ভারতীয় উপমহাদেশের প্রধান প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য

Submitted by avimanyu pramanik on Tue, 04/17/2012 - 14:28

ভারতীয় উপমহাদেশের প্রধান প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য (Geographical features of India)

সাধারণভাবে হিমালয় থেকে দক্ষিণে বিন্ধ্য পর্বত পর্যন্ত অংশকে আর্যাবর্ত বা উত্তরাপথ ও বিন্ধ্য পর্বত থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত অংশকে দাক্ষিণাত্য বা দক্ষিণাপথ বলা হয় ।

ভু-প্রকৃতির বৈশিষ্ট অনুসারে দেশকে পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে ।

(ক) উত্তরে হিমালয় ও তৎসংলগ্ন পার্বত্য অঞ্চল : হিমালয় পর্বত উত্তর ভারত থেকে তিব্বত ও চিনকে বিছিন্ন করেছে । কাশ্মীর, সিকিম ও ভুটান এই অঞ্চলের মধ্যে পড়ে । পুরাণে এই অঞ্চলকে পর্বতাশ্রয়ীণ বলে উল্লেখ আছে ।

(খ) সিন্ধু-গঙ্গা-ব্রম্মপুত্র বিধৌত সমভূমি অঞ্চল : হিমালয় থেকে উৎপন্ন সিন্ধুনদ, গঙ্গানদী ও ব্রহ্মপুত্র এই তিনটি নদীর অববাহিকার বিস্তীর্ণ সমভূমি অঞ্চল ভারতের সর্বাপেক্ষা সমৃদ্ধশালী উর্বর অঞ্চল । সিন্ধু ও গঙ্গার অববাহিকায় প্রাচীন ভারতের সভ্যতার প্রথম বিকাশ ঘটেছিল । সিন্ধু অববাহিকার সমভূমি অঞ্চলের একটা অংশ বর্তমানে পাকিস্থানের অন্তর্গত ।

(গ) মধ্য ভারতের মালভূমি : সিন্ধু-গঙ্গা সমভূমি অঞ্চলের দক্ষিণ থেকে বিন্ধ্য ও সাতপুরা পর্বতের উত্তরের মধ্যবর্তী অংশ এই অঞ্চলের অন্তর্গত ।

(ঘ) দক্ষিণাত্যের মালভূমি : বিন্ধ্য পর্বতের দক্ষিণ থেকে কৃষ্ণা, তুঙ্গভদ্রা নদী পর্যন্ত এই মালভূমি বিস্তৃত । কৃষ্ণা, কাবেরী, গোদাবরী, তুঙ্গভদ্রা প্রভৃতি নদী এই অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত । এই মালভূমির পূর্ব দিকে পূর্বঘাট ও পশ্চিম দিকে পশ্চিমঘাট পর্বতমালা বিরাজমান ।

(ঙ) সুদুর দক্ষিণ : কৃষ্ণা, তুঙ্গভদ্রা থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত অঞ্চলকে সুদুর দক্ষিণ বলা হয় । এই অঞ্চল হল দ্রাবিড় সভ্যতার লীলাভূমি ।

*****

Related Items

মিরজাফর (Mir Jafar)

চক্রান্ত, শঠতা ও বিশ্বাসঘাতকতার পথ ধরে বাংলার মসনদ দখল করলেও মিরজাফর গোড়া থেকেই তাঁর অসহায় এবং অক্ষম অবস্থার কথা বুঝতে পেরেছিলেন । আভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সমস্যার চাপে তিনি ইংরেজদের উপর নির্ভরশীল ছিলেন । তাঁর বিরুদ্ধে যে সব বিদ্রোহ হয়েছিল ...

নবাব সিরাজের সাফল্য ও ব্যর্থতা এবং পলাশির যুদ্ধের গুরুত্ব

প্রথমদিকে সিরাজ-উদ-দৌলার সাফল্য ছিল আশাতিত । তিনি বিনা রক্তপাতে মাসি ঘসেটি বেগমকে মুর্শিদাবাদ প্রাসাদে নজরবন্দি করেন । অপর প্রতিদ্বন্দ্বী আলিবর্দি খানের দ্বিতীয় কন্যার পুত্র পূর্ণিয়ার নবাব সৌকত জঙ্গকে মনিহারির যুদ্ধে পরাজিত করে সিংহাসন নিষ্কণ্টক করেন । তার আগেই তিনি ...

সিরাজ-উদ-দৌলা ও পলাশির যুদ্ধ

পলাশির যুদ্ধের দুটি দিক ছিল । (১) ইংরেজদের সঙ্গে সিরাজের বিরোধ ও (২) বাংলার মসনদ দখলে মিরজাফরের উচ্চাকাঙ্খা । সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের সংঘর্ষের জন্য ইংরেজ ঐতিহাসিকরা সিরাজকেই দায়ী করেছেন । তাঁদের মতে, সিরাজের অহমিকা ও দম্ভ, অপরিমিত ...

বাংলার রাজনৈতিক পট পরিবর্তন

বাংলার রাজনৈতিক পট পরিবর্তন :- কর্ণাটকে যখন ইঙ্গ-ফরাসি দ্বন্দ্ব চলছিল, মোটামুটি প্রায় সেই সময় বাংলায় রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হচ্ছিল । ১৭৫৭ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ১৭৬৫ খ্রীষ্টব্দের মধ্যে বাংলার কর্তৃত্ব স্বাধীন নবাবদের হাত থেকে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে চলে যায় ...

তৃতীয় কর্ণাটকের যুদ্ধ

সপ্তবর্ষব্যাপী যুদ্ধের সঙ্গে সঙ্গে ভারতেও ইঙ্গ-ফরাসি প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয় । কিন্তু ডুপ্লের মতো কোন যোগ্য নেতার অনুপস্থিতিতে ফরাসিরা যথেষ্ট দুর্বল হয়ে পড়েছিল । এই সময়ে কর্ণাটকে যুদ্ধের দায়িত্বে ছিলেন লালি । কিন্তু সহকর্মীদের সঙ্গে তাঁর ব্যবহার ভালো ছিল না । ফলে ফরাসিদের মধ্যে ...