা, AIDS, পোলিও, জল বসন্ত, মাম্পস, হাম, এনকেফালাইটিস, জলাতঙ্ক, পা ও মুখের ঘা, জন্ডিস, ডেঙ্গু জ্বর প্রভৃতি । ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস প্রধানত মানুষের শ্বসনতন্ত্রকে আক্রমণ করে, ফলে রোগীর হাঁচি, কাশি ও নির্গত মিউকাসের মাধ্যমে ...

ব্যাকটিরিয়া আক্রমণকারী ভাইরাস বা ব্যাকটিরিওফাজ

1917 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী দ্য হেরেলী ব্যাকটিরিয়া আক্রমণকারী ভাইরাসদের ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাস বা ব্যাকটিরিওফাজ বা ফাজ নামে অভিহিত করেন । এখন পর্যন্ত যেসব ব্যাকটিরিওফাজের অস্তিত্ব সম্পর্কে ভালো করে জানা গিয়েছে, তাদের মধ্যে 'T' শ্রেণির অন্তর্গত ব্যাকটিরিওফাজই প্রধান । ...

ভাইরাসে জড়ের ও প্রাণের লক্ষণ

ভাইরাসের দেহে সাইটোপ্লাজম থাকে না । ভাইরাস কোনো বহিঃস্থ উদ্দীপকে সাড়া দেয় না । ভাইরাসের চলন ক্ষমতা নেই । ভাইরাসের দেহে কোনোরকম বিপাক ক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় না । পোষকের দেহ-কোশে ভাইরাস বংশবিস্তারে সক্ষম । ভাইরাসের দেহে প্রোটিন ও নিউক্লিক অ্যাসিডের ...