রক্তের উপাদান

Submitted by arpita pramanik on Thu, 05/02/2013 - 17:06

রক্তের উপাদান ( Components of Blood )

 

রক্তের সাকার উপাদান গুলি (Brief description of formed elements of blood)

রক্তের সাকার উপাদান গুলি হল  ১৷ লোহিত রক্ত কণিকা ( R.B.C ) , ২৷ শ্বেত রক্ত কণিকা ( W.B.C ) , ৩৷ অণুচক্রিকা

সাকার উপাদান

পরিমাণ

উৎস

আয়ু  

গঠন

কাজ

লোহিত রক্ত কণিকা

( R.B.C )

প্রতি ঘন মিলি মিটার রক্তে 50 লক্ষ।

ভ্রূণ অবস্থায় যকৃৎ ও প্লীহা এবং জন্মের পর অস্থি মজ্জা।

120 দিন

১৷ গোলাকার দ্বি অবতল।

২৷ পূর্ণাঙ্গ R.B.C নিউক্লিয়াস বিহীন।

৩৷ ব্যাস 7.2-7.7 মাইক্রম।

১৷ [tex]{O_2}[/tex] ও [tex]C{O_2}[/tex]

পরিবহণ ।

২৷ অম্ল ও ক্ষারের সমতা রক্ষা ।

৩৷ পিত্ত, মল ও মুত্রের বর্ণ গঠন।

শ্বেত রক্ত কণিকা

( W.B.C )

প্রতি ঘন মিলিমিটার রক্তে 6000-8000 ।

অস্থিমজ্জা, প্লীহা এবং লসিকা পিণ্ড।

1-15 দিন

১৷ নির্দিষ্ট কোনো আকার নেই।

২৷ নিউক্লিয়াস যুক্ত।

৩৷ ব্যাস 8-18 মাইক্রম।

১৷ জীবাণু ধ্বংস করা।

২৷ রোগ প্রতিরোধ করা।

৩৷ হেপারিন ক্ষরণ করা।

অণুচক্রিকা

প্রতি ঘন মিলিমিটার রক্তে 250000-500000 ।

অস্থিমজ্জার মেগাক্যাকীওসাইট

কোষের ক্ষণপদ

3 দিন

১৷ ডিম্বাকার এবং বেম আকৃতি বিশিষ্ট।

২৷ নিউক্লিয়াস বিহীন।

৩৷ ব্যাস 2.5 মাইক্রম।

১৷ রক্ত তঞ্চনে সাহায্য করে।

২৷ রক্ত জালিকার ক্ষতি গ্রস্থ অন্তঃ আবরণীর গায়ে এঁটে গিয়ে গিয়ে মেরামতি করে।

 

শ্বেত রক্ত কণিকার গঠন, বৈশিষ্ট ও কাজ

শ্বেত কণিকার নাম

গঠন – বৈশিষ্ট

কাজ

চিত্র

নিউট্রোফিল ( Neutrophil )

১৷ ব্যাস 10-12 মাইক্রম।

২৷ সাইটোপ্লাজম দানা যুক্ত।

৩৷ নিউক্লিয়াস 2-7 টি খণ্ডে বিশিষ্ট।

ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে রোগ জীবাণু ধ্বংস করে।

ইওসিনোফিল ( Eosinophil )

১৷ ব্যাস 10-12 মাইক্রম।

২৷ সাইটোপ্লাজম দানা যুক্ত।

৩৷ নিউক্লিয়াস 2-3 টি খণ্ড বিশিষ্ট।

এলার্জি প্রতিরোধ করা।

বেসোফিল ( Basophil )

১৷ ব্যাস 8-10 মাইক্রম।

২৷ সাইটোপ্লাজম দানা যুক্ত।

৩৷ নিউক্লিয়াস বৃক্কার।

হেপারিন নিঃসরণ করা।

মনোসাইট ( Monocyte )

১৷ ব্যাস 16-18 মাইক্রম।

২৷ সাইটোপ্লাজম দানা বিহীন।

৩৷ নিউক্লিয়াস গোলাকার।

ফ্যাগসাইটোসিস পদ্ধতিতে রোগ জীবাণু ধ্বংস করা।

লিম্ফোসাইট ( Lymphocyte )

১৷ব্যাস 7.5-12 মাইক্রম।

২৷ সাইটোপ্লাজম দানা বিহীন।

৩৷ নিউক্লিয়াস গোলাকার বা বৃক্কাকার।

অ্যান্টিবডি সৃষ্টি করা।

*****

Related Items

উদ্ভিদ পুষ্টি (Plant Nutrition)

স্বভোজী পুষ্টি- পরভোজী পুষ্টি, পরভোজী, বিভিন্ন প্রকার পরভোজী উদ্ভিদ, মৃতজীবী, পরজীবী, পূর্ণ পরজীবী, আংশিক পরজীবী, মিথোজীবী, ব্যতিহারী , সহভোক্তা , পতঙ্গভুক । যে পুষ্টি প্রক্রিয়ায় দুটি ভিন্ন ধরনের জীব পরস্পরের উপর নির্ভরশীল হয়ে বসবাস করে, তাকে মিথোজীবীয় পুষ্টি বলে।

জীবদেহে জলের প্রয়োজনীয়তা

জীবদেহে জলের প্রয়োজনীয়তা, উদ্ভিদ দেহে জলের প্রয়োজনীয়তা, প্রাণীদেহে জলের প্রয়োজনীয়তা, জীবন ধারনের জন্য জল একান্ত প্রয়োজন। জীবদেহের ওজনের 60%-90% জলের প্রয়োজন। জল খাদ্য নয় কেন? জলের কোন তাপন মূল্য নেই বলে জলকে খাদ্য বলা হয় না।

ভিটামিনের কাজ ও গুরুত্ব

যে বিশেষ জৈব পরিপোষক সাধারণ খাদ্য অতি অল্প পরিমানে থেকে দেহের স্বাভাবিক পুষ্টি ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধে শক্তি বৃদ্ধি করে, তাকে ভিটামিন বলে। ভিটামিনের বৈশিষ্ট্য, ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা, নিম্নলিখিত রোগ গুলি কোন ভিটামিনের অভাবে হয়।...

ফ্যাটের কাজ ও গুরুত্ব

যে জৈব যৌগ কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের সমন্বয়ে গঠিত এবং যার মধ্যে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন 2:1 অনুপাতে থাকে না, তাদের ফ্যাট জাতীয় খাদ্য বলে। ফ্যাটের বৈশিষ্ট্য, ফ্যাটের উৎস, ফ্যাটের গুরুত্ব, অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড, লিনোলেনিক অ্যাসিড, লিনোলেয়িক অ্যাসিড।...

প্রোটিনের কাজ ও গুরুত্ব

প্রোটিন, প্রোটিনের উৎস, প্রোটিনের কাজ ও গুরুত্ব, প্রোটিনের শ্রেণীবিভাগ, অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিড, প্রোটিনের অভাবজনিত রোগ, প্রোটিনের উৎস- বিভিন্ন ধরনের ডাল, সয়াবিন, বীন, গম ইত্যাদি মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের সাদা অংশ, ছানা ইত্যাদি ...