এশিয়ার পশ্চিম বাহিনী নদীগুলি

Submitted by avimanyu pramanik on Tue, 12/16/2014 - 13:05

এশিয়ার পশ্চিম বাহিনী নদীগুলির গতিপথ : ভারতের নর্মদা ও তাপ্তি হল এশিয়ার অন্যতম পশ্চিমবাহিনী নদী ।

(১) নর্মদা নদী : নর্মদা নদী মহাকাল পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ অমরকণ্টক (১,০৫৭ মিটার) থেকে উৎপন্ন হয়ে মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গিয়ে বিন্ধ্য ও সাতপুরা পর্বতের সংকীর্ণ গিরিখাত অতিক্রম করে গুজরাটের ব্রোচের কাছে খাম্বাত উপসাগরে পড়েছে । নর্মদা নদীর দৈর্ঘ্য ১,৩১০ কিলোমিটার ।

(২) তাপ্তি নদী : তাপ্তি নদী ভারতের মহাদেব পর্বতের মুলতাই -এর কাছে প্রায় ৭৭০ মিটার উচ্চতা থেকে উৎপন্ন হয়ে সাতপুরা ও অজন্তার মধ্যবর্তী সংকীর্ণ উপত্যকা পার হয়ে সুরাটের কাছে খাম্বাত উপসাগরে পড়েছে । তাপ্তির প্রধান উপনদী পূর্ণা । তাপ্তি নদীর দৈর্ঘ্য ৭২৪ কিমি ।

*****

Related Items

পেডিমেন্ট (Pediment)

পেডিমেন্ট (Pediment) : বায়ুপ্রবাহ ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে মরুভূমি অঞ্চলে পর্বতের পাদদেশে নানা রকম ভূমিরূপ গঠিত হয়, পেডিমেন্ট হল এরূপ একটি ভূমিরূপ । পেডিমেন্ট কথার অর্থ পর্বতের পাদদেশীয় ভূভাগ । মরু অঞ্চলে পর্বতের পাদদেশে মরু-সমপ্রায়

ওয়াদি (Wadi)

ওয়াদি (Wadi) : বায়ুপ্রবাহ ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে মরুভূমি অঞ্চলে নানা রকম ভূমিরূপ গঠিত হয়, ওয়াদি হল এরূপ একটি ভূমিরূপ । মরুভূমি অঞ্চলে মাঝে মাঝে হঠাৎ করে অল্প সময়ের মধ্যে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে । এরকম বৃষ্টিপাতে এখানে বন্যার সৃষ্টি হয় । বন্যা

বায়ুপ্রবাহ ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ

বায়ুপ্রবাহ ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ (Landform formed by combined action of wind and running water) : মরু ও মরুপ্রায় অঞ্চলে বায়ু ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে নানা ধরনের ভূমিরূপের সৃষ্টি হয় । যেমন—

লোয়েস সমভূমি (Loess Plain)

লোয়েস সমভূমি (Loess Plain) : বায়ুপ্রবাহের বহন ও সঞ্চয়কাজের ফলে যে সমস্ত ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, লোয়েস সমভূমি হল তার মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ । জার্মান শব্দ লোয়েস কথার অর্থ 'সূক্ষ্ম পলি' । মরু অঞ্চলে বায়ুতাড়িত হালকা হলুদ রঙের অতি সূক্ষ্ম

বালিয়াড়ি (Sand Dunes)

বালিয়াড়ি (Sand Dunes) : বায়ুপ্রবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে নানা রকম ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, বালিয়াড়ি হল তার মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ । মরু অঞ্চলে বালির পাহাড়গুলিকে বালিয়াড়ি বলে । বায়ুপ্রবাহের ক্ষয়কার্যে