ভারতের প্রধান ঋতু — শীতকাল

Submitted by avimanyu pramanik on Sat, 11/15/2014 - 10:54

শীতকাল (Winter) :

(১) শীত ঋতুটি ভারতে ডিসেম্বর মাসে শুরু হয়ে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয় ।

(২) এই সময় সমুদ্রের সমভাবাপন্ন প্রভাব থেকে বহুদূরে অবস্থিত উত্তর ভারতের সমভূমি অঞ্চলের পাঞ্জাব, রাজস্থান ও হিমালয় সন্নিহিত স্থানে তাপমাত্রা সবচেয়ে কম থাকায় সেখানকার বায়ুমণ্ডলে উচ্চচাপের সৃষ্টি হয় । অন্যদিকে, সমুদ্রের সমভাবাপন্ন জলবায়ুর প্রভাবে এবং নিরক্ষরেখার নিকটবর্তী হওয়ায় এই সময় দাক্ষিণাত্যের মালভূমি অঞ্চলে কিছুটা বেশি উষ্ণতা পরিলক্ষিত হয় ।

(৩) দক্ষিণ ভারতে তামিলনাড়ুতে শীতকালে তাপমাত্রা যখন ২৫° থেকে ২৬° সেলসিয়াস থাকে, তখন ওই একই সময়ে উত্তর ভারতের পাঞ্জাবের তাপমাত্রা থাকে ১৩° থেকে ১৮° সেলসিয়াস । সর্বনিম্ন তাপমাত্রা অনুভূত হয় উত্তর পশ্চিম ভারতে প্রায় ৫° সেলসিয়াস । অথচ এই সময় দাক্ষিণাত্যের উপদ্বীপ অঞ্চলের তাপমাত্রা ২৪° সেলসিয়াসের নিচে নামে না । শীতকালে উত্তর ভারতের পার্বত্য অঞ্চলের উত্তরপ্রদেশ (গোমুখ ও কেদার-বদ্রী), জম্মু-কাশ্মীর ও হিমাচল প্রদেশের (মানালী, লাহুল ও স্পিতি অঞ্চল) বিভিন্ন অঞ্চলের তাপমাত্রা প্রায় -১° সেলসিয়াস থেকে -৪০° সেলসিয়াস পর্যন্ত হিমাঙ্কের নিচে নেমে যায় ।

(৪) শীতকালে ভূমধ্যসাগরীয় পশ্চিমাবায়ু পশ্চিম দিক থেকে কাশ্মীরে ও পাঞ্জাবে প্রবেশ করে । ফলে এই অঞ্চলে কিছু বৃষ্টিপাত ও তুষারপাত হয়, একে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা বলে । এই বৃষ্টিপাতের ফলে বিশেষত পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় গম চাষের সুবিধা হয় । শীতকালে মাঝে মাঝে শৈত্যপ্রবাহ দেখা যায়, এতে তাপমাত্রা খুব কমে যায় । ভোরের দিকে এই কুয়াশা পড়ে । 

*****

Related Items

নর্মদা নদী (The Narmada)

নর্মদা নদী (The Narmada) : মহাকাল পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ অমরকন্টক থেকে উৎপন্ন হয়ে নর্মদা নদী উত্তর-পশ্চিমে বেঁকে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র হয়ে গুজরাটের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিন্ধ্য ও সাতপুরার সংকীর্ণ গিরিখাত অতিক্রম করে

ব্রহ্মপুত্র নদ (The Brahmaputra)

ব্রহ্মপুত্র নদ : তিব্বতের মানস সরোবরের নিকটবর্তী চেমায়ুং-দুং হিমবাহ থেকে সাংপো নামে উৎপন্ন হয়ে নামচাবারওয়া শৃঙ্গের কাছে চুলের কাটার মত বেঁকে অরুণাচল প্রদেশের মধ্য দিয়ে ডিহং নামে ভারতে প্রবেশ করেছে । এর মোট দৈর্ঘ্য ২,৯০০ কিমি, এর মধ্

সিন্ধু নদ (The Indus)

সিন্ধু নদ : সিন্ধু নদ তিব্বতের মানস সরোবরের উত্তরে অবস্থিত সিন-কা-বাব জলধারা থেকে উৎপন্ন হয়ে উত্তর-পশ্চিমে প্রথমে তিব্বতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পরে লাদাখ অঞ্চল দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে । সিন্ধু নদের মোট দৈর্ঘ্য ৩,১৮০ কিমি এবং এর মধ

গঙ্গা নদী (The Ganges)

গঙ্গা নদী : গঙ্গা ভারতের শ্রেষ্ঠ নদী এবং ভারতের দীর্ঘতম নদী । গঙ্গানদীর মোট দৈর্ঘ্য ২৫১০ কিমি এবং এর মধ্যে ২০১৭ কিমি ভারতে প্রবাহিত । কুমায়ুন হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ তুষার গুহা থেকে ভাগীরথী নামে উৎপন্ন হয়ে সংকীর্ণ গিরিখাতের

ভারতের নদনদী (Rivers of India)

ভারতের নদনদী : ভারতে অসংখ্য নদনদী বিভিন্ন দিকে প্রবাহিত হয়েছে । উৎস, প্রবাহের অঞ্চল, এবং মোহানা অনুসারে ভারতের নদনদীকে প্রধানত দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় । যেমন— (১) উত্তর ভারতের নদী এবং (২) দক্ষিণ ভারতের নদী ।