তড়িৎ-বিভব এবং বিভব-প্রভেদ

Submitted by arpita pramanik on Thu, 01/17/2013 - 10:38

তড়িৎ-বিভব এবং বিভব-প্রভেদ (Electric potential and Potential difference) :

তড়িৎ-বিভব (Electric potential) : কোনো তড়িৎগ্রস্থ বস্তুর তড়িৎ-বিভব বলতে ওই বস্তুর এমন এক তড়িৎ-অবস্থা বোঝায়, যার দ্বারা বোঝা যায় ওই বস্তু অন্য কোনো বস্তুকে তড়িৎ দেবে কিংবা অন্য কোনো বস্তু থেকে তড়িৎ নেবে ।

তড়িৎ-বিভবের পরিমাপ (Electric potential) : অসীম দুরত্ব থেকে একক ধনাত্মক আধানকে তড়িৎ ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কার্য করতে হয়, তাকেই ওই বিন্দুর তড়িৎ-বিভবের পরিমাপ বলে

অসীম দুরত্ব থেকে +q একক ধনাত্মক তড়িতাধানকে তড়িৎক্ষেত্রের A বিন্দুতে আনতে W পরিমাণ কার্য করতে হয়, A বিন্দুর তড়িৎ-বিভবের পরিমাপ [tex]V_A = \frac {W}{q}[/tex] অথবা, W = V x q অর্থাৎ, সম্পাদিত কার্য = তড়িৎ-বিভব x তড়িতাধান

ধনাত্মক আধানের জন্য এর তড়িৎক্ষেত্রের মধ্যে কোনো বিন্দুর তড়িৎ-বিভব ধনাত্মক হয় । ঋণাত্মক আধানের জন্য এর তড়িৎ ক্ষেত্রের মধ্যে কোনো বিন্দুর তড়িৎ-বিভব ঋণাত্মক হয় । নিস্তড়িৎ বস্তুর তড়িৎ-বিভব, পৃথিবীর তড়িৎ-বিভব এবং অসীম দুরত্বে তড়িৎ-বিভব শূন্য ধরা হয় ।

তড়িৎ-বিভবের একক : বিভবের SI একক হল ভোল্ট (volt) । অসীম দুরত্ব থেকে 1 কুলম্ব ধনাত্মক আধানকে তড়িৎক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে আনতে যদি 1 জুল কার্য করা হয়, তাহলে ওই বিন্দুর তড়িৎ-বিভব হবে 1 ভোল্ট ।

কার্য ও আধান উভয়েই স্কেলার রাশি, সেজন্য তড়িৎ-বিভবও স্কেলার রাশি

বিভব-প্রভেদ (Potential difference) : দুটি সমজাতীয় বা বিপরীত জাতীয় তড়িৎগ্রস্থ বস্তুর মধ্যে বিভবের যে পার্থক্য হয়, তাকে বিভব-প্রভেদ বলে ।

বিভব-প্রভেদের একক : 1 কুলম্ব ধনাত্মক আধানকে তড়িৎক্ষেত্রের এক বিন্দু থেকে অপর বিন্দুতে আনতে যদি 1 জুল কার্য করা হয়, তাহলে ওই দুটি বিন্দুর মধ্যে বিভব-প্রভেদ হবে 1 ভোল্ট ।

তড়িৎ বিভবের মাত্রা = (কার্যের মাত্র) / (আধানের মাত্র) = [tex] \frac{{[M{L^2}{T^{ - 2}}]}}{{[AT]}} = [M{L^2}{T^{ - 3}}{A^{ - 1}}][/tex]

*****

Related Items

বর্ণালি (Spectrum)

সাদা আলো প্রিজমের মধ্য দিয়ে প্রতিসরণের ফলে বিশ্লিষ্ট হয়ে সাতটি বিভিন্ন বর্ণের আলোকগুচ্ছে পরিণত হয় । প্রিজম থেকে নির্গত এই আলোকগুচ্ছকে পর্দায় ফেললে, পর্দায় ওই সাতটি বিভিন্ন বর্ণের আলোক দ্বারা তৈরি চওড়া যে পটি পাওয়া যায়, তাকে বর্ণালি বলে । ...

আলোর বিচ্ছুরণ (Dispersion of light)

সাদা কিংবা কোনো বহুবর্ণী রশ্মিগুচ্ছের বিভিন্ন বর্ণে বিভাজিত হওয়ার ঘটনাকে আলোর বিচ্ছুরণ বলে । স্যার আইজ্যাক নিউটন আলোর বিচ্ছুরণ আবিষ্কার করেন । তিনি দেখতে পান যে, সূর্য রশ্মি (সাদা আলো) কাচের প্রিজমের ভিতর দিয়ে গেলে সাতটি বিভিন্ন বর্ণের রশ্মিতে ...

উত্তল লেন্স দ্বারা সৃষ্ট সদ্ ও অসদ প্রতিবিম্ব

উত্তল লেন্সের সাহায্যে বস্তুর যে প্রতিবিম্ব গঠিত হয়, তা লেন্সের চারটি ধর্মের ওপর নির্ভর করে । যে আলোক-রশ্মি লেন্সের আলোক কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে যায়, প্রতিসরণের পর তার অভিমুখের কোনো পরিবর্তন হয় না । সদ্ ও অসদ বিম্বের মধ্যে পার্থক্য, লেন্স দ্বারা লক্ষবস্তুর যে প্রতিবিম্ব গঠিত ...

লেন্স সংক্রান্ত কয়েকটি সংজ্ঞা

লেন্সের উভয় তলই যদি গোলীয় হয় তবে এরা প্রত্যেকে একটি নির্দিষ্ট গোলকের অংশ হবে ।ওই গোলকের কেন্দ্রকে ওই তলের বক্রতা কেন্দ্র বলে । লেন্সের কোনো তল যে গোলকের অংশ হবে ওই গোলকের ব্যাসার্ধকে ওই তলের বক্রতা ব্যাসার্ধ বলে । যদি লেন্সের দুই তল গোলীয় হয় ...

আলোর প্রতিসরণ এবং ফোকাসিং ক্রিয়া

একটি উত্তল কিংবা অবতল লেন্সকে কয়েকটি ছোটো ছোটো খন্ডিত প্রিজমের সমষ্টি বলে মনে করা যেতে পারে । উত্তল লেন্সের ক্ষেত্রে এই প্রিজমগুলির ভূমি লেন্সের কেন্দ্রের দিকে অভিমুখী এবং লেন্সের কেন্দ্র থেকে যে প্রিজমটি যত দূরবর্তী তার প্রতিসারক কোণ তত বেশি । ...