বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - বহির্জাত প্রক্রিয়া (Exogenetic forces) - [part-II]
১. বৃষ্টিযুক্ত আর্দ্র অঞ্চলে যে প্রাকৃতিক শক্তি ভূমিরূপ পরিবর্তনে মুখ্য ভূমিকা নেয়, তা হল—
(ক) হিমবাহ (খ) বায়ু (গ) নদী (ঘ) সূর্যতাপ ।
২. পললশঙ্কু গঠিত হয় নদীর—
(ক) পার্বত্যপ্রবাহে (খ) বদ্বীপপ্রবাহে (গ) উচ্চ ও মধ্য প্রবাহের সংযোগস্থলে (ঘ) মধ্য ও নিম্ন প্রবাহের সংযোগস্থলে ।
৩. পার্বত্যপ্রবাহে নদীর দু'পাশে যেসব সমান বা অসমান ধাপের মত অল্প বিস্তৃত ভূভাগের সৃষ্টি হয়, তাকে বলে—
(ক) নদীমঞ্চ (খ) স্বাভাবিক বাঁধ (গ) খরস্রোত (ঘ) কর্তিত স্পার ।
৪. অতিগভীর 'V' -আকৃতির উপত্যকাকে বলে—
(ক) গিরিখাত (খ) ক্যানিয়ন (গ) কর্তিত স্পার (ঘ) প্লাঞ্জপুল ।
৫. জলপ্রপাতের পাদদেশে তৈরি হয়—
(ক) মন্থকূপ (খ) ফিয়র্ড (গ) প্রপাতকূপ (ঘ) পলল ব্যজনী ।
৬. গ্রাবরেখা পুঁতির মালার মতো গঠিত হলে তাকে বলে—
(ক) পার্শ্ব গ্রাবরেখা (খ) বিডেড গ্রাবরেখা (গ) অগ্রবর্তী গ্রাবরেখা (ঘ) তলদেশীয় গ্রাবরেখা
৭. হিমাবাহের মাধ্যমে পর্বতগাত্র থেকে শিলাখণ্ড উঠে আসা হল —
(ক) উৎপাটন (খ) অবঘর্ষ (গ) ঘর্ষণ (ঘ) দ্রবণ
৮. ঝুলন্ত উপত্যকা সৃষ্টি হয়—
(ক) পার্বত্য হিমবাহ দ্বারা (খ) মহাদেশীয় হিমবাহ দ্বারা (গ) পাদদেশীয় হিমবাহ দ্বারা (ঘ) কোনোটিই নয়
৯. বহিঃবিধৌত সমভূমিকে স্যান্দুর বলে—
(ক) নরওয়েতে (খ) কানাডায় (গ) ফিনল্যান্ডে (ঘ) আইসল্যান্ডে
১০. হিমবাহের সম্মুখভাগে সঞ্চিত গ্রাবরেখাকে বলা হয়—
(ক) ভূমিগ্রাবরেখা (খ) প্রান্ত গ্রাবরেখা (গ) পার্শ্ব গ্রাবরেখা (ঘ) হিমতল গ্রাবরেখা
১১. মোরগের ঝুঁটির মতো দেখতে ভূমিরূপটি হল—
(ক) গৌর (খ) জিউগেন (গ) ইয়ার্দাঙ (ঘ) ইনসেলবার্জ
১২. লোয়েস কথাটির অর্থ হল—
(ক) স্থানচ্যুত বস্তু (খ) স্থানযুক্ত বস্তু (গ) বালিয়াড়ি (ঘ) বিস্তীর্ণ অঞ্চল
১৩. লোয়েস সমভূমিকে উত্তর আমেরিকায় বলা হয়—
(ক) সেডান (খ) অ্যাডোব (গ) লিথন (ঘ) মেসা
১৪. 'গ্রেট গ্রিন ওয়াল'— একটি অরণ্য প্রাচীর যা নির্মাণ করা হয়েছে একটি মরুভূমির প্রসার রোধ করার জন্য । কোন মরুভূমি ?
(ক) সোনোরান (খ) আটাকামা (গ) প্যাটাগোনিয়া (ঘ) সাহারা
১৫. মরুভূ অঞ্চলে ক্ষয়ের নিম্নসীমা হল —
(ক) বার্খান (খ) প্লায়া (গ) লোয়েস (ঘ) ইনসেলবার্জ ।
১৬. গ্রাবরেখায় তৈরি আঁকাবাঁকা সংকীর্ণ উচ্চভূমিকে বলে—
(ক) টিল (খ) এসকার (গ) ড্রামলিন (ঘ) বোল্ডার
১৭. হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত হয়—
(ক) রসে মতানে (ক) এসকার (গ) হিমদ্রোণী (ঘ) ফিয়র্ড
১৮. পৃথিবীর বৃহত্তম সুপেয় জলের ভাণ্ডার হল—
(ক) নদী (খ) সমুদ্র (গ) হিমবাহ (ঘ) হ্রদ
১৯. প্রবল চাপে নীচে হিমবাহ ও ভূমির সীমানা বরাবর গলনাঙ্ক নেমে গিয়ে বরফ জলে পরিণত হয়, তাকে বলে—
(ক) বার্গস্রুন্ড (খ) রেগেলেশন (গ) নেভে (ঘ) ক্রেভাস
২০. এডিনবার্গ -এর Castle Rock যে ভূমিরূপের উদাহরণ —
(ক) ইনসেলবার্জ (খ) ক্র্যাগ (গ) মোনাডনক (ঘ) নুনাটাকস
২১. শীতকালে হিমরেখার উচ্চতা—
(ক) কমে যায় (খ) বেড়ে যায় (গ) একই থাকে (ঘ) কোনোটিই নয় ।
২২. হিমবাহ দ্বারা আবৃত পৃথিবীপৃষ্ঠের অংশ হল—
(ক) ১০% (খ) ২০% (গ) ১৫% (ঘ) ৫%
২৩. সমুদ্রে ভাসমান বিশাল হিমবাহকে বলে—
(ক) হিমস্তুপ (খ) হিমশৈল (গ) হিমপ্রাচীর (ঘ) হিমপর্বত ।
২৪. Basket of egg topography গঠন করে—
(ক) এসকার (খ) গ্রাবরেখা (গ) ড্রামলিন (ঘ) বহিঃধৌত সমভূমি ।
২৫. তির্যক বালিয়াড়িকে বলে —
(ক) সিফ (খ) বার্খান (গ) লোয়েস (ঘ) ব্লো আউট ।
২৬. বায়ু ও ক্ষণস্থায়ী নদীর যে কার্যের ফলে পেডিমেন্ট সৃষ্টি হয়—
(ক) ক্ষয়কার্য (খ) বহনকার্য (গ) সঞ্চয়কার্য (ঘ) উভয়কার্য ।
২৭. ভূমিরূপ ইয়ারদাঙ কিসের ক্ষয় কার্যের ফলে গঠিত হয় ?
(ক) বায়ুর (খ) নদীর (গ) সমুদ্রতরঙ্গের (ঘ) হিমাবাহের
২৮. মরু অঞ্চলের শুষ্ক অগভীর নদীখাতকে বলে—
(ক) প্লায়া (খ) ওয়াদি (গ) বাজাদা (ঘ) পেডিমেন্ট
২৯. মরু ও মরুপ্রায় অঞ্চলের নিম্নভূমিতে অবস্থিত লবণাক্ত জলের হ্রদকে বলে—
(ক) ধান্দ (খ) কাতারা (গ) প্লায়া (ঘ) ওয়াদি
৩০. চলমান বালিয়াড়িকে কি বলে ?
(ক) শটস (খ) ওয়াদি (গ) ধ্রিয়ান (ঘ) প্লায়া
৩১. প্রস্তরময় মরুভূমিকে কি বলে ?
(ক) আর্গ (খ) রেগ (গ) হামাদা (ঘ) ট্যালাস
৩২. সোনোরান মরুভূমি কোথায় অবস্থিত ?
(ক) উত্তর আমেরিকা (খ) দক্ষিণ আমেরিকা (গ) আফ্রিকা (ঘ) অস্ট্রেলিয়া
৩৩. উলম্বভাবে কোমল ও কঠিন শিলাস্তর সজ্জিত ভূমিরূপ বায়ুর ক্ষয়ের ফলে গঠন করে—
(ক) ইয়ারদাঙ (খ) জিউগেন (গ) গৌর (ঘ) ভেন্টিফ্যাক্ট
৩৪. উপকূলীয় বালিয়াড়িকে স্থানীয় ভাষায় 'থেরিস' বলা হয়, এটি দেখা যায়—
(ক) মহারাষ্ট্রে (খ) গুজরাটে (গ) তামিলনাড়ুতে (ঘ) কেরালায় ।
৩৫. বড় আকৃতির ইনসেলবার্জগুলিকে বলা হয়—
(ক) ক্যাসেল কোপিস (খ) নিডিল (গ) টর (ঘ) পেডিমেন্ট
৩৬. মরু অঞ্চলে বায়ুর দ্বারা বালিকণা বহু দূর বাহিত হয়ে সঞ্চিত হলে তাকে বলে—
(ক) ড্রামলিন (খ) লোয়েস (গ) সিফ (ঘ) ধ্রিয়ান
৩৭. পেডিমেন্টের উপর যে ক্ষয়জাত ও অবশিষ্ট পাহাড় সৃষ্টি হয় তাকে বলে—
(ক) ইনসেলবার্জ (খ) ধ্রিয়ান (গ) হামাদা (ঘ) মোনাডনক
৩৮. বায়ু ও জলধারার সম্মিলিত কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ হল —
(ক) লোয়েস (খ) বার্খান (গ) পেডিমেন্ট (ঘ) ইয়ার্দাঙ ।
৩৯. প্রবহমান বায়ুর গতিপথের সঙ্গে সমান্তরালে গড়ে ওঠা বালিয়াড়িকে বলা হয়—
(ক) তির্যক বালিয়াড়ি (খ) অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি (গ) ভ্রাম্যমাণ বালিয়াড়ি (ঘ) পুচ্ছ বালিয়াড়ি ।
৪০. শিলাময় মরুভূমি আলজিরিয়ায় কি নামে পরিচিত ?
(ক) রেগ (খ) কুম (গ) হামাদা (ঘ) আর্গ ।
৪১. মরু অঞ্চলে বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত ব্যাঙের ছাতার মতো ভূমিরূপ হল—
(ক) আগামুক (খ) ইনসেলবার্জ (গ) নব (ঘ) গৌর
৪২. হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে হিমবাহ উপত্যাকায় যেসব অসমান ধাপের সৃষ্টি হয়, তাদের বলে—
(ক) প্রস্তরখাত (খ) রসে মতানে (গ) নদীমঞ্চ (ঘ) হিমসিঁড়ি ।
৪৩. হিমশৈলের যে পরিমাণ অংশ জলের ওপর ভেসে থাকে—
(ক) [tex]{8 \over 9}[/tex] অংশ (খ) [tex]{2 \over 9}[/tex] অংশ (গ) [tex]{1 \over {10}}[/tex] অংশ (ঘ) [tex]{1 \over 9}[/tex] অংশ ।
৪৪. ভারতের বৃহত্তম ও দীর্ঘতম হিমবাহ—
(ক) গঙ্গোত্রী (খ) সিয়াচেন (গ) হুবার্ড (ঘ) যমুনোত্রী ।
৪৫. দুটি সার্কের সংযোগস্থল বরাবর গঠিত হয়—
(ক) রসে মতানে (খ) এরিটি (গ) পিরামিড চূড়া (ঘ) এসকার ।
৪৬. একটি পিরামিড চূড়া —
(ক) আল্পসের মঁ ব্লা (খ) ম্যাটারহর্ন (গ) মাকালু (ঘ) কাঞ্চনজঙ্ঘা ।
৪৭. বায়ুর কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ—
(ক) মন্থকূপ (খ) গৌর (গ) এসকার (ঘ) পলল পাখা
৪৮. বালুকণা গঠনের প্রধান উপাদান হল—
(ক) ফেল্ডসপার (খ) অভ্র (গ) জিপসাম (ঘ) কোয়ার্টজ ।
৪৯. মরু অঞ্চলে ইনসেলবার্জের থেকে ছোট অবশিষ্ট পাহাড়কে বলা হয়—
(ক) কোপিস (খ) টরস (গ) মোনাডনক (ঘ) বর্নহার্ট
৫০. বার্খান গঠিত হয় বায়ু প্রবাহের সঙ্গে—
(ক) সমান্তরালভাবে (খ) তির্যকভাবে (গ) আড়াআড়িভাবে (ঘ) কোনোটিই নয়
৫১. চিনের হোয়াংহো অববাহিকায় সৃষ্ট ভূমিরূপ হল—
(ক) লোয়েস (খ) বাজাদা (গ) বার্খান (ঘ) ওয়াদি
৫২. আফ্রিকার কালাহারি মরুভূমিতে কঠিন ও কোমল শিলা অনুভূমিকভাবে অবস্থান করলে কোমল শিলা কঠিন শিলা অপেক্ষা দ্রুত ক্ষয়ের ফলে যে ধরনের ভূমিরূপ গড়ে ওঠে তাকে বলে—
(ক) জিউগেন (খ) গৌর (গ) ইয়ারদাঙ (ঘ) ইনসেলবার্জ ।
৫৩. কোনটি নদীর বহনকার্যের প্রক্রিয়া নয় ?
(ক) লম্ফদান (খ) ভাসমান (গ) অবঘর্ষ (ঘ) টান ।
৫৪. পর্বতের গায়ে যে সীমারেখার নীচে বরফ গলে তা হল—
(ক) হিমরেখা (খ) হিমবাহ (গ) হিমশৈল (ঘ) গ্রাবরেখা ।
৫৫. হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট নিমজ্জিত জলমগ্ন উপত্যকাকে বলে —
(ক) রসে মতানে (খ) ঝুলন্ত উপত্যকা (গ) ড্রামলিন (ঘ) ফিয়র্ড ।
৫৬. বিশ্বের দীর্ঘতম মহাদেশীয় হিমবাহ হল—
(ক) হুবার্ট (খ) মালাসপিনা (গ) ল্যামবার্ট (ঘ) বিয়াফো ।
৫৭. হিমবাহ উপত্যকার আকৃতি হয়—
(ক) 'I' এর মতো (খ) 'U' এর মতো (গ) 'V' এর মতো (ঘ) 'Y' এর মতো ।
৫৮. নদীবাঁকের উত্তল অংশের সঞ্চয়কে বলে—
(ক) পুল (খ) বিন্দুবার (গ) প্লাঞ্জপুল (ঘ) কাসকেড ।
৫৯. কোনটি সুন্দরবন এলাকার দ্বীপ নয়—
(ক) ঘোড়ামারা (খ) পূর্বাশা (গ) মাজুলি (ঘ) লোহাচড়া ।
৬০. সুন্দরবনের একটি নিমজ্জিত দ্বীপ হল—
(ক) ঘোড়ামারা (খ) সাগরদ্বীপ (গ) সন্দেশখালি (ঘ) নয়াচর ।
৬১. নিম্নভূমির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়—
(ক) আরোহণ প্রক্রিয়ায় (খ) অবরোহণ প্রক্রিয়ায় (গ) অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় (ঘ) নগ্নীভবন প্রক্রিয়ায় ।
৬২. কোনটি নদীর ক্ষয়কার্যের প্রক্রিয়া নয় ?
(ক) লম্ফদান প্রক্রিয়া (খ) জলপ্রবাহ ক্ষয় (গ) ঘর্ষণ ক্ষয় (ঘ) অবঘর্ষ ক্ষয় ।
৬৩. পৃথিবীর বৃহত্তম গিরিখাত হল —
(ক) ইচাং গিরিখাত (খ) কালিগণ্ডকী গিরিখাত (গ) মার্চিসন গিরিখাত (ঘ) গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ।
৬৪. লম্ফদান প্রক্রিয়াটি হল নদীর—
(ক) ক্ষয় (খ) বহন (গ) উত্থান (ঘ) অবক্ষেপণ ।
৬৫. কঠিন শিলাযুক্ত অঞ্চলে কম ঢালযুক্ত ছোট ছোট জলপ্রপাতকে বলে—
(ক) ক্যাটারাক্ট (খ) কাসকেড (গ) র্যাপিড (ঘ) জলস্রোত ।
৬৬. সুন্দরবনের দ্বীপগুলি ধীরে ধীরে ডুবে যাওয়ার মূল কারণ—
(ক) অত্যধিক বৃষ্টিপাত (খ) ঘূর্ণিঝড় (গ) সমুদ্র জলতলের উত্থান (ঘ) সুন্দরবনের অবনমন ।
৬৭. থর মরুভূমির বালি ও শিলাগঠিত অঞ্চল হল—
(ক) রোহি (খ) বাগার (গ) হামাদা (ঘ) মরুস্থলী
৬৮. পৃথিবীর বৃহত্তম নদী অববাহিকা হল—
(ক) গঙ্গা নদী অববাহিকা (খ) কঙ্গো নদী অববাহিকা (গ) আমাজন নদী অববাহিকা (ঘ) নীল নদ অববাহিকা ।
৬৯. নদীর কোনো নির্দিষ্ট অংশ দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যত ঘনফুট জল বয়ে যায়, তাকে বলে—
(ক) কিউসেক (খ) কিউরেক (গ) কিউমেক (ঘ) কিউডেক ।
৭০. নীল নদের বদ্বীপটি হল—
(ক) তিক্ষ্ণাগ্র বদ্বীপ (খ) ধনুকাকৃতি বদ্বীপ (গ) অবিন্যস্ত বদ্বীপ (ঘ) পাখির পায়ের মতো বদ্বীপ ।
**********