প্রশ্ন:- মরুভূমি অঞ্চলে যান্ত্রিক আবহবিকার সর্বাধিক হয় কেন ?
তাপের দ্রুত পরিবর্তন এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে শিলাস্তর ফেটে ছোটো ছোটো খন্ড বা চূর্ণে পরিণত হয়ে যখন মূল শিলার ওপরে অবস্থান করে এবং তার মধ্যে যখন কোনো রকম রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে না, তখন তাকে যান্ত্রিক আবহবিকার বলে । আর্দ্রতার অভাবে মরু অঞ্চলে রাসায়নিক আবহবিকার ঘটে না । মরুভূমি অঞ্চলে যান্ত্রিক আবহবিকার সর্বাধিক হয়, কারণ:-
(১) শিলা তাপের সুপরিবাহী না হওয়ায় উষ্ণ অঞ্চলে উষ্ণতার তারতম্যের ফলে শিলাস্তরের ক্রমাগত প্রসারণ ও সংকোচন ঘটে । দীর্ঘদিন ধরে প্রসারণ ও সংকোচনের ফলে শিলাস্তর ফেটে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে ছোটো ছোটো অংশে বিভক্ত হয় এবং কালক্রমে পরস্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মূল শিলা স্তরের ওপরে অবস্থান করে, একে খন্ডবিখন্ডিকরণ বলে ।
(২) অনেক সময় প্রখর সূর্যকিরণে উত্তপ্ত শিলা নীচের স্তরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পেঁয়াজের খোসার মতো হয়ে যায়, একে শল্কমোচন বা গোলাকৃতি বিচূর্ণীভবন বলে ।
(৩) মরুভূমি অঞ্চলে সূর্যের প্রচন্ড তাপে মোটা দানাযুক্ত শিলা ভীষণ ভাবে শব্দ করে ফেটে যায়, একে ক্ষুদ্রকণা বিশরণ বলে । এ সবই যান্ত্রিক আবহবিকারের উদাহরণ । মরুভূমি অঞ্চলে দিনরাত্রি এবং শীত ও গ্রীষ্মকালে উষ্ণতায় পার্থক্য অন্যান্য জলবায়ু অঞ্চলের তুলনায় অনেক বেশি হয় বলে মরুভূমি অঞ্চলে যান্ত্রিক আবহবিকারের হার সর্বাধিক ।
*****