রবীন্দ্র উপন্যাস : দুই বোন
Related Items
দুই বোন --- পৃষ্ঠা-৩২
দুই বোন
“শর্মি, ভেবো না আমি কাপুরুষ। দায়িত্ব ফেলে পালাব আমি, এত অধঃপতন কল্পনা করতেও পার?”
শর্মিলা কাছে গিয়ে ওর হাত ধরে বললে, “কী হয়েছে আমাকে বুঝিয়ে বলো।”
শশাঙ্ক বললে, “আবার ঋণ করেছি তোমার কাছে, সে কথা ঢাকা দিয়ো না।”
শর্মিলা বললে, “আচ্ছা, বেশ।”
দুই বোন --- পৃষ্ঠা-৩১
দুই বোন
করে আমাকে লুকিয়ে পাথুরে কয়লার হাটে তেজিমন্দি খেলা শুরু করলে। চড়ার বাজারে যা কিনেছে সস্তার বাজারে তাই বেচে দিতে হল। হঠাৎ আজ দেখলে হাউইয়ের মতো ওর সব গেছে উড়ে পুড়ে, বাকি রইল ছাই। এখন ভগবানের কৃপায় নেপালে কাজ পেলে তোমাদের ভাবতে হবে না।”
দুই বোন --- পৃষ্ঠা-৩০
দুই বোন
নার্স বাইরে থেকে বললে, “ডাক্তারবাবু এসেছেন।”
শর্মিলা বললে, “ডেকে দাও।”
কথাটা বন্ধ হয়ে গেল।
দুই বোন --- পৃষ্ঠা-২৯
দুই বোন
এ কথা দিদি বার বার করে ঊর্মিকে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে যে, তার অবর্তমানে সব চেয়ে যেটা সান্ত্বনার বিষয় সে ঊর্মিকে নিয়েই। এ সংসারে অন্য কোনো মেয়ের আবির্ভাব কল্পনা করতেও দিদিকে বাজত, অথচ শশাঙ্ককে যত্ন করবার জন্যে কোনো মেয়েই থাকবে না এমন লক্ষ্মীছাড়া অবস্থাও দিদি মনে মনে সইতে পারত না। ব্যাবসার
দুই বোন --- পৃষ্ঠা-২৮
চতুর্থ পরিচ্ছেদ : শশাঙ্ক
দুই বোন | ২৮