বিষমমন্ডল বা হেটেরোস্ফিয়ার (Heterosphere) : সমমণ্ডলের ওপরে ৮০ কিমি. থেকে ১০,০০০ কিমি. উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুস্তরে বায়ুমণ্ডলের গ্যাসীয় উপাদানগুলির অনুপাত সমান থাকে না, এজন্য এই স্তরটিকে বিষমমণ্ডল বা হেটেরোস্ফিয়ার বলে । এই স্তরে গ্যাসীয় পদার্থগুলি তাদের ভর অনুসারে বিভিন্ন উচ্চতায় অবস্থান করে । বিষমমণ্ডল আবার চারটি উপস্তরে বিভক্ত । যথা— (i) আণবিক নাইট্রোজেন স্তর, (ii) পারমাণবিক অক্সিজেন স্তর, (iii) হিলিয়াম স্তর, (iv) হাইড্রোজেন স্তর ।
(i) আণবিক নাইট্রোজেন স্তর (Molecular Nitrogen Layer) : ৮০ - ২০০ কিমি. উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমণ্ডলের এই স্তরটি প্রধানত নাইট্রোজেন গ্যাস দ্বারা গঠিত বলে এই স্তরটিকে আণবিক নাইট্রোজেন স্তর বলা হয় ।
(ii) পারমাণবিক অক্সিজেন স্তর (Atomic Oxygen Layer) : ২০০ - ১,১০০ কিমি. পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমণ্ডলের এই স্তরটি প্রধানত অক্সিজেন গ্যাস দিয়ে গঠিত বলে এই স্তরটিকে পারমাণবিক অক্সিজেন স্তর বলা হয় ।
(iii) হিলিয়াম স্তর (Helium Layer) : ১,১০০ - ৩,৫০০ কিমি. পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমণ্ডলের স্তরটিতে হিলিয়াম গ্যাসের আধিক্য থাকার জন্য এই স্তরটিকে হিলিয়াম স্তর বলা হয় ।
(iv) হাইড্রোজেন স্তর (Hydrogen Layer) : ৩,৫০০ কিমি. থেকে বায়ুমণ্ডলের উর্ধ্বসীমা অর্থাৎ ১০,০০০ কিমি. উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত স্তরে পারমাণবিক হাইড্রোজেন গ্যাস বিস্তৃত রয়েছে, এজন্য এই স্তরকে হাইড্রোজেন স্তর বলা হয় ।
****