ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর : প্রবাহী তড়িৎবিজ্ঞান

Submitted by arpita pramanik on Sat, 10/27/2012 - 19:07

ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর - প্রবাহী তড়িৎবিজ্ঞান (Current Electricity) :

প্রশ্ন:-  কোনো বর্তনীতে দুটি রোধকে কোন সমবায়ে যুক্ত করলে তুল্যরোধ উভয় রোধ থেকে কম হবে ?

উত্তর:-  কোনো বর্তনীতে দুটি রোধকে সমান্তরাল সমবায়ে যুক্ত করলে তুল্যরোধ উভয় রোধ থেকে কম হবে ।

প্রশ্ন:- আর্থিং তারের রঙ্গিন সংকেত লিপি কী ?

উত্তর:- আর্থিং তারের রঙ সবুজ হয় ।

প্রশ্ন:-  এমন একটি যন্ত্রের নাম কর যাতে তড়িৎ প্রবাহের উপর চৌম্বক ক্ষেত্রের ক্রিয়া দেখানো যায় ?

উত্তর:- বার্লোচক্র যন্ত্রে তড়িৎ প্রবাহের উপর চৌম্বক ক্রিয়া দেখানো যায় ।

প্রশ্ন:-  কোন যন্ত্র দিয়ে বিভবপ্রভেদ মাপা হয় ?

উত্তর:- ভোল্টামিটার যন্ত্রের সাহায্যে বিভবপ্রভেদ মাপা হয় ।

প্রশ্ন:-  ভোল্টামিটার এবং অ্যামমিটারকে বর্তনীতে কিভাবে যুক্ত করা হয় ?

উত্তর:-  তড়িৎ বর্তনীর যে দুটি বিন্দুর বিভব প্রভেদ মাপতে হবে সেই দুটি বিন্দুর সঙ্গে ভোল্টামিটারকে সমান্তরাল সমবায়ে যুক্ত করা হয় । আবার কোনো তড়িৎ বর্তনীর প্রবাহমাত্রা পরিমাপ করতে অ্যামমিটারকে তড়িৎবর্তনীতে শ্রেণি সমবায়ে যুক্ত করা হয় ।

প্রশ্ন:- ভোল্টামিটার ও অ্যামমিটার দিয়ে কী কী ভৌত রাশি পরিমাপ করা হয় ?

উত্তর:- ভোল্টামিটার দিয়ে কোনো বর্তনীর দুটি বিন্দুর মধ্যে বিভব প্রভেদ মাপা হয় । আর অ্যামমিটার দিয়ে কোনো তড়িৎ বর্তনীর প্রবাহমাত্রা মাপা হয় ।

প্রশ্ন:-  r1 এবং  r2 রোধ দুটিকে শ্রেণিসমবায়ে  যুক্ত করলে তুল্য রোধ কত হবে ?

উত্তর:- r1 এবং  r2 রোধ দুটিকে শ্রেণিসমবায়ে  যুক্ত করলে তুল্য রোধ হবে R = r1 + r2

প্রশ্ন:- কোনো বাল্বের ফিলামেন্টের রোধ সাধারণ উষ্ণতায় না ভাস্বর অবস্থায় বাল্বের ফিলামেন্টের রোধ বেশি হবে ?

উত্তর:- যে হেতু উষ্ণতা বাড়লে রোধ বাড়ে তাই সাধারণ উষ্ণতা থেকে ভাস্বর অবস্থায় বাল্বের ফিলামেন্টের রোধ বেশি হবে ।

প্রশ্ন:- 'একটি নির্জল কোষের তড়িচ্চালক বল 1.5 ভোল্ট' -এর অর্থ কী ?

উত্তর:- 'একটি নির্জল কোষের তড়িচ্চালক বল 1.5 ভোল্ট' -এর অর্থ হল, কোষটির ধনাত্বক মেরু থেকে ঋণাত্বক মেরুতে 1 কুলম্ব পরিমাণ তড়িৎ চালনা করতে 1.5 জুল কাজ করতে হয় ।

প্রশ্ন:-  SI পদ্ধতিতে তড়িৎবিভব -এর একক কী ?

উত্তর:-  SI পদ্ধতিতে তড়িৎবিভব -এর একক হল 'ভোল্ট'

প্রশ্ন:-  SI পদ্ধতিতে তড়িৎপ্রবাহমাত্রা -এর একক কী ?

উত্তর:-  SI পদ্ধতিতে তড়িৎপ্রবাহমাত্রা -এর একক হল অ্যাম্পিয়ার

প্রশ্ন:-  SI পদ্ধতিতে রোধ -এর একক কী  ?

উত্তর:-  SI পদ্ধতিতে রোধ -এর একক হল ওহম

প্রশ্ন:- ওয়াট-ঘন্টা দিয়ে কী পরিমাপ করা হয় ?

উত্তর:-  ওয়াট-ঘন্টা দিয়ে তড়িৎ-শক্তি পরিমাপ করা হয় ।

প্রশ্ন:- ফিউজ তারকে মূল বর্তনীর সঙ্গে কোন সমবায়ে যুক্ত করা হয় ?

উত্তর:- ফিউজ তারকে মূল বর্তনীর সঙ্গে শ্রেণি সমবায়ে যুক্ত করা হয় ।

প্রশ্ন:- পরিবাহীর রোধ, পরিবাহীর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদের ওপর কিভাবে নির্ভর করে ?

উত্তর:- পরিবাহীর রোধ, পরিবাহীর দৈর্ঘ্যের সমানুপাতিক এবং প্রস্থচ্ছেদের ব্যস্তানুপাতিক হয় ।

প্রশ্ন:-  কিলোওয়াট-ঘন্টা দিয়ে কোন ভৌতরাশির পরিমাপ করা হয় ?  

উত্তর:- কিলোওয়াট-ঘন্টা দিয়ে তড়িৎশক্তির পরিমাপ করা হয় ।

প্রশ্ন:- একটি থ্রি-পিন প্লাগ টপের ওপরের মোটা পিনটির নাম কী ?

উত্তর:- থ্রি-পিন প্লাগ টপের ওপরের মোটা পিনটির নাম ভু-সংযোগকারী তার ।

প্রশ্ন:- একটি আদর্শ ভোল্টামিটারের রোধ কিরূপ হওয়া উচিত ?

উত্তর:-  একটি আদর্শ ভোল্টামিটারের রোধ অসীম হওয়া উচিত ।

প্রশ্ন:-  একটি আদর্শ অ্যামমিটারের রোধ কিরূপ হওয়া উচিত ?

উত্তর:-  একটি আদর্শ অ্যামমিটারের রোধ শূন্য হওয়া উচিত ।

প্রশ্ন:-  কোন যন্ত্র দিয়ে তড়িৎ প্রবাহমাত্রা মাপা হয় ?

উত্তর:- অ্যামমিটার যন্ত্রের সাহায্যে তড়িৎ প্রবাহমাত্রা মাপা হয় ।

প্রশ্ন:-  লাইভ এবং নিউট্রাল তারের রঙ কী রকমের হয় ?

উত্তর:- লাইভ তারের রঙ লাল এবং নিউট্রাল তারের রঙ কালো হয় ।

প্রশ্ন:- তড়িৎপ্রবাহমাত্রার ব্যবহারিক একক কী ?

উত্তর:- তড়িৎপ্রবাহমাত্রার ব্যবহারিক একক হল অ্যাম্পিয়ার

প্রশ্ন:- আধানের ব্যবহারের একক কী ?

উত্তর:- আধানের ব্যবহারের একক হল কুলম্ব

প্রশ্ন:- তড়িৎ-পরিবাহী ধাতব তারে তড়িতাধানের বাহক কোনগুলি  ?

উত্তর:- তড়িৎ-পরিবাহী ধাতব তারে মুক্ত ইলেকট্রনগুলি হল তড়িতাধানের বাহক ।

প্রশ্ন:-  তড়িচ্চালক বলের একক কী ?

উত্তর:- তড়িচ্চালক বলের একক হল ভোল্ট

প্রশ্ন:-  রোধাঙ্কের একক কী ?

উত্তর:- C.G.S পদ্ধতিতে রোধাঙ্কের একক হল ওহম-সেন্টিমিটার এবং S.I. পদ্ধতিতে ওহম-মিটার

প্রশ্ন:- সরল ভোল্টীয় কোষের তড়িচ্চালক বলের মান কত ?

উত্তর:- সরল ভোল্টীয় কোষের তড়িচ্চালক বলের মান হল 1.08 ভোল্ট

প্রশ্ন:- 1 অ্যাম্পিয়ার কাকে বলে ?

উত্তর:-  কোনো পরিবাহীর যে-কোনো প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে 1 কুলম্ব তড়িৎ প্রবাহিত হলে, ওই প্রবাহমাত্রাকে 1 অ্যাম্পিয়ার বলে ।

প্রশ্ন:- ওহমের সূত্রের গাণিতিক রূপটি কী ?

উত্তর:- ওহমের সূত্রের গাণিতিক রূপটি হল V = CR ; যেখানে পরিবাহীর দু'প্রান্তের বিভবপ্রভেদ V, পরিবাহীর প্রবাহমাত্রা C, এবং পরিবাহীর রোধ R  ।

প্রশ্ন:-  দুটি তড়িৎ সুপরিবাহী বস্তুর নাম কী ?

উত্তর:-  দুটি তড়িৎ সুপরিবাহী বস্তুর নাম রুপা এবং তামা

প্রশ্ন:- জুলের সূত্রের গাণিতিক রূপটি কী ?

উত্তর:- জুলের সূত্রের গাণিতিক রূপটি হল : [tex]H = \frac{{{C^2}Rt}}{J}[/tex]; যেখানে পরিবাহীর প্রবাহমাত্রা = C, পরিবাহীর রোধ = R,  তড়িৎ-প্রবাহের সময় = t, H = পরিবাহীতে উত্পন্ন তাপ এবং তাপের যান্ত্রিক তুল্যাঙ্ক = J = 4.2 জুল / ক্যালোরি ।

প্রশ্ন:-  তড়িৎপ্রবাহের তাপীয় ফলের দুটি ব্যবহার উল্লেখ করো ।

উত্তর:-  তড়িৎপ্রবাহের তাপীয় ফলের দুটি ব্যবহারিক প্রয়োগ হল : বৈদ্যুতিক হিটারবৈদ্যুতিক ইস্ত্রি

প্রশ্ন:- 1 ভোল্ট কাকে বলে ?

উত্তর:-  কোনো পরিবাহীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে এক কুলম্ব তড়িৎ পাঠাতে যদি এক জুল কার্য করতে হয়, তবে ওই পরিবাহীর বিভব-প্রভেদকে 1 ভোল্ট বলে ।

প্রশ্ন:-  নাইক্রোম তার কী কী ধাতু দিয়ে তৈরি হয় ?

উত্তর:- নাইক্রোম তার হল নিকেল, ক্রোমিয়াম এবং লোহার সংকর ধাতু ।

প্রশ্ন:- আধান ও প্রবাহমাত্রার মধ্যে সম্পর্ক কী ?

উত্তর:- আধান ও প্রবাহমাত্রার মধ্যে সম্পর্ক হল, আধান = প্রবাহমাত্রা x সময়

প্রশ্ন:-  ডায়নামোতে কোন শক্তি কোন শক্তিতে রূপান্তরিত হয় ?  

উত্তর:- ডায়নামোতে যান্ত্রিক শক্তি তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয় ।

প্রশ্ন:-  আন্তর্জাতিক মতানুসারে কোন বর্ণের লাইভ তার ব্যবহার করা হয় ?

উত্তর:- বর্তমানে আন্তর্জাতিক মতানুসারে বাদামি রঙের লাইভ তার ব্যবহার করা হয় ।

প্রশ্ন:-  সুইচ কী ?

উত্তর:- যে ব্যবস্থার সাহায্যে সংহত বর্তনীতে প্রয়োজন মত তড়িৎপ্রবাহ চালু বা বন্ধ করা যায়, তাকে সুইচ বলে ।

প্রশ্ন:- তড়িৎ চুম্বকত্ব কে প্রথম লক্ষ্য করেন ?

উত্তর:- তড়িৎ চুম্বকত্ব প্রথম লক্ষ্য করেন বিজ্ঞানী ওরেস্টেড

প্রশ্ন:- তড়িৎ চুম্বকে কোন শক্তি কোন শক্তিতে রূপান্তরিত হয় ?

উত্তর:- তড়িৎ চুম্বকে তড়িৎ শক্তি চৌম্বকশক্তিতে রূপান্তরিত হয় ।

প্রশ্ন:-  চিকিত্সাশাস্ত্রে  তড়িৎ চুম্বকের একটি ব্যবহার উল্লেখ করো ।

উত্তর:- চোখে লোহার গুঁড়ো পড়লে তা বের করে আনতে চিকিত্সকেরা সূক্ষ্মাগ্র মেরু যুক্ত তড়িৎ চুম্বক ব্যবহার করে থাকেন ।

প্রশ্ন:-  তড়িৎ চুম্বকের মেরু কিভাবে বদলানো যায় ?

উত্তর:- তড়িৎ প্রবাহের অভিমুখ উল্টে দিয়ে তড়িৎ চুম্বকের মেরু বদলানো যায় ।

প্রশ্ন:-  স্থায়ী চুম্বক তৈরি করতে কাঁচা লোহা ও ইস্পাতের মধ্যে কোনটিকে ব্যবহার করা হয় ?

উত্তর:-  স্থায়ী চুম্বক তৈরি করতে কাঁচা লোহা ও ইস্পাতের মধ্যে ইস্পাত ব্যবহার করা হয় ।

প্রশ্ন:- বৈদ্যুতিক মোটর ও ডায়নামোর মধ্যে পার্থক্য কী ?

উত্তর:- বৈদ্যুতিক মোটরে তড়িৎ শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয় । কিন্তু ডায়নামোতে যান্ত্রিক শক্তি তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয় ।

প্রশ্ন:-  অ্যাম্পিয়ার পাক কী ? এর সঙ্গে তড়িৎচুম্বকের মেরু শক্তির সম্পর্ক কী ?

উত্তর:-  তড়িৎচুম্বকের মজ্জার একক দৈর্ঘ্যে কুন্ডলীর পাক সংখ্যা এবং অ্যাম্পিয়ার এককে তড়িৎপ্রবাহমাত্রার গুণফলকে অ্যাম্পিয়ার পাক [Ampere turn] বলে । তড়িৎচুম্বকের মেরু শক্তি অ্যাম্পিয়ার পাকের সমানুপাতিক হয় ।

প্রশ্ন:-  লোহার ভারী বীম সরাতে ক্রেনে কোন চুম্বক ব্যবহার করা হয় ?

উত্তর:- লোহার ভারী বীম সরাতে ক্রেনে শক্তিশালী তড়িৎ চুম্বক ব্যবহার করা হয় ।

প্রশ্ন:- চুম্বকের বৈশিষ্ট্য কী কী ?

উত্তর:- চুম্বকের বৈশিষ্ট্য দুটি হল : [i] আকর্ষণী ধর্ম  এবং  [ii] দিকদর্শী ধর্ম

প্রশ্ন:-  বৈদ্যুতিক মোটরের একটি ব্যবহার উল্লেখ করো ।

উত্তর:-  বৈদ্যুতিক পাখায় বৈদ্যুতিক মোটর ব্যবহার করা হয় ।

*****

Related Items

তড়িৎ-বিশ্লেষণের প্রয়োগ

তীব্র তড়িৎ-ধনাত্মক ধাতুগুলি যেমন - সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতি ধাতুগুলিকে তাদের আকরিক থেকে নিষ্কাশিত করা হয় । আবার কতকগুলি ধাতু যেমন - কপার, জিঙ্ক, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতির তড়িৎ-বিশ্লেষণ পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিশোধন করা হয় । ...

কপার সালফেটের জলীয় দ্রবণের তড়িৎ বিশ্লেষণ

কপার সালফেট জলে আয়নিত হয়ে কপার (+) এবং সালফেট (-) আয়ন উত্পন্ন করে । সুতরাং, জলীয় দ্রবণে চার প্রকার আয়ন থাকে, দুধরনের ক্যাটায়ান H (+) ও Cu (+) এবং দু ধরনের অ্যানায়ন OH (-) ও সালফেট (-) ।

জলের তড়িৎ-বিশ্লেষণ

বিশুদ্ধ জল তড়িতের কুপরিবাহী, কিন্তু সামান্য অ্যাসিড কিংবা ক্ষার জলে মেশালে ওই জল তড়িতের সুপরিবাহী হয় । এর কারণ হল বিশুদ্ধ জলে খুব কম সংখ্যক অণু H+ এবং OH- আয়নে বিশ্লেষিত অবস্থায় থাকে । ওই জলে সামান্য অ্যাসিড কিংবা ক্ষার যোগ করলে এদের আয়ন ...

তড়িৎ-বিশ্লেষ্য ও তড়িৎ-অবিশ্লেষ্য পদার্থ

যেসব পদার্থ জলে দ্রবীভূত বা গলিত অবস্থায় আয়নে বিশ্লিষ্ট হয়ে তড়িৎ পরিবহন করে এবং তড়িৎ পরিবহনের ফলে নিজেরা রাসায়নিকভাবে বিশ্লিষ্ট হয়ে নতুন ধর্মবিশিষ্ট পদার্থ উত্পন্ন হয়, সেই সব পদার্থকে তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে ।

তড়িৎ-পরিবাহী এবং তড়িৎ-অপরিবাহী

যে সব পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ-প্রবাহিত করলে তা তড়িৎ-পরিবহনে সক্ষম হয়, তাদের তড়িৎ-পরিবাহী পদার্থ বলে । যেমন; সোনা, রুপো, তামা, প্রভৃতি ধাতু, গ্রাফাইট, সোডিয়াম ক্লোরাইড দ্রবণ ইত্যাদি । তড়িৎ-পরিবহনে সক্ষম এমন পদার্থগুলিকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় --