করি (Corrie) বা সার্ক (Cirque) : হিমবাহের ক্ষয়কাজের ফলে যে সমস্ত রকম ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, করি (Corrie) বা সার্ক (Cirque) হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ । হিমবাহের উৎসমুখী ক্ষয়কার্যের কারণে উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে করি সৃষ্টি হয় । হিমবাহ যখন উঁচু পার্বত্য অঞ্চল থেকে নীচের দিকে নামে তখন হিমবাহের অত্যাধিক চাপ ও ঘর্ষণের ফলে একই সঙ্গে অবঘর্ষ ও উৎপাটন প্রক্রিয়ার দরুন উপত্যকার উপরের অংশ খুব খাড়াই হয় এবং মধ্য অংশে অনেকটা অর্ধবৃত্তাকার গর্তের মতো অবনত জায়গার সৃষ্টি হয় । এইভাবে পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে পর্বতগাত্রে অনেকটা হাতলযুক্ত ডেকচেয়ার বা চামচের গর্ত -এর মতো ভূমিরূপের সৃষ্টি হয় । এই রকম আকৃতিবিশিষ্ট উপত্যকাকে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের স্থানীয় ভাষায় করি (Corrie), ফ্রান্সে সার্ক (Cirque) এবং ওয়েলসে কুম (Cumbe, Cwm) বলে । উপত্যকা হিমবাহের উৎসক্ষেত্রে ক্ষয়কাজের ফলে সার্কের সৃষ্টি হয় । করি বা সার্কের আকৃতি পিছনের দিকে খাড়া দেওয়াল, মধ্যভাগে সরার মতো খাত এবং প্রান্তভাগ ঢিবি -এর মতো উঁচু হয়ে থাকে । পার্বত্য উপত্যকাটি যতদিন পর্যন্ত হিমবাহে চাপা থাকে ততদিন সার্ক দেখা যায় না, হিমবাহ সরে গিয়ে উপত্যকাটি বরফযুক্ত হলে তবেই সার্ক দেখা যায় ।
আন্টার্কটিকায় ওয়ালকট হল পৃথিবীর গভীরতম করি বা সার্ক ।