Submitted by arpita pramanik on Wed, 01/16/2013 - 08:48

বর্ণালি (Spectrum) :

সংজ্ঞা : সাদা আলো প্রিজমের মধ্য দিয়ে প্রতিসরণের ফলে বিশ্লিষ্ট হয়ে সাতটি বিভিন্ন বর্ণের আলোকগুচ্ছে পরিণত হয় । প্রিজম থেকে নির্গত এই আলোকগুচ্ছকে পর্দায় ফেললে, পর্দায় ওই সাতটি বিভিন্ন বর্ণের আলোক দ্বারা তৈরি চওড়া যে পটি পাওয়া যায়, তাকে বর্ণালি বলে ।

সাদা আলোর বিচ্ছুরণে প্রাপ্ত বর্ণালির মধ্যে যে সাতটি বর্ণ থাকে, সেই বর্ণগুলির ইংরেজি নামের প্রথম অক্ষরগুলিকে, বর্ণালিতে পাওয়া সাতটি বর্ণের ক্রম অনুযায়ী সাজালে 'VIBGYOR' শব্দটি পাওয়া যায় । অনুরূপ ভাবে বাংলা নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে সাজালে (বেগুনি, নীল, আকাশি নীল, সবুজ, হলুদ, কমলা, এবং লাল) 'বেনীআসহকলা' শব্দটি পাওয়া যায় ।

শুদ্ধ বর্ণালি (Pure Spectrum) : যে বর্ণালিতে সাদা আলোর সাতটি বর্ণ পৃথক ও স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয় এবং বর্ণগুলি নিজ নিজ স্থান দখল করে থাকে, তাকে শুদ্ধ বর্ণালি বলে ।

অশুদ্ধ বর্ণালি (Impure Spectrum) : যে বর্ণালিতে সাদা আলোর সাতটি বর্ণ একে অন্যের ওপর পড়ার ফলে বিভিন্ন বর্ণ পৃথক ও স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয় না এবং বর্ণগুলি নিজ নিজ স্থান দখল করে থাকে না, তাকে অশুদ্ধ বর্ণালি বলে ।

শুদ্ধ ও অশুদ্ধ বর্ণালির মধ্যে পার্থক্য (Distinction between pure and Impure Spectrum) :

 

  শুদ্ধ বর্ণালি   অশুদ্ধ বর্ণালি
১. শুদ্ধ বর্ণালিতে সাতটি বিভিন্ন বর্ণ পৃথক পৃথকভাবে পর্দার ওপর পড়ে । ১. অশুদ্ধ বর্ণালিতে সাতটি বিভিন্ন বর্ণ পৃথক পৃথকভাবে পর্দার ওপর পড়ে না, একটি বর্ণের ওপর অপর বর্ণ পড়ে ।
২. শুদ্ধ বর্ণালিতে সাতটি বিভিন্ন বর্ণ পর্দায় খুব স্পষ্টভাবে দেখা যায় । ২. অশুদ্ধ বর্ণালিতে সাতটি বিভিন্ন বর্ণ পর্দায় অস্পষ্টভাবে দেখা যায় ।
৩. সাদা রশ্মির মধ্যস্থ মৌলিক বর্ণগুলি ক্রম অনুযায়ী পর পর অবস্থান করে । ৩. মৌলিক বর্ণগুলি ক্রম অনুযায়ী পর পর সজ্জিত থাকে না ।

*****

Related Items

জারণ ও বিজারণ একসঙ্গে ঘটে

রাসায়নিক বিক্রিয়ায় জারণ ও বিজারণ প্রক্রিয়া একই সঙ্গে ঘটে । অর্থাৎ, জারণ ও বিজারণ ক্রিয়া পরস্পরের পরিপূরক । কোনো বিক্রিয়ায় জারণ-ক্রিয়া ঘটলেই বিজারণ ক্রিয়াও ঘটবে । এই রকম রাসায়নিক বিক্রিয়াকে রেডক্স বিক্রিয়া বলা হয় । ...

কয়েকটি জারক ও বিজারক পদার্থ

কয়েকটি জারক পদার্থ - ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড, নাইট্রিক অ্যাসিড, অক্সিজেন, পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট, গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড, ওজোন, পটাশিয়াম ডাই-ক্রোমেট, হাইড্রোজেন পারক্সাইড, ফ্লুওরিন, রেড লেড, তরল ব্রোমিন, ক্লোরিন, কয়েকটি বিজারকের বিজারণ ক্ষমতার উদাহরণ ...

জারণ বিজারণের ইলেক্ট্রনীয় মতবাদ

জারণ ও বিজারণ রসায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিক্রিয়া । সাধারণত কোনো মৌলে বা যৌগে অক্সিজেনের সংযুক্তি বা কোনো যৌগ থেকে হাইড্রোজেনের বিযুক্তিকে জারণ এবং কোনো মৌলে বা যৌগে হাইড্রোজেনের সংযুক্তি বা কোনো যৌগ থেকে অক্সিজেনের বিযুক্তিকে বিজারণ বলা হয় । ...

সমযোজী যৌগগুলির বৈশিষ্ট্য

সাধারণ তাপমাত্রায় বেশির ভাগ সমযোজী যৌগ সাধারণত তরল কিংবা গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে কিন্তু বেশি আণবিক গুরুত্ববিশিষ্ট সমযোজী মৌল বা যৌগগুলি কঠিন বা তরল হয় । সমযোজী যৌগে সমযোজী বন্ধন দৃঢ় প্রকৃতির, তার ফলে অণুগুলি স্থায়ী হয় । ...

ইলেক্ট্রনীয় যোজ্যতা বা তড়িৎ-যোজ্যতা

সাধারণ অবস্থায় পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রন এবং প্রোটন সংখ্যা সমান হওয়ার জন্য পরমাণু নিস্তড়িৎ হয় । সাধারণ নিয়মে পরমাণুর সংযোগ হওয়ার সময় ধাতুর পরমাণু ইলেকট্রন বর্জন এবং অধাতুর পরমাণু ইলেকট্রন গ্রহণ করে । ফলে কোনো পরমাণু ইলেকট্রন বর্জন করে ধনাত্মক আয়নে পরিণত হয় ...