ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর : আলো, লেন্স ও বিচ্ছুরণ

Submitted by arpita pramanik on Fri, 10/26/2012 - 09:08

ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর : আলো, লেন্স ও বিচ্ছুরণ (Light, Lens and Dispersion)

প্রশ্ন:-  সাদা আলোর বিশুদ্ধ বর্ণালির প্রান্তিক বর্ণ দুটি কী কী ?

উত্তর:- সাদা আলোর বিশুদ্ধ বর্ণালির প্রান্তিক বর্ণ দুটি হল লাল ও বেগুনি ।

 

প্রশ্ন:- শূন্য মাধ্যমে আলোর বিচ্ছুরণ হয় না কেন ?

উত্তর:- শূন্য মাধ্যমে আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের সমতুল কোনো কণা না থাকায় ওই মাধ্যমে আলোর বিচ্ছুরণ হয় না ।

 

প্রশ্ন:-  আলোকের বিচ্ছুরণের একটি প্রাকৃতিক উদাহরণ দাও ।

উত্তর:- আলোকের বিচ্ছুরণের একটি প্রাকৃতিক উদাহরণ হল রামধনু ।

 

প্রশ্ন:- বস্তুর কোন অবস্থানে উত্তল লেন্স দ্বারা সদ্ প্রতিবিম্ব গঠিত হয় ?

উত্তর:- উত্তল লেন্স থেকে কোনো বস্তুর দুরত্ব লেন্সটির ফোকাস দৈর্ঘ্যের সমান বা ফোকাস দৈর্ঘ্য থেকে বেশি হলে বস্তুটির সদ্ প্রতিবিম্ব গঠিত হয় ।

 

প্রশ্ন:-  বিবর্ধক কাচে কী ধরনের লেন্স ব্যবহার করা হয় ?

উত্তর:-  বিবর্ধক কাচে উত্তল লেন্স ব্যবহার করা হয় ।

 

প্রশ্ন:-  বিবর্ধক কাচের দুটি ব্যবহার উল্লেখ করো ।

উত্তর:- বইয়ের ছোটো অক্ষর এবং ঘড়ির সূক্ষ যন্ত্রপাতি ইত্যাদি দেখার জন্য বিবর্ধক কাচ ব্যবহার  করা হয় ।

 

প্রশ্ন:-  কোন বর্ণকে মধ্য বর্ণ বলে ?

উত্তর:- বর্ণালি থেকে বলা যায় বিভিন্ন বর্ণের আলোর চ্যুতি [deviation] বিভিন্ন । বেগুনি বর্ণের আলোর চ্যুতি সবচেয়ে বেশি এবং লাল বর্ণের আলোর চ্যুতি সবচেয়ে কম । হলুদ বর্ণের আলোর চ্যুতি বেগুনি এবং লাল বর্ণের আলোর চ্যুতির মাঝামাঝি । তাই হলুদ বর্ণকে মধ্যবর্ণ বলে ।

 

প্রশ্ন:-  সিনেমার পর্দায় যখন ছবি দেখানো হয় তখন সিনেমার ফিল্মকে লেন্স থেকে কত দুরে রাখা হয় ?

উত্তর:-  সিনেমার পর্দায় যখন ছবি দেখানো হয় তখন সিনেমার ফিল্মকে লেন্সের ফোকাস দুরত্বের বাইরে রাখা হয় ।

 

প্রশ্ন:-  আতস কাচ কী  ?

উত্তর:-  কোনো উত্তল লেন্সকে সূর্যরশ্মি বরাবর ধরে যদি লেন্সটির ফোকাস তলে কোনো কাগজ খন্ড বা সহজ দাহ্য কোনো বস্তুকে রাখা হয়, তবে দেখা যায় যে, কিছু সময় পরে কাগজ খন্ড বা ওই বস্তুটিতে আগুন ধরে গিয়েছে । এভাবে ব্যবহৃত উত্তল লেন্সকে আতস কাচ বলে ।

 

প্রশ্ন:-  পরিপূরক বর্ণ কাকে বলে ?

উত্তর:- যে দুটি বর্ণের মিশ্রণে সাদা বর্ণ সৃষ্টি হয়, তাদের পরস্পরের পরিপূরক বর্ণ বলে । যেমন হলুদ ও নীল পরস্পরের পরিপূরক বর্ণ  ।

*****

Related Items

উষ্ণতার পরিমাপ

তাপের প্রভাবে পদার্থের অনেক ভৌত গুণাবলীর পরিবর্তন হয় । যেমন— কঠিন, তরল ও গ্যাসের আয়তন প্রসারণ, পরিবাহীর রোধের পরিবর্তন ইত্যাদি । উষ্ণতার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পদার্থের এই সমস্ত ভৌত গুণাবলীর নিয়মিত পরিবর্তনকে কাজে লাগিয়ে উষ্ণতার পরিমাপ করা হয় । ...

তাপের স্বরূপ ও উষ্ণতা বা তাপমাত্রা

সাধারণ ভাবে তাপের সংজ্ঞা দেওয়া যায় : যে প্রাকৃতিক কারণে ঠান্ডা ও গরমের অনুভূতি জাগে তাকে তাপ বলে । তাপ বলতে এমন কিছু বোঝায় যা গ্রহণ করলে কোনো বস্তু গরম হয় এবং বর্জন করলে ঠান্ডা হয় । তাপের কোনো আকার, আয়তন, ভর, গন্ধ বা বর্ণ নেই ।

ওজন-আয়তন সংক্রান্ত গণনা

গ্রাম-আণবিক ভর এবং গ্রাম-আণবিক আয়তনের ব্যবহারিক প্রয়োগ, ওজন-আয়তন সংক্রান্ত গণনা, গাণিতিক উদাহরণ

ওজন-ওজন সংক্রান্ত গণনা

গ্রাম-আণবিক ভর এবং গ্রাম-আণবিক আয়তনের ব্যবহারিক প্রয়োগ, ওজন-ওজন সংক্রান্ত গণনা, পদার্থের পারমাণবিক ভর ও আণবিক ভর জানা থাকলে রাসায়নিক সমীকরণ থেকে বিক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট বিক্রিয়ক এবং বিক্রিয়াজাত পদার্থগুলির ভর জানা যায় । ...

রাসায়নিক বিক্রিয়া ও রাসায়নিক সমীকরণ

যে প্রক্রিয়ায় একটি পদার্থ বিশ্লিষ্ট হয়ে কিংবা একাধিক পদার্থ পরস্পরের সংস্পর্শে এসে রাসায়নিক সংযোগের মাধ্যমে এক বা একাধিক ভিন্নধর্মী নতুন পদার্থ উত্পন্ন করে, সেই প্রক্রিয়াকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে । যে পদার্থ বা পদার্থগুলি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, তাদের বিকারক ...