সংবহন সম্পর্কিত কয়েকটি পার্থক্য
১৷ অলিন্দ ও নিলয় ( Atrium and Ventricle )
বৈশিষ্ট্য |
অলিন্দ |
নিলয় |
১৷ অবস্থান |
হৃৎপিণ্ডের উপরের প্রকোষ্ঠ। |
হৃৎপিণ্ডের নীচের প্রকোষ্ঠ। |
২৷ গঠন |
(a) অলিন্দের প্রবেশ পথে কোনো কপাটিকা থাকে না। (b) অলিন্দের সাথে মহাশিরা ও ফুসফুসীয় শিরা যুক্ত থাকে। (c) অলিন্দের প্রাচীর পাতলা। |
(a) নিলয়ের প্রবেশ পথে কপাটিকা থাকে। (b) নিলয়ের সাথে মহা ধমনী ও ফুসফুসীয় ধমনী যুক্ত থাকে। (c) নিলয়ের প্রাচীর পুরু। |
৩৷ কাজ |
সারা দেহ থেকে আগত রক্তকে গ্রহণ করে। |
সারা দেহে রক্ত প্রেরন করে। |
২৷ মুক্ত সংবহন ও বদ্ধ সংবহন ( Open Circulation and Close Circulation )
মুক্ত সংবহন |
বদ্ধ সংবহন |
১৷ এই রকম সংবহনে রক্ত দেহ গহ্বরে উন্মুক্ত হয়। |
১৷ এই রকম সংবহনে রক্ত কখন দেহ গহ্বরে উন্মুক্ত হয় না, সব সময় রক্তবাহে আবদ্ধ থাকে। |
২৷ এই রকম সংবহন কেবল অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের দেখা যায়। |
২৷ এই রকম সংবহন কয়েক ধরনের অমেরুদণ্ডী প্রাণীদেহে দেখা যায়। |
৩৷ এই রকম সংবহনে রক্ত কলা কোষের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসে। |
৩৷ এই রকম সংবহনে রক্ত প্রত্যক্ষ কলা কোষের সংস্পর্শে আসে না। |
৪৷ এই রকম সংবহন তন্ত্রে জালক থাকে না। কিন্তু হিমসিল বা সাইনাস থাকে। |
৪৷ এই রকম সংবহন তন্ত্রে জালক থাকে। কিন্তু হিমসিল বা সাইনাস থাকে না। |
৫৷ হৃৎপিণ্ড অনুন্নত ও সরল প্রকৃতির । |
৫৷ হৃৎপিণ্ড উন্নত ও জটিল প্রকৃতির।
|
৩৷ হিমোগ্লোবিন ও হিমোসায়ানিন (Himoglobin and Himosayanin)
বৈশিষ্ট্য |
হিমোগ্লোবিন |
হিমোসায়ানিন |
১৷ প্রকৃতি |
১৷ এটি লোহিত রঞ্জক পদার্থ। |
১৷ এটি তাম্র ঘটিত রঞ্জক পদার্থ। |
২৷ অবস্থান |
২৷ এটি অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের রক্তরসে ও মেরুদণ্ডী প্রাণীদের রক্ত কণিকায় অবস্থিত। |
২৷ এটি কবচী শ্রেণীর অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের রক্তরসে থাকে। |
৩৷ বর্ণ |
৩৷ হিমোগ্লোবিনের উপস্থিতিতে রক্ত লাল রঙ ধারন করে। |
৩৷ হিমোসায়ানিনের প্রভাবে রক্ত নীলাভ বর্ণ ধারন করে। |
৪৷ কেঁচোর রক্ত ও মানুষের রক্ত (Blood of Earthwarm and Blood of Human)
বৈশিষ্ট্য |
কেঁচোর রক্ত |
মানুষের রক্ত |
১৷ প্রকৃতি |
১৷ কেঁচোর রক্ত শীতল। |
১৷ মানুষের রক্ত উষ্ণ। |
২৷ হিমোগ্লোবিনের অবস্থান |
২৷ কেঁচোর রক্তে হিমোগ্লোবিন, রক্তরসে থাকে। |
২৷ মানুষের রক্তে হিমোগ্লোবিন, লোহিত কণিকায় থাকে। |
৩৷ লোহিত কণিকা |
৩৷ কেঁচোর রক্তে লোহিত কণিকা থাকে না। |
৩৷ মানুষের রক্তে লোহিত কণিকা থাকে। |
৫৷ লোহিত রক্ত কণিকা ও শ্বেত রক্ত কণিকা (Red Blood cell and White Blood cell)
বৈশিষ্ট্য |
লোহিত রক্ত কণিকা |
শ্বেত রক্ত কণিকা |
১৷ আকার |
১৷ এদের নির্দিষ্ট আকার আছে। |
১৷ এরা অনিয়তকার। |
২৷ নিউক্লিয়াস |
২৷ পরিণত লোহিত কণিকা নিউক্লিয়াস বিহীন। |
২৷ এরা নিউক্লিয়াস যুক্ত। |
৩৷ হিমোগ্লোবিন |
৩৷ এদের মধ্যে হিমোগ্লোবিন থাকে। |
৩৷ এদের মধ্যে হিমোগ্লোবিন থাকে না। |
৪৷ কাজ |
৪৷ এদের প্রধান কাজ শ্বাস বায়ু পরিবহণ করা। |
৪৷ এদের প্রধান কাজ জীবাণু ধ্বংস করা। |
৫৷ আয়ু |
৫৷ এদের আয়ু বেশি। |
৫৷ এদের আয়ু কম। |
৬৷ প্রকার |
৬৷ লোহিত কণিকা এক রকমের। |
৬৷ শ্বেত কণিকা বিভিন্ন রকমের। |
৬৷ প্লাজমা ও সিরাম (Plasma and Serum)
প্লাজমা |
সিরাম |
১৷ রক্তের স্বচ্ছ, তরল ও হরিদ্রাভ ধাত্র। |
১৷ তঞ্চিত রক্ত নিসৃত স্বচ্ছ তরল পদার্থ। |
২৷ প্লাজমায় রক্ত কণিকা থাকে। |
২৷ সিরামে রক্ত কণিকা থাকে না। |
৩৷ প্লাজমায় ফাইবিনোজেন থাকে। |
৩৷ সিরামে ফাইবিনোজেন থাকে না। |
৭৷ সার্বিক দাতা ও সার্বিক গ্রহীতা
সার্বিক দাতা |
সার্বিক গ্রহীতা |
১৷ সব বিভাগেই রক্ত দান করতে পারে। |
১৷ সব বিভাগের কাছ থেকে রক্ত গ্রহণ করতে পারে। |
২৷ ‘O’ বিভাগের রক্ত হল সার্বিক দাতা। |
২৷ ‘AB’ বিভাগের রক্ত হল সার্বিক গ্রহীতা। |
৩৷ এর মধ্যে অ্যাগ্লুটিনোজেন থাকে না। |
৩৷ এর মধ্যে ‘A’ এবং ‘B’ উভয় ধরনের অ্যাগ্লুটিনোজেন থাকে। |
৪৷ সার্বিক দাতার মধ্যে ও এই দুরকম অ্যাগ্লুটিনিন থাকে। |
৪৷ সার্বিক গ্রহীতার মধ্যে কোনো রকম অ্যাগ্লুটিনিন থাকে না। |
৮৷ ধমনী ও শিরা
ধমনী |
শিরা |
১৷ ধমনীর উৎসস্থল হৃৎপিণ্ড এবং মিলনস্থল জালক। |
১৷ শিরার উৎসস্থল জালক এবং মিলনস্থল হৃৎপিণ্ড। |
২৷ ধমনীর প্রাচীর পুরু ও গহ্বর ছোট। |
২৷ শিরার প্রাচীর পাতলা ও গহ্বর বড়। |
৩৷ ধমনীর মধ্যে কপাটিকা থাকে না। |
৩৷ শিরার মধ্যে কপাটিকা থাকে। |
৪৷ ধমনীর মাধ্যমে রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবাহিত হয়। |
৪৷ শিরার মাধ্যমে রক্ত দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে হৃৎপিণ্ডে পরিবাহিত হয়। |
৫৷ ধমনীর মাধ্যমে বিশুদ্ধ রক্ত বা অক্সিজিনেটেড ব্লাড পরিবাহিত হয় ( ব্যতিক্রম – ফুসফুসীয় ধমনী, যেখানে যুক্ত রক্ত পরিবাহিত হয় ) । |
৫৷ শিরার মাধ্যমে দূষিত রক্ত বা ডি অক্সিজিনেটেড ব্লাড পরিবাহিত হয়, ( ব্যতিক্রম ফুসফুসীয় শিরা, যেখানে যুক্ত রক্ত পরিবাহিত হয় ) । |
৬৷ ধমনীর মধ্যে দিয়ে রক্ত বেগে প্রবাহিত হয়। |
৬৷ শিরার মধ্যে দিয়ে রক্ত ধীরে প্রবাহিত হয়। |
৭৷ ধমনীর স্পন্দন আছে। |
৭৷ শিরার স্পন্দন নেই। |
৮৷ ধমনী কেটে গেলে ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরোয়। |
৮৷ শিরা কেটে গেলে গল গল করে রক্ত বেরোয়। |
৯৷ ফুসফুসীয় ধমনী ও ফুসফুসীয় শিরা
ফুসফুসীয় ধমনী |
ফুসফুসীয় শিরা |
১৷ হৃৎপিণ্ড থেকে উৎপন্ন হয়ে ফুসফুসে বিস্তৃত। |
১৷ ফুসফুস থেকে উৎপন্ন হয়ে হৃৎপিণ্ডে বিস্তৃত। |
২৷ এর মাধ্যমে হৃৎপিণ্ড থেকে রক্ত ফুসফুসে যায়। |
২৷ এর মাধ্যমে ফুসফুস থেকে রক্ত হৃৎপিণ্ডে যায়। |
৩৷ এর মাধ্যমে যুক্ত রক্ত প্রবাহিত হয়। |
৩৷ এর মাধ্যমে যুক্ত রক্ত প্রবাহিত হয়। |
৪৷ এর প্রাচীর পুরু ও গহ্বর ছোট। |
৪৷ এর প্রাচীর পাতলা ও গহ্বর বড়। |
১০৷ রক্ত ও লসিকা (Blood and Lympha)
রক্ত |
লসিকা |
১৷ রক্ত লাল রঙের হয়। |
১৷ লসিকা বর্ণহীন বা হালকা হলুদ। |
২৷ রক্ত রক্তবাহের মাধ্যমে সঞ্চালিত হয়। |
২৷ লসিকা লসিকাবাহের মাধ্যমে সঞ্চালিত হয়। |
৩৷ রক্তের মধ্যে লোহিত কণিকা ও অণুচক্রিকা থাকে। |
৩৷ লসিকার মধ্যে লোহিত কণিকা ও অণুচক্রিকা থাকে না। |
৪৷ রক্তে শ্বেত কণিকা থাকে পাঁচ রকমের। |
৪৷ লসিকায় শ্বেত কণিকা এক রকমের। |
৫৷ রক্তে ফ্রাইবিনোজেনের পরিমাণ লসিকার তুলনায় অনেক বেশি। |
৫৷ লসিকায় ফ্রাইবিনোজেনের পরিমাণ রক্তের তুলনায় অনেক কম। |
৬৷ রক্তের সঙ্গে কলা কোষের সরাসরি যোগাযোগ থাকে না। |
৬৷ লসিকার সঙ্গে কলা কোষের সরাসরি যোগাযোগ থাকে। |
৭৷ রক্ত প্রোটিনের পরিমাণ লসিকার তুলনায় অনেক বেশি। |
৭৷ লসিকার প্রোটিনের পরিমাণ রক্তের তুলনায় অনেক কম। |
*****
- 10984 views